তোমার সাথে চা খেলেই
এক কাপ গল্প বনে যায় মনের কথাগুলো
তোমার হাতে কড়ই ফুল
আমার চিন্তায় তা বেনী এঁটেছে তোমার চুলে
একবার এসেছিলে যে বেলায় পুকুর পাড়ে
তোমার জন্য সাজিয়ে রাখা মেহেদী রং
সূর্য কেড়ে নিয়ে বেলাজা গোধুলী বেলা হল
আমি বললাম-
চল কৃষাণীর মত করে বাড়ি
মানুষের শরীরের প্রতি অঙ্গ, আত্নিক বিষয়, আধ্যাতিক ভাবনা, মন্স্তাত্বিক চিন্তা ও চেতনার প্রয়াশ, সাংসারিক ও সামাজিক পটভূমিগুলোই হচ্ছে আমাদের বর্তমানে পঠিত বিষয়গুলো । আমরা স্কুল কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে যা পড়ি তা সবই আসলে এমন বিষয় যা আমাদের শরীরের সম্পদ, ভাবনা অথবা পারিপার্শিক কোন কারণ বা
এখন আর বইয়ের পাতা উল্টে না
বইয়ের পাতার নীচে জমে থাকা পুরোণো গোলাপের পাঁপড়ির ঘ্রাণও নেই
আঙ্গুলে আঙ্গুলে যেভাবে উল্টে যায় খবর, প্রেম, উপাখ্যান
সেখানেও যেন দৃষ্টিগুলো অগোছালো !
ফেইসবুক, টুইটার অথবা লিংকড ইনে খুঁজে বেড়ানো কি যেন স্বপ্ন
কি যেন বিভোর করে রাখে দিনগুলো,
কি যেন এক অস্থির হৃদয়ের
এক কাল এক কাল করে
যতবার মহাকাল গিয়েছে চলে
ততবারই স্পষ্ট পদচিহ্ন এঁকেছে এ পথে
বাঁশের সাঁকোর সোপানের অভাবে হয়ত একদা এ পথে
ছিন্ন হয়েছে কোন বধুয়ার ভালোবাসার আচল
হয়ত চর দখলের বিভেদে গিয়েছে প্রাণ,
অথবা বিশাল জলরাশির মাঝ বরাবর এসে হাসিতে লুটিয়ে পড়েছে মাঝি
পেয়ে জীবিকার
কবিতা|
৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৩৯ বার দেখা
| ১২২ শব্দ ১টি ছবি
প্রাচীনের অসমাপ্ত কবিতা
যতক্ষণে আমি লেখক সত্তা থেকে অবসর নিয়েছি
ততক্ষণে আমি টেবিলের কোণায় দাঁড়ানো ল্যাম্প পোষ্টের অভিমুখে
নিঝুম রাতে মানুষের হৃদয় আছর করা আমিতে পরিনত
তখন যে বাস করে তা অতি প্রাচীনে হারিয়ে যাওয়া কোন শব্দ
অথবা কোন ইশারা
বাইরে তুমুল বৃষ্টির সময় একপাশে টেবিল ল্যাম্প
আর অন্য পাশে আয়নার
পাহাড়ের রহস্য আর নারীর রহস্য একেবারেই এক রকম মনে হয়। প্রতিজন নারী একই মাটির তৈরী কিন্তু প্রতি জনকেই নতুন রকম রহস্যময় মনে হয়। দশ মিনিট নিঝুমভাবে উঁচু পাহাড়ের এক কোণায় গিয়ে বসে সমীকরণ মেলাবার চেষ্টা করেছি ! মহান আল্লাহর অপার সৃষ্টি এক এই প্রকৃতি
ভ্রমণ|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৭৪ বার দেখা
| ৩৫১ শব্দ ২টি ছবি
অন্তহীন আধারে চোরা গলি বলে কিছু নেই
অস্পষ্ট আর নির্জনতা বিষন্নতাকে দূরে ঠেলে দেয়,
বাঁচার ইচ্ছে যখন ভেতরে ভর করে
তখন সামান্য ফরিংয়ের আহত ওড়ার স্বপ্নকেও
মনে হতে পারে ডাইনোসরের বৃহৎ থাবার শব্দের মত
জীবন তীব্রতর গতির প্রতিশব্দ,
আধার আর আলো সেই প্রতিশব্দের শুদ্ধ উচ্চারণ,
যারা চোরাবালি আর
খুব নীল হতো আকাশ সে শিশু বেলায়
বিকেলের কড়া সে মাঝ নীল আকাশে রকেট উড়ে যেতো
কি যেন সাদা সাদা রকেট থেকে বের হয়ে
আকাশটাকে শুভ্র করে দিয়ে যেতো
পশ্চিম আকাশে হেলে পড়া সূর্যের দিকে রকেটের ছুটে চলা
আমি বিস্মিত হয়ে দেখতাম,
সূর্যকে ভেদ করার অদম্য ইচ্ছার পরিসমাপ্তি কি
মনে প্রশ্ন
একদা যখন রাস্তায় হাঁটতাম
তখন নিচু জমি থেকে রাস্তাগুলোকে পাহাড়ের সমান উঁচু মনে হত
মায়ের হাত ধরে নিচের দিকে তাকিয়ে
দৌড়ে মায়ের বুকে ফিরতাম!
ছোট ছোট পথের দূরত্বও মনে হত ক্রোশ ক্রোশ দূর বুঝি
বাবার আঙ্গুল ধরে ধরে হাঁটার সেই দুরুত্বগুলো
পায়ে ব্যথার কারণ হত, হাপিয়ে উঠতাম
কিন্তু কখনই মনে হত
মেঠোপথের ধারে যেথা
জলরাশির বাঁক থাকে
ঐ বাড়িটায় শান্তি আছে
নদীর পাড়ে বলে
সান্ধ্যবেলা নৌকাগুলো
ঢেউয়ের তালে তালে
এলেবেলে চলে চলে
জীবনের কথা বলে
চাঁদের আলোর প্রতিফলন
নদীর হাওয়া নিয়ে
ঐ বাড়িটার জানালায়
সুখ দিয়ে আসে
নদীর তীরে পথগুলোর
পাড় ঘেঁষা বাড়ি
সুখের হাট এখানে
সুখ সারি সারি
বাংলার বুকের নদীমাতা
সুখ ফেরি
দৃষ্টির সিমানা যতদূর যায়
তত দূর পর্যন্ত বিস্তৃত কোন ভোরের দ্যুতি
কাল্পনিক ভোরগুলো প্রতিটি শিশির বিন্দুর মধ্যে আবৃত
তটস্থ রাত আর বিষন্ন সময় যখন
একটি কুপির আলোর স্বাক্ষী হয়ে থাকে
তখন ভোরের সবটুকু প্রাপ্তি হল
সে “ভোর” হওয়ার পর ক্লান্তি মুক্ত হল
এখন অপার ধান খেত, রাশি রাশি শিউলি