১
জোছনা চুরির গল্প অনেক শুনেছি
পলিগামী পুরুষের রসায়ন
ভাবতে ভাবতে
নিঃশ্ছিদ্র মশারীর আকার-প্রকার
নির্ধারন করে ফেলি
চাঁদও কি জোছনাভূক প্রানী নাকি
চাঁদেও ফোটে নানাবিধ ফুল!
আমাদের এখানে বৃষ্টি হত
মনে রাখবার মত রাত্রিও নামত
ঋতুবতী গুহানারী একবার চাঁদে ফেলে
এসেছিল লাল রঙটার অর্থ
অন্ধকার আর নীরবতা
যোগ হয়েছিল আলোর সমগোত্রে
যার কারনে গল্পগুলো খরস্রোতা হয়ে গিয়েছিল।
সেই
যাকে হারিয়েছো ভেবে এত কান্না
তুমি তো জানোনা তারও মনে
ঢুকে বসে আছে কিছু গভীর অন্ধকার
তুমি দুই হাতে সরাচ্ছো শুকনো পাতা
অরন্যের বুক থেকে চাইছো বইয়ে দিতে ঝর্ণা
অন্যদিকে সেও করছে পরিখা খনন
বন্দুকের গুলিগুলো পুরনো হয়ে আসে তারও
অথচ তোমার কথা ভাবলেই বৃষ্টি মনে আসে
মনে উঠে আসে ছবি ছেলেবেলার
“সেদিন অনেক রাত অব্দি বাঁশী বেজেছিল নবীনা’দিদের পুকুরঘাটে। আমি তো নির্বাক শ্রোতা বা দর্শক। ঝুমুরের চোখ দু’টো করমচার মতো লাল দেখেছি, বুঝেছি অনেক কিছুই। বলতে কি পেরেছি কিছু?”- বলতে বলতে বড়’মা কাঁদছিলেন। বড়মা’র ছোট ফুফু ছিলেন এই ঝুমুর, সমবয়সী। অমন রূপবতী মেয়ে বুঝি আর
পৃথিবীর শেষ মানুষটা যেদিন বলেছিল
নিশিই সব অন্ধকার শুষে
আস্ত একটা দিন পায়ের কাছে রেখে যায়
সেদিন অবিশ্বাস জেগেছিল
পরে ভেবে দেখেছি কথাগুলো মিথ্যে নয়
এরপরে কত রাত গড়িয়ে গেছে ঊষার দিকে
সেই মানুষকে আর খুঁজে দেখিনি
একটা মানুষ, আস্ত মানুষ
ছায়া হতে হতে
গলে যেতে যেতে
রয়ে গেছে মূর্তি হয়ে
যে মূর্তি প্রতি রাতেই
১
বসে আছি বারান্দায়, একা।
এ এমন শহর
আকাশ দেখা যায়না
অথচ খসে পরা তারার
পোড়াগন্ধ টের পাই হৃদয়ে
আমি আরো একা হয়ে যাই।
২
কারা যেন কোন পাহাড়ে থাকে
অবিন্যস্ত কথাবার্তা আর
কমিউনিকেশনের নতুন ভাষায়
তারা যেন মিথ্যাকে সত্যিতে সাজায়।
কায়দা করে চলো পাথর হই
মানুষ জীবন আর ভালো লাগছে না।
আজ তোমাকে সাগর দেখাতে নিয়ে যাব
বাড়ীর পাশে যেমন দেখছ তেমন নয় মোটেও
সিগারেটে আচমকা হাত লেগে যাওয়া অনুভুতির মত
তোমার চোখেও ভয় জাগবে
এ জন্যেই গুরুজনেরা বলেন, সাগর দেখে খুশি হবার কিছু নেই
ও তো এক লহমায় উড়িয়ে নেবেই সব
কেবল ডুববে তুমি—
না হয় চলো তোমাকে পাখির পালকে লুকানো
প্রবাহিনী
দুঃখ বুঝিনা যা জমাট।
রাত্রিকোলে শিখণ্ডি নাচ প্রথম পেখম মেলে
মেঘলা দিনের রোদ-আঁচলে
তুমিই প্রথম নারী
অথবা হাজার জনের ভেতর একলা ছবি।
নদীও এমন আছে গভীরতা জানা যায়নি
যে নারী বয়ে যায় আমি তার সর্বশেষ প্রেমিক।
_____________________________
অসুখ
আমি মৌয়ালি- আমি চাক ভাংবো,
তোমার ভূগোল থেকে পৌঁছে যাব আমি,
পৌঁছে যাব অন্য কোথাও
জেগে ওঠো প্রেম
আসো
জোৎস্না নিতে জানেনা কোনো ব্যথা
অদ্ভুত এক আলোমায়া তবু
বিছিয়ে রাখা জাল তার
চাপ চাপ অন্ধকারে
জমায় রহস্যকথা ঘণ
এইখানে আকাশের নীচে
মাটির উপরে
ক্ষমতাহীন মানুষ এক
চাঁদের আলোয় আর নিজের ছায়ায়
কি যেন এক আকুলতায়
খুঁজে ফেরে কিছু
চন্দ্রমা আলো ছেড়ে আরো
আরো দূর অন্ধকারে
মা-কে নিয়ে অত বাহুল্য নেই আমার
মা তো মা-ই
সাদা শাড়ী আর অল্প ঘোমটা টানা
সাদা সাদা হাতে হলুদের দাগ
শরীরটা মসলাগন্ধ
সদ্য জন্মানো মেয়ের গায়ে মায়ের বাস
মা আর এমন কি?
মা তো মা-ই।
মা-কে মনে পড়ে
মা’কে ভীষন মনে পড়ে যায়
বাজার থেকে খোলসে মাছ এলে
কিংবা ঈদের সকালে
লাজুক
কি যেন ছিল কথা
কি যেন আছিল ব্যথা
কতিপয় রোদ্দুর, কতিপয় মেঘ
মেলে দিলে চিরল পাতার চুল
বেণি যায় খুলে তিনভাগে
কি যেন তাকে হয়নি বলা।
ভরা মরশুমে,
যৌবনবতী শরীরের পাশে—ও নদী,
এক চিলতে রেখো গো পথ
সেই প্রিয়জন সাঁতার জানেনা
কতবার আকণ্ঠ ডুবেছে
নিমজ্জিত শ্যাওলা তুলে তুলে ক্লান্ত।
প্রাণে যত ছিল কথা
বলে