জানি আমার অনন্ত অপেক্ষা তোমার জন্য। পৃথিবীর বুক থেকে একদিন, জলছবি জমা হতে থাকে আর অভিমানের হাতে হাত রেখে নিশ্চুপে গুটিয়ে নিই নিজেকে। চার দেওয়ালের কোনে,জমে চলে আজন্ম অনুভূতি, রাত কেড়ে রাত নেমে আসে। ফাগুনের ফাগের আগুনে কে আর ঝাঁপ

জীবনের মানে, অভিমানে, যুদ্ধে ও গানে চলতে ফিরতে বিশেষজ্ঞই হয়ে গেছি। যখন কেউ তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলে, খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধানের উপায় বলে দিই। তারা গল্প শেষে যাবার সময় বলে, তোর ঘরে বুঝি সুখ ধরেনা ?
ভীষন সুখী তুই তাই

বিয়াত্রিচের প্রেম দাঁড়াও কিছুক্ষণ, এই নাও ছুরি,
উপড়ে ফেলো আমার হৃদয়, এক আঘাতই।
নিস্তব্ধ অন্ধকার রাতে একা একা তারাদের
আনাগোনা দেখতে দেখতে ক্লান্ত দুচোখ! বৃষ্টি ভেজা পায়ে দৌড়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে,
বুঝলাম পায়ের লিগামেন্টের অবাধ্যতা।
তখন অস্ফুটে তীব্র যন্ত্রণা বেরিয়ে এলো মুখে প্রথম যন্ত্রণা চিৎকার ছিলো জন্মচমকে,
দ্বিতীয়

স্বাধীনতা তুমি নিয়ন আলো
জমাট অন্ধকারে
তবু ফুটপাতে শুয়ে নগ্ন শিশু
দিন কাটে অনাহারে। স্বাধীনতা তুমি বৃদ্ধাবাসের
নিয়ন আলো, স্বপ্নবাড়ি
নিয়ম গড়ছে, ভাঙছে নিয়ম
জীবনের কারবারি। স্বাধীনতা তুমি কৃষকের
ঘাম ঝরানো শ্রম
তিনটে রঙের জয় পতাকায়
আহা! আনন্দ আশ্রম! স্বাধীনতা তুমি অমর প্রেম
ছন্দ ভরা গান
একসূত্রে বেঁধে রেখো
শতকোটি প্রাণ!
****

স্বপ্নে কতকিছুই দেখতাম –
ময়ূরপঙ্খী রং এর মেঘের ফুল,
ঘাস ফড়িঙ এর সাথে গোল্লাছুট খেলা,
রং বেরং এর প্রজাপতিদের ডানায় চড়ে
ফুলের পরাগ মেখে একাকার হয়ে যাওয়া।
বিসমিল্লার সানাই, পক্ষীরাজ ঘোড়া। কত কিছু ভরে নিতে চেয়েছিলাম হাতের মুঠোয় ,
এক আকাশ তারার কুচি,
মাটির উঠোন, সন্ধ্যা প্রদীপ, ভালোবাসা,

বিকেলে জানলার ফ্রেমে চোখ রেখে ইলেকট্রিকের তার গুলোকে দেখছিলাম। সুখে, দুঃখে, সারাক্ষণ একে অপরকে ছুঁয়ে আছে। একে অপরের হাত ধরে চলে গেছে বহুদূর। এ যেন এক অদ্ভুত প্রেম। একে অপরের সাথে সহমরণে যাবার অঙ্গীকার বদ্ধ। চোখ গেলো

এই সময়টা আমার জন্য নয়
এখনও আসেনি সেই আকাঙ্খিত সময়
তাই আজও হারিয়ে যাইনি বেয়াড়া স্রোতে।
সত্যিই হারাইনি! হারাতে চেয়েছিলাম একবিন্দু আলোর মাঝে,
হারাতে চেয়েছিলাম বিশাল সমুদ্রে
এককণা ধবধবে সাদা নুড়ি হয়ে।
সত্যিই হারাতে চেয়েছিলাম! ভালবাসতে চেয়েছিলাম গভীরভাবে,
চেয়েছিলাম উজ্জ্বলতম নক্ষত্রের মতো
শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্রেমের উপাখ্যান হতে।
চেয়েছিলাম,
সত্যিই চেয়েছিলাম! তাই আজও

বৃষ্টি এসো, এদিকে এসো,
ওদিকে যত ঈর্ষার কাতর মুখ।
ওই প্রাচীন পুকুর পাড়ে,
জ্যোৎস্না গায়ে মাখো।
কৃষ্ণচূড়া, বকুল, হাস্নুহানার গন্ধ নিয়ে,
কান পেতে – হাজার বছরের পৃথিবীর জন্ম কথা শোনো।

“Don’t walk behind me; I may not lead Don’t walk in front of me; I may not follow Just walk beside me and be my friend”
– Albert Camus আজ বন্ধু দিবস। আমাদের সময়ে অবশ্য এতো দিবস ছিলো না। আজ একটু ছোটবেলায়

আকাশ ছেঁচা বৃষ্টি চাই
তোমার আমার মাঝে
ভেসে যাবে বিশ্ব চরাচর একটা ভীষণ ঝড় চাই
ঝড়ে আড়াল থাকবে না
উড়ে যাবে অহংকার, অভিমান। হঠাৎ মেঘের ডাকে
চমকে উঠবো আর
দৌড়ে যাবো তোমার কাছে মিশে যাবো রন্ধ্রে রন্ধ্রে
আহ্লাদে কেঁপে উঠবে পৃথিবী
লজ্জায় উছলে উঠবে নদী। আমার একটা তুমি চাই
ছোট যতো ভুল এড়িয়ে
বুকে

বর্ষা বিলাস গজলটা টা আমার খুবি প্রিয় কিছু গজলের মধ্যে একটা। একসময় বৃষ্টিতে ছাদে উঠে ভিজতাম। এখন আর ভেজা হয় না আগের মতো। আর বৃষ্টিও আর আগের মতো আমায় কাছে ডেকে না। অভিমানে অনেকটাই দূরে চলে গেছে। এখন যদিও সবদিনগুলো একই

আঘাত পেলে হৃৎপিণ্ডের কিছুফোঁটা
রক্তের ধার দেয় দু’ চোখকে
রক্তের রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জল
গড়িয়ে পরে হিমালয় থেকে সাগরে।
**
সকালবেলায় খবরের কাগজেই
অফিসের মাছের ঝোল ভাত
পাড়ার জঞ্জাল সাফাইয়ে কুকুরের লাশ
জীবন এখন দুটাকায় বিক্রি হয়।
**
সহজ সরল গ্রামেও এখন
আণবিক বোমার আতুর ঘর
সভ্যতার রকেট মঙ্গল গ্রহে
আমলাশোল এখনো ধুঁকছে।
**
ঘুমপাড়ানির গানে

স্বপ্নগুলো আজকাল আসে না আর,
রাতজাগা চোখের পাতার নিচে কালচে দাগ।
রোজকার কাজ- অবসরে- ভীড়ে-
ব্যস্ত থাকি রোজনামচায় সূচীপত্র ধরে
কলের মানুষ হয়ে। অবাক হয়ে চেয়ে থাকি
মিলিয়ে যাওয়া বিশ্বাসটুকুর দিকে।
আলো রঙ স্বচ্ছ করে ভালোবেসে
ভয়ানক দোষ করে ফেলি। একদিন স্তুতিতে ভাসিয়ে তারপর
নির্বিকারে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে, শুনানি হয়ে যায়

তুমি ও আমি তখন তোমার কেউ ছিলো না
আমিও ছিলাম একা।
হঠাৎ করে পথের বাঁকে
তোমার আমার দেখা। তোমার দুহাত ঋদ্ধ এখন
আমিও পরিপূর্ণ,
তোমার আকাশ ঝকঝকে নীল
আমার আকাশ শূন্য। তোমার এখন ঝলমলে রোদ
আমার শ্রাবণ চোখ
যুদ্ধে আমি পরাজিত
তবু তোমার ভালো হোক। আমার এ পথ কণ্টক ময়
তোমার পথ হোক শুদ্ধ।
আমার

জীবন যেমন হঠাৎ সেদিন পথের বাঁকে, কি জানি কার ডাকে, পেছনে ফিরে খুঁজে পেলাম নিজেকে। অনেক আলোর দিনেও, সেই বৃষ্টি ভেজা পাতার গন্ধ-ছায়ায় নিজেকেই খুঁজি। সেদিনেও গুঁড়ো গুঁড়ো বৃষ্টিরা এসে জল-চোখে চোখ মিলিয়েছে। দৃষ্টির এতটুকু আকাশ, চাইতে গিয়ে গুটিয়ে গিয়েছি