শাকিলা তুবা-এর ব্লগ
সমাধিক্ষেত্র ভুলিয়াছি আমি ইরাবতী
আমারো দারুন বাঁচবার ইচ্ছে হয়েছিল। ছয় বছরের আমি মেজভাইয়ের পকেট থেকে
চুরি করেছিলাম পাঁচটি পিতল পয়সা
যা জেনে কেঁদে ফেলেছিল মা
মরমে মরেও আমি মরতে চাইনি সেদিন। ঝলমল এর পুতুলের বাক্স থেকে চুরি করেছিলাম
কাপড়ের চুলওয়ালা পুতুল
ইজেরের ভেতর গুটিয়ে রাখা সেজআপার লিপস্টিক
সাত বছর বয়সের পর আর চুরি করিনি বাঁচবার পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৪ বার দেখা | ১৬০ শব্দ
হানিবি
রজনীরে বহুবার বলেছি দিওনা বিরহ
আমি দিনকাতর মানুষ
আমি ফুল শুঁকি প্রাণের ঘ্রাণে
রুটি আর মধু সহযোগে
আমি জলের উৎসে দাঁড়াই
মধু থেকে করি মোমকে আলাদা আর
নিজেই গলে যেতে থাকি
ভেতরকার সলতে থেকে মুহুর্মুহু জ্বলে দাবানল রজনীকে বলি বিরহ দিওনা
অথচ সে যেন পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৩১ বার দেখা | ৮৪ শব্দ
জমাট
আমি আর ছায়া একই
কায়ার আরেক রূপে-
এই আমার হাতপা জিভ
ছায়ার কোনো চোখ নেই
নেই নিঃশ্বাস নেবার এখতিয়ার।
তুমি আর আমি এক তবে
কি করে ভাবো?
জল যেমন শিশির থেকে আধো বোলে
পাতার গায়ে লেপ্টে মেশে
তুমি-আমি বরং জল-কুয়াশার খেলা। পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৭০ বার দেখা | ৩২ শব্দ
অভিষেক
অভিষেক
ধরো যদি ট্রেন দেরী করে আসতে
তুমি ফিরে যাবে কি শহরে
ইট, কাঠ, বালু, পাথর মিশেলে
দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু সব অট্টালিকা
সরু একফালি গলির মাথায়
নিহত চাঁদ আটকে থাকে প্রতিদিন
তুমি যাবে কি ফিরে সেই শহরেই?
বরং ট্রেন এর অপেক্ষাতেই থাকতে পারো
পরবর্তী দূরগামী কোনো ট্রেন
যা তোমাকে পড়ুন
কবিতা | ৫ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৬৭ বার দেখা | ৯৮ শব্দ ১টি ছবি
অতলান্তিক
অতলান্তিক
সেই মূহুর্তে চোখে ছিল সমাজের কালো পট্টি
পিছমোড়ায় বাঁধা সাংসারিক হাত
সাংঘাতিক ইশারায় বিহবল—
বিচারবিহীন বধ্যভূমির শয্যা, শেষ ঠিকানায়।
একজন প্রেম তারপরও অপেক্ষা দেখালো
ছিঁড়ে দেয়া যেত বাড়ানো মায়া
ভেঙ্গে ফেলা যেত নিষিদ্ধ বন্ধন
গন্ধম বাহু তারপরও টেনে নিল নিবিড় আলিঙ্গনে।
মায়া রে মায়া—ছেঁড়া যায় না, ভাঙা যায় পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৫১ বার দেখা | ৫৯ শব্দ ১টি ছবি
ফিরে গেছে সবাই
ফিরে গেছে সবাই
কাদা ঘেঁটে সোনা খুঁজিয়ের দল
চাঙর ফাটিয়ে হীরা তোলা জোট
ফিরে গেছে ম্লেচ্ছ, মালু, মোচলমান
সারি বেঁধে দাঁড়াও
এক এক করে আসো
থামবেনাকো পৃথিবী
গলে যাচ্ছো তুমি, ধোঁয়া হচ্ছো
সারি বেঁধে আসো
দেহের মুক্তিতে জানবে
এখানে আসলে ছিলনা কিছুই
ফিরে গেছে নীলিমা, বনলতা সেন
ফিরে গেছে নার্গিস
হীরা র’লো পড়ে, সোনা আছে পড়ুন
কবিতা | ৫ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৯৫ বার দেখা | ৫৯ শব্দ ১টি ছবি
অভিকর্ষহীনতা
অভিকর্ষহীনতা চার হাজার সনের এক সকাল।
তুবা নামের এক পুরনো, অখ্যাত কবি’র পুনর্জন্ম
জন্মেই সে পারফিউমের বোতল খোঁজে
বাতাসে যান্ত্রিক গন্ধ—
স্পেসশিপ ধাঁচের বাড়ীতে সে দেখেনি মাতা-পিতার কলহাস্য। অনেক মানুষের শংকিত মুখ দেখতে দেখতে
সে চলে গেল ধাতুতে পরিনত হওয়া উচ্চচাপযুক্ত হাইড্রোজেন অঞ্চলে
সে ভাবছে নীল গাছগুলো কি কার্বন ডাই অক্সাইড ঝরায়?
ক্লোরোফিল পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৬৮৯ বার দেখা | ১২৭ শব্দ
কল্পছায়া
কল্পছায়া
আজকাল পাখীদের ঠোঁটে ঠোঁটে
তাম্বুরা অনুরাগ
কিমাম আর জর্দা মিশেলের বানারসী পান। এক পাখি চঞ্চু ভেঙে আধখানা দিয়ে দেয়
সঙ্গী পাখী লেজঝোলা;
গুলকন্দের মিঠা
প্রথমে একজন গেয়ে উঠেছে সোনালী সুর
দিনশেষে অন্যজন দেবে ভাল বাসা। আকাশের ম্যাপ ধরে কে মাপবে পথ?
গাছের কোটরে এখনো ছোট্ট সংসার
এরপরে কে যে যাবে পড়ুন
কবিতা | ৫ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৯১ বার দেখা | ৬১ শব্দ ১টি ছবি
দিগদারি
বিয়ান বেইলেই ক্যান দিগদারি মারোস পারুলি?
কইছিলাম না তল্লাপাড়ে আর যাবি না!
হুনোছ নাব্বে, তুই কুনু কতাই হুনোছ না
আইজকা রেজাকার আবুইল্যা হাত দিছে সিনায়
কাইলকা দিবোনে হালারপুতে রজইব্যা। ঐ পারুলি, খাড়া কইতাছি!—এমুন মিজাজ দেহাস কেল্লা!
কালা চউক্ষে সুরমা দিছোছ?
সুন্দরই তো লাগে—
চেতিস না, আবুইল্যারে দেইখা লিমু- কইছি না?
মাগার, আয় হায় পড়ুন
কবিতা | ৭ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৪৯৫ বার দেখা | ৮৮ শব্দ
সম্পর্ক
সম্পর্ক
আমাদের ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্কের ভিটিতে
মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো অশত্থ
শাখা-প্রশাখায় বাঁধছে অণু-ঘর
যাদের দেয়ালে বিচিত্র নকশা
মাথার উপর ফুটো চালায় কখনো ঝরে বৃষ্টি জলফোঁটা
ভাটির টান যাচ্ছে গড়িয়ে পূর্ণিমায়
আমরা দাঁড়িয়ে তবু গলাগলি, সম্পর্ক ভাসিয়ে জোয়ারে। উচ্ছ্বল চাঁদনীস্রোতে রাতের জল হেসে ওঠে
প্রজাপতির ভেজা ডানায় নরম জরীর পড়ুন
কবিতা | ৫ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৫৯ বার দেখা | ৮০ শব্দ ১টি ছবি
মারমেইড
মারমেইড খুব একটা তাড়া ছিল না—
পোস্টার থেকে নেমে আসবার সময়ে,
একটু শুধু টেনে নামিয়েছিল স্কার্টের ঘের। এটুকু দেখবার পর
কোনো চাঁদেই আর আলো ফোটার কথা নয়।
রেস্তোরাগুলো সবে জমে উঠেছিল
মেঘের ভেতরে চিত্রল কানাঘুঁষা, খরিদ্দারগুলোও
ঘুরে তাকালো। মেয়েটি চুপ করে বসেছিল,
ভাঁজ করা শরীরের তাপে শুকোচ্ছিল এলাচ ফুলের মৌ।
ততক্ষণে আমার পড়ুন
কবিতা | ৭ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯২০ বার দেখা | ১০৩ শব্দ
যে জলে আঁকা ছবি
যে জলে আঁকা ছবি
সন্ধ্যার ইন্দ্রজাল সুবর্ণ জলের মেয়ে ভেসে যাবে মেঘের ভেলায়, সেই সন্ধ্যাটা সবে আসি আসি করছে। তেজ কমে হালকা হতে হতে অলিভ ওয়েল রঙের রোদ নেমে যাচ্ছে, ডুবে যাচ্ছে দীঘির আরো তলে। কোথাও শিষ দিল পাখি, বেহায়া পাখি! গায়ে এসে লাগল পড়ুন
সাহিত্য | ২০ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৪৭৬ বার দেখা | ১৭৫ শব্দ ১টি ছবি
সাধুর ঘর
সাধুর ঘর সাধুর কুটির খুব দূরে নয়
সাধুর কুটিরটা এখন খুব কাছে
সাধুর কুটির যেন নিজস্ব আলয়। পড়তি দিনের আলো আরেকটু অন্ধকার নিয়ে এলে
এখানকার মানুষগুলো হেসে উঠবে
হাসতে হাসতে বসন্ত টিলায় সারিবাঁধা রাবার গাছের ফাঁকে
একঝাঁক টিয়ে এসে বসবে। সাধু তখন কাঁচামরিচ ছুঁড়ে দেবে
সাধু তখন কল্কি লুকাবে
সাধু তখন দারুন নিরুপায়। শরীর থেকে পড়ুন
কবিতা | ২৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯৩০ বার দেখা | ৭৯ শব্দ
অরূপের রূপ তুমিই জানো
অরূপের রূপ তুমিই জানো আমাকে আমার কখনোই ভাল লাগেনি
সেই ছেলেবেলা থেকে আমার কানগুলো খরগোসের মতো
নাকের উপরকার তিলটা ভয়াবহ যন্ত্রণাদায়ক
আর চোখের ভাষা তো আমি নিজেই পড়তে পারিনি জীবনে। গ্রীবায় একটা ভাঁজ যা দেখে মা বলেছিল নানাভাইয়ের ভাগ্য
আমার কেবলই মনে হতো আমি এদের কেউ নই
ভাইয়া বলেছিল, তোকে কুড়িয়ে পড়ুন
কবিতা | ২০ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯০৬ বার দেখা | ১০৭ শব্দ
মনরঙ্গ
মনরঙ্গ কাঁপতে কাঁপতে দূরে সরে গেছে ছায়া
ঢেউ ঢেউ আগুনে সলতে
জ্বলে উঠেছিল দ্বিধার পাশে
একদিন ঘাস আর প্রজাপতির মিলিত
রিফ্লেকশন আকাশের দিকে
উড়ে যাবে
এমনি করেই। একদিন সবই জনম জনম হেঁটে যাবে
আর ফিরবেনা
অন্য কোনো ফাল্গুনেও যেমন ফিরবে না
আজকের এই বসন্ত। যোগীর ছায়াবসনে কেন যে কেউ
তবু মেখে দিয়ে যায় অঙ্গজাত উৎসর্গপ্রথায়
মদ ও পশুবলির পড়ুন
কবিতা | ১৮ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪০০ বার দেখা | ৪৫ শব্দ