উত্তর
মহাদেবী ভার্মা এই এক বিন্দু অশ্রুতে,
চাইলে সাম্রাজ্য লুটিয়ে দাও,
আশীর্বাদের বৃষ্টিতে,
এই শূন্যতা ভরিয়ে দাও; কামনার স্পন্দন থেকে,
ঘুমোনো একান্ত জায়গা দাও,
আশার কোমল হাসিতে
আমার নৈরাশ্য লুটিয়ে দাও। চাইলে জর্জর তারের মাঝে,
নিজের মানস বিজড়িত কর,
এই পলকের পেয়ালাতে,
সুখের প্রেরণা ছলকে দাও; আমার ছন্নছাড়া প্রাণে,
সমস্ত করুণা

দীর্ঘজীবী হও হে প্রিয় সৈনিক ২০১২ সালের ডিসেম্বরের কনকনে শীতের এক রাত। ওপার বাংলার শিয়ালদহ স্টেশনের জন আহার রেস্টুরেন্টে বসে আছি, সম্ভবত এক কাপ চা ছিল টেবিলে। ন’টা সারে ন’টা বেজে থাকবে। রেস্টুরেন্টটিতে তখন আমার

২০১২ সালের ডিসেম্বরের এক কনকনে শীতের রাত। স্থান, ভারতের কোলকাতাস্থ নন্দন। প্রধান ফটকের কাছে দাঁড়িয়ে আছি। চারপাশে সাজ সাজ রব। উপলক্ষটা ছিল ‘চিলড্রেন ফিল্ম ফ্যাস্টিভাল’। নানা রঙে সেজেছে নন্দন। চারিদিকে উজ্জ্বল আলোকসজ্জা, বিভিন্ন রকমের অলঙ্করণ। শিশুদের উৎসব বলে কথা, কোথাও

সে সব বিকেলের কথা মনে পড়ে গেলে আজ আমি আকাশ হয়ে উঠি। আমার বুক থেকে যে অর্বাচীন তারারা অহর্নিশ খসে পড়ে, তাদের জন্যে আমি বিশেষ কোনও শোক করি না, শুধু করুণ চোখে তাকিয়ে থাকি। কাকতাড়ুয়ার দীর্ঘ কালো আলখাল্লায় ঢাকা আমার

তোমাদের মনে পড়ছে; তোমরা এখানে ছিলে
তোমরা ভালবাসতে রূপোর নূপুর, সবসময় পরতে
তোমরা প্রজাপতির মতো উড়তে, নাচতে
কিন্তু তোমাদের নূপুরগুলোতে শব্দ হ’তো না
আর আজও অজ্ঞাত ও রহস্যাবৃতই তা;
তোমরা ভালবাসতে শিশিরভেজা সবুজ পাতা
চাইতে, বারোমাসই এরকম শীত থাক শহরে
আসন্ন বসন্তের জন্য আমরা উদগ্রীব

জীবনভর আমি বিশ্বাস করেছি তোমাকে, কিম্বা হয়তো করিনি। হয়তো একদিন সত্যি সত্যি আমি তোমার অন্তরীক্ষ থেকে নেমে আসবার অপেক্ষায় ছিলাম, কিম্বা হয়তো ছিলাম না। হয়তো সবসময় তুমি পাশেই ছিলে, হয়তো ছিলে না। আমি দ্বিধাগ্রস্থ। একদিন শহরের

কতো কথা হলো বলা
কিন্তু বলাই হলো না আর
যে কথা বলবার ছিল আয়োজন দুজনার
উচ্চ রক্তচাপ কালোরাত নিয়ে এলো রোদ্দুরের দুপুরে
আমি সুচালো কাটাওয়ালা একটা সজারু দেখলাম
সহসা তোমার চোখে
প্রাণপণ ছুটে পালাচ্ছিল
লোকালয় ছেড়ে হয়তো কোনও গহীন অরণ্যে

সেই দুটি চোখ আজ কার জন্য কাঁদে
ক্যাফেটেরিয়ার ম্রিয়মাণ আলো আঁধারিতে
কখনও আমার জন্য যা ভরে এসেছিল নীল অশ্রুজলে;
সহসা নিকষকালো মেঘে ঢেকে গিয়েছিল সারা আকাশ
অবিরাম ঝর বৃষ্টিতে প্লাবন এসেছিল শহরে
ভিজে চুপেচুপে কাকগুলো সেদিন বসেনি আর ইউক্যালিপটাসের ডালে বলো, সেই দুটি

গোলাপ ফোটার কাল আবার এসেছে পৃথিবীতে
গাঢ়তম মদিরায় পানপাত্র ভরে দাও আমার
আকণ্ঠ করাও পান
মিটিয়ে দাও এই কালো নীল তৃষ্ণা সাকি
আজ কিছু কর তুমি এর;
যদি পারো প্রিয় সখা সাকি
আজীবন তোমার ক্রীতদাস হয়ে র’বো
তার জন্য একটি কড়িও গুণতে হবে না তোমাকে
সম্পূর্ণ নিখরচার

দ্বিধা নেই এখানে কোনও আর
এখানে তোমাদের চোখ
কোমল বসন্ত ফিরিয়ে এনেছে আবার
বায়ূ দূষণের এই প্রখর গ্রীষ্মে ।
সমস্ত সহজ অঙ্ক ভুলে যাই আমি
দুই দুগুণে চারের নামতা
হয়ে পড়ে ছয় । তবে এই ভুলে যাওয়া অনেক সুখের
কারণ এখানে তোমাদের চোখ
আমার চোখে

নববর্ষ
হরিবন্শ রায় বাচ্চন বর্ষ নতুন,
হর্ষ নতুন,
জীবনের উৎকর্ষ নতুন। নতুন স্বপন,
নতুন স্পন্দন,
জীবনের নতুন আয়োজন। নতুন আশা,
নতুন রাস্তা,
জীবনের নতুন পথ চলা। গান নতুন,
প্রেম নতুন,
জীবনের রীতি নতুন,
জীবনের নীতি নতুন,
জীবনের জয় নতুন!