আমারো দারুন বাঁচবার ইচ্ছে হয়েছিল।
ছয় বছরের আমি মেজভাইয়ের পকেট থেকে
চুরি করেছিলাম পাঁচটি পিতল পয়সা
যা জেনে কেঁদে ফেলেছিল মা
মরমে মরেও আমি মরতে চাইনি সেদিন।
ঝলমল এর পুতুলের বাক্স থেকে চুরি করেছিলাম
কাপড়ের চুলওয়ালা পুতুল
ইজেরের ভেতর গুটিয়ে রাখা সেজআপার লিপস্টিক
সাত বছর বয়সের পর আর চুরি করিনি বাঁচবার
রজনীরে বহুবার বলেছি দিওনা বিরহ
আমি দিনকাতর মানুষ
আমি ফুল শুঁকি প্রাণের ঘ্রাণে
রুটি আর মধু সহযোগে
আমি জলের উৎসে দাঁড়াই
মধু থেকে করি মোমকে আলাদা আর
নিজেই গলে যেতে থাকি
ভেতরকার সলতে থেকে মুহুর্মুহু জ্বলে দাবানল
রজনীকে বলি বিরহ দিওনা
অথচ সে যেন
আমি আর ছায়া একই
কায়ার আরেক রূপে-
এই আমার হাতপা জিভ
ছায়ার কোনো চোখ নেই
নেই নিঃশ্বাস নেবার এখতিয়ার।
তুমি আর আমি এক তবে
কি করে ভাবো?
জল যেমন শিশির থেকে আধো বোলে
পাতার গায়ে লেপ্টে মেশে
তুমি-আমি বরং জল-কুয়াশার খেলা।
ধরো যদি ট্রেন দেরী করে আসতে
তুমি ফিরে যাবে কি শহরে
ইট, কাঠ, বালু, পাথর মিশেলে
দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু সব অট্টালিকা
সরু একফালি গলির মাথায়
নিহত চাঁদ আটকে থাকে প্রতিদিন
তুমি যাবে কি ফিরে সেই শহরেই?
বরং ট্রেন এর অপেক্ষাতেই থাকতে পারো
পরবর্তী দূরগামী কোনো ট্রেন
যা তোমাকে
কবিতা|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৬৭ বার দেখা
| ৯৮ শব্দ ১টি ছবি
কাদা ঘেঁটে সোনা খুঁজিয়ের দল
চাঙর ফাটিয়ে হীরা তোলা জোট
ফিরে গেছে ম্লেচ্ছ, মালু, মোচলমান
সারি বেঁধে দাঁড়াও
এক এক করে আসো
থামবেনাকো পৃথিবী
গলে যাচ্ছো তুমি, ধোঁয়া হচ্ছো
সারি বেঁধে আসো
দেহের মুক্তিতে জানবে
এখানে আসলে ছিলনা কিছুই
ফিরে গেছে নীলিমা, বনলতা সেন
ফিরে গেছে নার্গিস
হীরা র’লো পড়ে, সোনা আছে
কবিতা|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭৯৫ বার দেখা
| ৫৯ শব্দ ১টি ছবি
অভিকর্ষহীনতা
চার হাজার সনের এক সকাল।
তুবা নামের এক পুরনো, অখ্যাত কবি’র পুনর্জন্ম
জন্মেই সে পারফিউমের বোতল খোঁজে
বাতাসে যান্ত্রিক গন্ধ—
স্পেসশিপ ধাঁচের বাড়ীতে সে দেখেনি মাতা-পিতার কলহাস্য।
অনেক মানুষের শংকিত মুখ দেখতে দেখতে
সে চলে গেল ধাতুতে পরিনত হওয়া উচ্চচাপযুক্ত হাইড্রোজেন অঞ্চলে
সে ভাবছে নীল গাছগুলো কি কার্বন ডাই অক্সাইড ঝরায়?
ক্লোরোফিল
মারমেইড
খুব একটা তাড়া ছিল না—
পোস্টার থেকে নেমে আসবার সময়ে,
একটু শুধু টেনে নামিয়েছিল স্কার্টের ঘের।
এটুকু দেখবার পর
কোনো চাঁদেই আর আলো ফোটার কথা নয়।
রেস্তোরাগুলো সবে জমে উঠেছিল
মেঘের ভেতরে চিত্রল কানাঘুঁষা, খরিদ্দারগুলোও
ঘুরে তাকালো। মেয়েটি চুপ করে বসেছিল,
ভাঁজ করা শরীরের তাপে শুকোচ্ছিল এলাচ ফুলের মৌ।
ততক্ষণে আমার
সাধুর ঘর
সাধুর কুটির খুব দূরে নয়
সাধুর কুটিরটা এখন খুব কাছে
সাধুর কুটির যেন নিজস্ব আলয়।
পড়তি দিনের আলো আরেকটু অন্ধকার নিয়ে এলে
এখানকার মানুষগুলো হেসে উঠবে
হাসতে হাসতে বসন্ত টিলায় সারিবাঁধা রাবার গাছের ফাঁকে
একঝাঁক টিয়ে এসে বসবে।
সাধু তখন কাঁচামরিচ ছুঁড়ে দেবে
সাধু তখন কল্কি লুকাবে
সাধু তখন দারুন নিরুপায়।
শরীর থেকে
অরূপের রূপ তুমিই জানো
আমাকে আমার কখনোই ভাল লাগেনি
সেই ছেলেবেলা থেকে আমার কানগুলো খরগোসের মতো
নাকের উপরকার তিলটা ভয়াবহ যন্ত্রণাদায়ক
আর চোখের ভাষা তো আমি নিজেই পড়তে পারিনি জীবনে।
গ্রীবায় একটা ভাঁজ যা দেখে মা বলেছিল নানাভাইয়ের ভাগ্য
আমার কেবলই মনে হতো আমি এদের কেউ নই
ভাইয়া বলেছিল, তোকে কুড়িয়ে
মনরঙ্গ
কাঁপতে কাঁপতে দূরে সরে গেছে ছায়া
ঢেউ ঢেউ আগুনে সলতে
জ্বলে উঠেছিল দ্বিধার পাশে
একদিন ঘাস আর প্রজাপতির মিলিত
রিফ্লেকশন আকাশের দিকে
উড়ে যাবে
এমনি করেই।
একদিন সবই জনম জনম হেঁটে যাবে
আর ফিরবেনা
অন্য কোনো ফাল্গুনেও যেমন ফিরবে না
আজকের এই বসন্ত।
যোগীর ছায়াবসনে কেন যে কেউ
তবু মেখে দিয়ে যায় অঙ্গজাত উৎসর্গপ্রথায়
মদ ও পশুবলির