তোমার জানালায় এক ফালি মেঘ
শুয়ে থাকে এই হেমন্তের শেষ বিকেলে।
কোথাও কোথাও শীত নামে,
বৃষ্টি নামে, শিশির ঝরে পড়ে। অথচ, তোমার চোখে আমার শতেক খানি
কবিতা নিবিড় ভালোবাসায় স্বপ্ন দেখে।
শীতল ছায়ায় ব্যাকুল চেয়ে থাকে ঝরে পড়া
সব শুষ্ক ফুলের দল।
হেমন্তের ঝরা পাতা বেজে যায়
মর্মর সুরে। তোমার

ধেয়ে আসা ঐ বাড়ন্ত বসন্তের
দুরন্ত বাতাসের
নীল খামের উড়ো
চিরকুটে একদিন আমিও বলেছিলাম ;
ভালোবাসি যে তোমায়।

সঠিক মনে নেই তোমায়
শেষ কবে স্বপ্নে দেখেছিলাম !
হঠাৎ,
কেমন উচ্ছিন্ন শব্দে জেগে উঠি;
ফাল্গুনের আগে মাঘের হিম শীতে
বিবর্ণ জড়ানো এক ঘরের কোণে। রাত্রির শরীর বেয়ে জোছনা ঝরে
সময় বৃত্তের কাটি মেপে মেপে
পৃথিবীর উঠোন জুড়ে।
যা কেবল’ই ভাবায় ঘুমের ভিতর
গোলকধাঁধার মতন অনন্ত মাইল। চারদিকে গাঢ় অন্ধকার নীরবে

অনেক দিন হলো নতুন কিছু লিখতে পারি না।
কাজের ব্যস্ততা আর ক্লান্তিতে শরীর ও মন দুটোই বিবস্ত্র হয়ে গেছে। কোনো কিছু লিখতে গেলেই মাথা ধরে আসে। কোনো কিছু তেমন আর মাথায় নিয়ে আসতে পারি না। সারাদিন যে হৈচৈ এর ভিতর কাটে। এত এত কথাবার্তায়

সঠিক মনে নেই তোমায়
শেষ কবে স্বপ্নে দেখেছিলাম !
হঠাত্‍,
কেমন উচ্ছিন্ন শব্দে জেগে উঠি;
ফাল্গুনের আগে মাঘের হিম শীতে
বিবর্ণ জড়ানো এক ঘরের কোণে। রাত্রির শরীর বেয়ে জোছনা ঝরে
সময় বৃত্তের কাটি মেপে মেপে
পৃথিবীর উঠোন জুড়ে।
যা কেবল’ই ভাবায় ঘুমের ভিতর
গোলকধাঁধার মতন অনন্ত মাইল। চারদিকে গাঢ় অন্ধকার নীরবে

যূথিকা তোমায় ভেবে আর কবিতা লিখি না,
রাত্রির খোলস ছাড়িয়ে আর ভোর আঁকি না ! দিনান্তের রৌদ্র মাড়িয়ে বিকেলের
ভাঙা সাঁকোই
আর দাঁড়িয়ে থাকি না;
গৌধূলির শেষ প্রান্তের ছায়ায়
সূর্যাস্তের রেখায় তোমাকে দেখবো বলে। যূথিকা তুমি বরং দূরেই থেকো
নীল নক্ষত্র হয়ে,
আমি না হয় দূর থেকেই দেখবো ক্লান্ত
পথিক হয়ে ! যূথিকা তোমায় ভুলতে

তোমার জানালায় এক ফালি মেঘ
শুয়ে থাকে এই হেমন্তের শেষ বিকেলে।
কোথাও কোথাও শীত নামে,
বৃষ্টি নামে, শিশির ঝরে পড়ে। অথচ, তোমার চোখে আমার শতেক খানি
কবিতা নিবিড় ভালোবাসায় স্বপ্ন দেখে।
শীতল ছায়ায় ব্যাকুল

তুমি যেতে চাইলে, আর চলে গেলে,
আমি বললাম থেকে যাও – আমার সাথে।
যেমন করে থাকে অন্তহীন আকাশে রক্তিম সূর্য। অথচ,
তুমি কখনো বুঝতেও চাইলে না
কতটা পুড়ে আমার বুকের বাঁ পাশ তোমার বেদনায়।

অপেক্ষায় থেকে যে দুটি আঁখি
সতত ঝরায় অশ্রু জল
সেও জানে দিনের পর রাত আসে,রাতের পর দিন। যে চলে যায় সে চলেই যায় সব রেখে
যে ফিরে আসে সে কোনো বাঁধাকেই উপেক্ষা করে না। তুমিও ঠিকই ফিরে আসবে একদিন
সেদিন এই চোখের

যে মেয়েটি রোজ রোজ জানালার গ্রীল ধরে
দাঁড়িয়ে থাকত দু চোখ মেলে
দূর মেঘের মিনারে,
প্রিয় কারুর আশায়। যে মেয়েটি রোজ রোজ সন্ধ্যা নামার আগেই
গুছিয়ে নিতো এলো কেশি আস্তাবল,
গোধূলীর চিলেকোঠায়।
পূজার ডালা হাতে যে মেয়েটি রোজ জ্বালত
সন্ধ্যা প্রদীপ নীরব তুলসীবনে,
করত বসে আরতি। যে

মাঝরাতে কিংবা শেষরাতে
শিশিরের শব্দে
ঘুম ভেঙে গেলে পৃথিবীর ‘পরে
খোলা আকাশে
ফুটফুটে জোছনার হলুদ বিছানায়
তোমাকে দেখি। কার্তিক কিংবা অঘ্রাণ,ঢের যুগ আগে
ঐ মেঠো চাঁদ,
শসাফুল কিংবা শিশিরের হিম জল,
শস্যের ক্ষেতে
হলুদ পাতারা ঝরে পড়ে রোজ রোজ
ফসলের ঘ্রাণে,
ঘুম আর ঘুমন্তের পারাপারে চেয়ে।

স্মৃতি ঝরা অতীত ধূসর মেঘে অন্তহীন মনে হয়,
অনুভূতির কোনো রং থাকে না!
লাল হলুদ কমলা সব রকম বা –নীল রঙের
অতীতগুলো ঝরে পড়ে কুয়াশার মত! এক পলক শুধু এক পলক চেয়ে দ্যাখো ঐ

একদিন ঝরাপাতারা থেমে যাবে
মাটির ছলনায়-গোধূলির সহচরে।
একদিন জীবনের পেয়ালায়
ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি ঝরবে
কিশোরী কাঁকনের রাগিণী সুরে। একদিন ঘুমিয়ে যাবো আমি
কেয়াফুল,শেফালীর দলে।
পলাতকা যূথিকার পায়ের শব্দে
হয়তো জাগবো আবার কখনো
আষাঢ়ের ভোরে কদম ফুলে।

কতকাল আঙুল ছঁইনি, ছুঁইনি নীল রঙা ফুল।
কতকাল দেখিনি,
ভোরের শিশিরে মুখের মিছিল
লাবণ্যে ছুঁয়ে থাকা ঝরা বকুল। দীপন্তি,
তুমি এলে, বড় দেরি করে এলে
মেঘময় আকাশ মধ্যরাতে ডাক পাঠাবে
এখন তুমি যাও, চলে যাও। বুকের শ্মশানে এখন অসম্ভব নির্জনতা
কাঁটার ঝোপঝাড়ে মাকড়সার

সে দিনটি ছিল ধূসর রঙের, যূথিকা!
সূর্য তোমার বুকে মুখ লুকিয়ে রেখেছিল,
যখন তোমাকে আমি বললাম, বিদায়–যূথিকা! বৃত্তের পরে বৃত্ত বসিয়ে প্রথম আলোই ভোরের পানপাত্রে
যেই তুমি বিদায় চুমু দিয়েছিলে আমায়,
সেই থেকে বিবর্ণ ছায়া তাড়া করে অন্তরীক্ষে! জানো যূথিকা,
একটি ঘটনা শুধু মাত্র