ক্রিং ক্রিং ক্রিং
–হ্যালো কি বলবে বলো?
–কি বলবো মানে? সেই কখন থেকে কতবার ফোন
দিয়েছি হিসেব করছো? তুমি ফোন রিসিভ করোনি
কেন? কি হয়েছে তোমার? কিছু বলোনি কেন?
–কই না তো কিছু হয় নি। এমনই।
–তাহলে আমার সাথে কথা বলোনি কেন? কোনো এস
আজকাল নিজেকে বড় অপরাধী মনে হয়, যূথিকা।
সদ্য বিচার হওয়া ফাঁসিতে ঝুলানো আসামীর মত অপরাধী মনে হয় নিজেকে।
আজকাল আয়নায় আর নিজেকে দেখতে পাই না
আমি। চোখের মাঝে বরফের স্তূপ জমে গেছে।
মুখটাও অন্য কারুর করুণ মুখ হয়, এক আকাশ
আকুতি নিয়ে চেয়ে আছে
তুমি চলে যাবার আগে
রেখে যেও আমাদের প্রথম চুমো,প্রথম অভিসার।
ঠোঁট কাঁপানো চোখে শত যুগের
লজ্জাজড়িত অস্পষ্ট নিশ্বাস,রেখে যেও তুমি।
জানি তুমি পারবে না
কিছুই নেই তোমার কাছে আমাকে দেবার মত।
এই শহরটা ঘুমিয়ে গেলে লুকিয়ে
কাঁদো তুমি,তার সাক্ষী কেবলমাত্র ওই বালিশটা।
তুমি চলে যাবার আগে
রেখে
বার বার চলে যায়,
বার বার ফিরে আসে।
প্রত্যাবর্তনের পথে সেঁদো মাটির গন্ধ
নিয়ে শালিকের ঠোঁটে ঝুলে থাকে সূর্যাস্ত।
দিন মাস বছর পিপুলের পাতায় হিসেব কষে
লাল রঙের ফড়িং হয়ে উড়ে যায় উনুনের পথে।
বার বার চলে যায়,
বার বার ফিরে আসে।
ধুলোমাখা পোশাক,উষ্কখুষ্ক চুল।চৌকাঠে ঝুলানো
মলিন চিঠি।অস্থির মন স্থির প্রকৃতি
নদী চলে ঢেউয়ের তালে
ছলাৎছলাৎ সুরে,
পাহাড় কাঁদে জলের সুরে
কাকে মনে করে।
কেউ কি পারো দিতে বলে
কার ইশারায় সূর্য উঠে,
চন্দ্র ডুবে, রাত্রি নামায় ধরায়।
সে তো তুমি প্রভু, তুমি,সে তো তুমি।
পাখির ডাকে মধুর সুরে
গায় আল্লা মহান,
ফুলের বাগে সুভাষ ভরে
রহমতের ই ঘ্রাণ।
কেউ কি পারো দিতে বলে
কার ইশারায় ফুল