প্রাচীন প্রেম সেঁদো মাটির ঘ্রাণে ভেসে উঠে চোখে
প্রাচীন প্রেমের তৈলচিত্র,
মাছরঙা ঠোঁটে ক্লান্তি

স্বপ্ন অতপর মৃত্যু মৃত্যুর চুমু তাদের চারপাশে
শূণ্যতা পূরণ করে চলে,
উদ্বিগ্ন জীবনের ক্লিষ্ট স্বপ্নটা
সমাধানে অনন্ত বিশ্রামে ! ঘুম আর ঘুমন্তে যেখানে মানুষ
থাকে পড়ে,
দিন শেষে সেখানে মানুষ বাঁচে

শরৎ বৃষ্টিতে রিমঝিম এই শরতের ঘোর দিনে
কারে যে মনে পড়ে একেলা ক্ষণে
পথের দিকে চেয়ে। ঊষার পাতে শিশির জল মেখে
বেণুবন ঐ ভিজিয়ে তরুলতা

স্মৃতি
স্মৃতি হলো অগ্নিশিখা, বুকেতে
আগ্নেয়গিরি জ্বালায়, না পাওয়ার বেদনায়, জীবনটা
মরণ পথে পা বাড়ায়!

তাপসিনী রাঁধিকা শরৎ সন্ধ্যা, উদাস নীল আকাশ

অভিমান,
বিকেলের রৌদ্দুর তোমার খোলা জানালায়
গোধূলি এঁকে গেলে, জানালার গ্রীল ধরে তুমি আর থেকো না দাঁড়িয়ে
এমন উদাস চোখে! চুলের ভাঁজ খুলে দিয়ে সন্ধ্যাকে আমন্ত্রণ করিও

তোমার ইচ্ছে হলে বৃষ্টি পাঠিয়েও
মেঘলা আকাশ
বাদল ঝরো দিনে ! তোমার ইচ্ছে

বৃষ্টি বিলাস খণ্ড-খণ্ড মেঘ উড়ে যায়
কাছে থেকে দূরে,
রৌদ্র হয়েছে আজ বিলীন
আষাঢ়ের দুপুরে। বৃষ্টিরা ঝরছে আজ অঝরে
তোর এলোকেশ ছুঁয়ে,
ঢেউয়ের নূপুর বাজছে তোর
আলতা রাঙা পায়ে। বাদল দিনে হবে বৃষ্টি বিলাস
তোর সঙ্গে ভিজে,
জলের খামে স্বপ্ন সাজাবো
তোর বুকের মাঝে। 13-06-17

একদিন ঝরাপাতারা থেমে যাবে
মাটির ছলনায়-গোধূলির সহচরে।
একদিন জীবনের পেয়ালায়

মেয়েটি শুধুই খুঁজে ফিরে কারুর
প্রশস্তত বুক, নির্ভয়ে মুখ লুকাবে,!
ছেলেটি খুঁজে ফিরে হয়ে দিশেহারা
শহরের পথে পথে নেশারা আঁখড়া,! যেখানে গেলে ছেলেরা মেয়েটিকে ভুলে
বৃদ্ধরা ভুলে থাকে তাদের ভুল নারীদের,!
মেয়েটি শুধই খুঁজে ফিরে কারুর দুটি হাত
বিশস্তত দশ আঙুল থাকবে রাতের পর রাত,! মেয়েটি পেলো না প্রশস্তত বুক, আর হাত,
ছেলেটি

একটি অসমাপ্ত বিকেল থমকে আছে
শঙ্খচিলের সোনালি ডানায়____!
একটি গোধূলি সন্ধ্যা রোদ্রের চিলেকোঠায় বন্দি,
মাসকাবারি আলোক ফ্রেমে____!
পুকুরের তরঙ্গ জলে অস্হির স্তবিরতায় রূপান্তর__
বেলজিয়ামের আয়নায় মুখ ও মুখোশ ছবি
অথৈ ভাবে ভাবান্তর চারপাশ ঘিরে । হঠাৎ করে’ই গাছের আড়ালে
দেখা গেলো একটি কচি হাত___!

নতুন করে কেউ আমায়
এখন স্বপ্ন দেখালে,
সেই স্বপ্নে আমি আর
সুখের ঘর বাঁধি না । কত স্বপ্নই তো দু’চোখে
স্বপ্ন হয়েই রইলো,
কখনো তো আশার ফুল
হয়ে তা ফুটলো না । ১২/০১/১৮

একদিন আমিও তোর শহরটা
কিনে নিবো মন বিনিময়ে ।
একদিন তোর শহরে আমি একাই
রবো,কাকতড়ুয়ার বেশে । একদিন আমিও তোর শহরে
ঘর বানাবো রৌদ্র চিলেকোঠায়।।
প্রযত্নে লিখবো ‘তোকে চাই’ । অলস বিকেলে

মেয়েটির কেউ রাখে না খোঁজ, যে মেয়েটি রোজ রোজ জানালার গ্রীল ধরে
দাঁড়িয়ে থাকত দু চোখ মেলে
দূর মেঘের মিনারে,