কতদিন আমি মেঘের দিকে তাকিয়েছি ঠিক নেই
অত দিনক্ষণ কেউ মনে রাখেনা
আমিও রাখিনি,
সেটাই খুব স্বাভাবিক —
আমার শূন্য দৃষ্টিতে কখনোই আকাশ এতটা লাল হয়ে উঠেনি,
তবে কি এটা কষ্টের লাল আকাশ?
ঠিক মিলছে না
কষ্টের প্রতীক নীল হয় জানি !
যেমন কষ্টের নীল বেদনার গোলাপ

এই সেই একমুঠো বিষণ্ন রোদ
যা আকাশ নিতে পারেনি বুকে,
দিগন্ত জোড়া শূন‍্যে ফেলে দিয়েছে —-
রোদ এখন উল্টো সূতো কাটা ঘুড়ি হয়ে উড়ে গেছে
নগ্ন আকাশে। দূরের সমুদ্র বুকে ভেসে গেছে সঘন মেঘ
একদিন সন্ধ্যেবেলা মেঘের মন খারাপ ছিল ভীষণ
মেঘে মেঘে ঢাকা ছিল

বহুদিন পর আমি প্রিয় আকাশ দেখলাম
ঠিক কতদিন আকাশ দেখিনি মনে নেই,
আকাশ কি একটু বেশি নীল হয়েছে ? একটু বেশি সুন্দর
হয়তো আকাশ আগের মতই আছে –
বহুদিন পর আকাশে মেঘ করেছে
সে মেঘে আমার দুচোখ ভিজে গেছে
তবে কি এ দুঃখের প্রকাশ এই

— সোনালি
আজ তপ্ত আগুন দুপুর খুলবো খরা জৈষ্ঠে তোমার বুকে
ইচ্ছেরা বাঁধা দেবে
তুমিহীন পৃথিবী এক কষ্ট সমুদ্রে ডুবে আছে,
তোমার মনের পর্দায় বাসনার নীল রং
ছড়াবো অনুরাগে
জল রঙে আঁকবো ছবি মেঘের গায়ে
অবাক কবি — তোমারই ছবি
হিমেল হাওয়ায় জড়িয়ে থাকবে
সবুজ ঘাসে মেঠো অনুভূতি ;
থোকা

শুধু তুমি বলছ না আর একটি কথাও
বৈশাখের মাতাল বিকেলে কৃষ্ণচূড়ার তলায় বসে,
দু’হাতের দশ নখে অকারণে দূর্বাঘাস ছিঁড়ছো —
জানতো ঘাস ও ব্যথা পায় মনে! বিশ কোটি বছর আমি এক গ্লাস রাত খেয়ে বেঁচে আছি
কবিতার খুব কাছাকাছি থেকেছি
খুব বুঝেছি

কতদিন তোমাকে বলেছি, আকাশ তোমার বুকের ডিভানে
একটা স্বপ্ন আঁকো__
দুঃখের নির্যাস দিয়ে,
সে স্বপ্নের হৃদপিণ্ড ছুঁয়ে থাকব
আমি_
আমি
শুধুই আমি! কেন না আমিই___ আমি তো এক দুঃখ মানবী
সুখের নির্যাস ও থাকবে দুঃখের বিপরীতে__
ওটুকু কেবল তোমার ;
আমি চাইনা তুমি ও ঠিক আমার মতো, সারাক্ষণ

বুকের ভেতর এক সমুদ্র চাপা কান্না
কখনো ঢেউ ভাঙে
কখনো দুর্নিবার ঢেউ হয়ে ছুটে যায় বহুদূরে
কখনো নিঃশব্দ বিচরণ। যদি এ চোখে এক সমুদ্র জল শুকোয়
তাতে তোমার কি যায় আসে?
তুমি ভালবাস আমাকে? ছুঁয়ে দাও কান্নার জল এ চোখে ;
ভালবাসতে আমার কেমন ভয়
কিন্তু হলে কি

মোহনীয় বিকেলের কৃষ্ণচূড়া রোদ্রে আগুন লেগেছে
এ আগুন গোলাপের মত নরম
মেঘের মত তরল,
মেঘ গলে বৃষ্টি নামে
ডানা সুদ্ধ পাখির পালক ও হার মেনেছে
পাথর চোখে বৃষ্টি জমেছিল এক শতাব্দী আগে,
প্রতিটা কঠিন শব্দের দিকে আমি হাত বাড়াই
হেঁটে যাই
মুঠো মুঠো তুলে

প্রকৃতির উষ্ণ ঠোঁটে এখন কাশফুল ঘ্রাণ
সাথে বৃষ্টি ভেজা অনুভূতি,
শ্রাবণ চলে গেছে
বৃষ্টি যায়নি …
এক আকাশ নিয়ে আমি ভীষণ খুশি,
যখন তখন মেঘ হয় আকাশে
মেঘ গলে ঝুম বৃষ্টি …
বৃষ্টির কোন বাঁধা ধরা নিয়ম নেই
ভিন্নভাবে কত রূপে বৃষ্টি হয়। মনের আকাশে মেঘ জমলে দু’চোখে আমি

সেদিন কৃষ্ণচূড়া স্বপ্ন ঘুম ভেঙ্গে নিঃশব্দ কবাঞ্চ ভোরের ঠোঁটে
দেখি’নি ঘাস বুকে
এক ফোঁটা শিশির
অন্তহীন ভোরের নীড় ছেড়ে ভয়ার্ত শীতেরা রোদ
পোহাতে গেছে,
পৃথিবীর ভূগর্ভে বেড়ে ওঠা দারুচিনি দ্বীপে
অভিমানী শিশির জমে গেছে ঘাস ঠোঁটে
চোখে পড়েনি –
আমি দূর থেকেই অচেনা শহরটাকে দেখেছি
শিশিরের চেয়ে ও নীরব

সেদিন বৃষ্টি ছিল গোধূলি বেলায়
হালকা মেঘে সাদা বৃষ্টি
মনের আকাশ ছুঁয়ে উড়ছিল শীতের পাখিরা,
পথ হারা কিছু পাখির ডানায় লেখা হল নীল বেদনার গল্প !
লাউয়ের মাচায় ঝিরি ঝিরি হিমেল হাওয়া দোলা দিয়ে যায়
এক বিকেলের কষ্ট মেঘে
হঠাৎ আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে
লকলকে লাউয়ের

আজ এই তোমাকে লিখেছি বলেই তুমি কবিতা হয়েছ
তোমাকে কেউ কোনদিন আবৃত্তি না করলেও তুমি কবিতা হয়েই থাকবে,
তুমি কবিতা হয়েই এই পৃথিবীর রং দেখেছ
তোমার জন্য আকাশ অনেক সুন্দর।
কবিতায় হারানো দিনগুলি ফিরিয়ে আনতে ভীষণ ইচ্ছে করে —
যদি আনা যেত :
স্বপ্নের বারান্দায়
বিকেলের

এই যে শুনুন, আপনাকে বলছি
আমাকে বলছেন?
জ্বি, আপনার নামটা কি আমি জানতে পারি?
কেন বলুন তো?
আমার নাম দিয়ে আপনার কি দরকার?
আচ্ছা বিরক্ত হচ্ছেন কেন?
আপনার নাম আমার জানা দরকার
বিশ্বাস করুন :
আগে নাম বলুন পরে কারণ বলছি,
ওহ্! ঠিক আছে
আমি নীলা।
ওহ্! তাই বলুন কি

এক ঘড়া বিশুদ্ধ প্রেমে সাত সমুদ্র তের নদী ডুবে গেছে
একটি দীর্ঘ কবিতা সেদিন কৃষ্ণচূড়া স্বপ্ন ঘুম ভেঙ্গে নিঃশব্দ কবাঞ্চ ভোরের ঠোঁটে-
দেখি’নি ঘাস বুকে
এক ফোঁটা শিশির
অন্তহীন ভোরের নীড় ছেড়ে ভয়ার্ত শীতেরা রোদ
পোহাতে গেছে,
পৃথিবীর ভূগর্ভে বেড়ে ওঠা দারুচিনি দ্বীপে
অভিমানী শিশির জমে গেছে ঘাস

বুকের গাঢ় ভাঁজে লুকিয়ে আছে নীল
সে নীল ছড়িয়ে গেছে এক আকাশে,
প্রকৃতির সবুজাভায় এক আকাশ রৌদ্র ছুঁয়ে আছে
পুড়ে যাওয়ার ভয়ে আলগা হয়েছে মুঠো ভরা স্বপ্ন:
নক্ষত্র দুপুর চোখ মেলেছে
স্তব্ধতার নির্জনতায় ঘুমিয়ে আছে গভীর রাত
বৃক্ষের ফুল পাতায় ভরে গেছে জ‍্যোৎস্না ;
সমুদ্র’র চোখে বৃষ্টির