সোমবার এলেই বাড়তে থাকে দীর্ঘশ্বাস।
করাতকলের মতো ঘ্যাষ ঘ্যাষ শব্দ
তীক্ষ্ণধারে কাটছে ধানি জমির ফসল।
জানা আছে সেই মন্ত্র – ভাঙ্গলেই আয়ু শেষ
বিঁধে থাকি – পাছে পড়ে যাই যদি –
অনিশ্চিত এক ভবিষ্যৎ।
তবু ডাক দিয়ে যায় নিষিদ্ধ করাতকল
সানগ্লাস– ধরে রাখে চোখ
পুরুষ্টু আঙুলে ছুঁয়ে
ধরো পৃথিবীর মধ্যভাগে রাখা হলো তোমাকেই
সাগর কিংবা মহাশূন্য পাড়ি দিতে হবে না।
পার হয়ে এসেছ হোমো স্যাপিয়েন্স-দের যুগ
আহ্নিক গতি – বার্ষিক গতি কি জানা নেই
উত্তর মেরু – দক্ষিণ মেরু সম্পর্কেও তুমি অজ্ঞ
প্রত্নতত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব, জিনতত্ত্বের মতো জটিল বিষয়
নিয়ে চিৎকার করছে ফারাও খুফুর পিরামিড
কান বন্ধ – দৃষ্টি
নিজের ওপর নজর রেখো
চুরি হতে পারে হরিণী চোখ
গোলাপি ঠোঁট
দুরন্ত ইচ্ছে
পাখি মন।
নিজের ওপর নজর রেখো
নষ্ট হতে পারে জীবন
কষ্ট পেতে পারে মন।
বিশ্বাস বাঁচিয়ে রেখো
যে হাত ধরেছো তুমি সে হাত মানুষের।
আমি হিংসা পূজারী নই
নিরীহ পাখির মতো যার স্বভাব
নষ্ট পথের ধুলি তাঁর
সূর্য অস্ত যাচ্ছে
শহর জুড়ে ভাসমান অন্ধকার
আর আমরা প্লাস্টিক ফুলগুলো সাজিয়ে রাখি
খুঁটে নিতে যৌথ আলোর নির্যাস
গভীর রাতে ক্ষীণ-আলোয় জমে ওঠে কথোপকথন
একদম শাল থেকে আম বৃক্ষ পর্যন্ত
বিষদৃষ্টি যতোসব মানুষের চোখ
এভাবে ফ্রিকোয়েন্সি শূন্য হতে থাকলে
আমরা আঁধারের বুকে ঘুমিয়ে পড়ি।
স্মৃতিগুলো ধরে রেখো
দ্বন্ধ আর দ্বেষে সময়গুলো পেরিয়ে যাচ্ছে।
পরম বিশ্বাসী বন্ধু আমার
রাজপথে নামার আগে মানুষ চিনে নিও।
সময়ের প্রতিনিধি অনেকেই হতে চায়
সৃষ্টি ও শিল্পমননে নিবেদিত যে তার দিকে বাড়িয়ে দিও হাত।
এ পৃথিবী বিশাল রণক্ষেত্র
নৈরাশ্য ঘিরে ধরার আগেই বোধদয় হোক সবার।
স্বতন্ত্র স্বত্ত্বায় জেগে ওঠো
জঙ্গম পাথরে বেঁধেছে যে
শান্ত ঠোঁটে নেমে আসছে নিস্তব্ধতা
একটা নিষিদ্ধ আবেদন কর্ষণ শেষে
ধীরে খুলছে মনের আগল
এমন প্রকাশ্য বেদনাহীন মৃত্যু কে না চায়?
টুকে রাখ ছুটি দিনের ঠিকানা
আমরা ভ্রমনে যাচ্ছি
ব্যাস্তানুপাতিক সম্পর্ক ঠেলে দূরে
মুখোমুখি বসে চাঁদ পুকুরের পাড়ে
লিপিবদ্ধ করি একে অন্যের মুখ।