ক্রমশঃ দিনের আলো ফিকে হয়ে আসে
আবছায়া আঁধারে শহর ঢেকে যায়
দূরে নদীর জলে বোটগুলো ঢেউয়ের তালে তালে দোলে
আরও দূরে নদীর ওপারে শহরের
উঁচু উঁচু ইমারতের মাথা মিশে আছে মেঘেদের দেশে
পাশে প্ল্যানেটোরিয়ামের ডিম্বাকৃতি চূড়া
গাছের ডাল হেলে হেলে পড়ে যায় জলের উপর
পাতাগুলো জলের সাথে
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৯ বার দেখা
| ৭৪ শব্দ ১টি ছবি
চেনাপথগুলো ছেড়ে আসি, সে পথ হয় অচেনা
হয় না সেই পথে হেটে আর মুগ্ধতা কেনা;
অচেনা পথ হয় চেনা হাটলে জীবনের বাকে বাকে
ভিড় জমায় মনে নতুন মুগ্ধতারা ঝাকে ঝাকে।
চেনা পথ অচেনা হয়, তুমিও কি আমার অচেনা পথ
হয়নি চেনা তোমাকে আর,
হলো না আর
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭৯ বার দেখা
| ১৫৬ শব্দ ১টি ছবি
তোমার কোনো পরিচয় নাই,
আমি যদি ডাক না দেই
আমি তোমার ছবির বাহক
সাথেই আছি- কোথায় নেই!
১। সব কর্তৃত্ব আমায় ঘিরে
পাপ আর পূণ্যের সব বিচার,
তোমার হুকুম পালন করি-
আমার তো নাই অধিকার,
আমি ছাড়া তুমি বেকার,
লুকিয়ে আছ আলোতেই ।।
২। যুগে যুগে তোমায় খুঁজে
করছে যারা আত্মদান,
কোথায়
তখন তার এলোচুল বাতাসকে করছে শাসন
এমন মেঘলা দিনে ভিজতে ইচ্ছে করে ভীষণ
সুবাসে তার মাতাল চারপাশ যখনতখন
এমন নেশায় কতবার হয়েছে ইচ্ছে মরণ
চাতকের মতো চেয়ে থাকি, হয় যদি বর্ষণ
বাড়ছে তৃষ্ণা যত দেখি ঢেউয়ের আন্দোলন।
ধূসর এ আঙিনা তার পরশ পেয়েছে যখন
এই
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬৮ বার দেখা
| ৯৪ শব্দ ১টি ছবি
কথা প্রসঙ্গে এবার ভাদ্রের কথায় আসি
আগে যখন কালে-ভদ্রে ভাত বাসি হতো
এখন বাসি হয় নগদ টাকায় কেনা হাসি
তবুও আমি এই ভাদ্র মাস বড় ভালোবাসি!
আগের দিনে ভাদ্রের গরমে পাকতো তাল
এখন কথায় কথায় গরম হয় মাথার চাল
আগে চুল পাকলে ফকফকা সাদা হতো
আর এখন হয় নিঁখুত কালো অথবা
বড্ড স্মৃতিভ্রম হচ্ছে ইদানিং আমার
যান্ত্রিক শহরে এসে সব ভুলে যেতে বসেছি আমি
এখন আর ঘুম ভাঙ্গেনা দোয়েল কয়েল শালিক আর ময়নার গান শুনে!
ভুলতে বসেছি মধ্যরাতে ঝিঝির মিষ্টি-মধুর ঘুম পাড়ানি সুর।
আমি এখন হয়তো আর পরখ করতে পারবো না; কোনটি শালিক কোনটি ময়না!
কলমিলতার ফাঁকে ফাঁকে ডাহুকের
আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে তুমি একটা কথা কিছুতেই শুনতে পাচ্ছ না উদাসীন যে পাঁচ হাজার টাকার কমে পাঁচজনের সংসার চলে না। প্রণামীর খুচরোয় রোজকার সবজি-বাজারটা হতো, হারামির হাতবাক্স বসিয়ে সেও মন্দিরকমিটি খেয়ে গেছে
এদিকে গত বছর দিব্যি আকাশভরা সূর্যতারার মধ্যে বাবার স্ট্রোক হয়ে গেল। পুঁজিপাটা
আমাদের সমাজ ও পরিবার থেকে উচ্ছনে যাওয়া কিছু বিবেকহীন অপদার্থ মানুষদের বলছি যারা রক্তের বন্ধনকে শত্রুতায় পরিণত করে।
১ হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী ভাড়া করেছেন?
২ বিচারিক কাজকে ভিন্ন খাতে নেয়ার জন্য প্রভাবশালী মানুষের দ্বারস্থ হয়ে বিচারককে ফোন দিচ্ছেন?
৩ ভুয়া কাগজপত্র ঠিক করে জোর করে অর্থ সম্পদ
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬১ বার দেখা
| ১৩১ শব্দ
মন কথনিকা-৪৯৭৩
উঠলে ভোরে ঘুম সরে না, যায় না জেগে থাকা
ভোরের আলোয় হলো না আর মনেতে সুখ আঁকা,
রাত বারোটা ঘুমালে হায়, কেমনে উঠি ভোরে
সকাল হলে দেখি বিছনায় আছি ঘুমের ঘোরে।
মন কথনিকা-৪৯৭৪
কেমন যেন আবহাওয়া, কুয়াশাতে ঢাকা
জৈষ্ঠ্য মাসে ঘাসের বুকে শিশির বিন্দু আঁকা
বদলে যাচ্ছে ঋতুগুলো বদলে যাচ্ছে
ঝরণার পাশে পাথরের সিঁড়িতে
জলে পা ডুবিয়ে মেয়েটি বসে আছে
হাতে তার একটি প্রদীপ জ্বলছে
পুরাতন সাদা সিফনের জামাতে
আলো পড়ে বেশ চিকচিক করছে
তার সোনালী চুল আলতো বাঁধা
আকাশে সোনালী ও নীল আঁকা
তার প্রতিফলন পড়ে প্রতিটি ঢেউয়ে।
আজ আর কোনো কবিতা লেখা হয়নি
সমস্ত পৃথিবী জুড়ে কেবল কাজ আর কাজ
রেললাইনের মতোন একটা সর্পিল জীবন
এতো যে হারে তবুও নেই লাজতবুও
সামনে-পেছনে দলা পাকায় কাজ আর কাজ!
আজ সারাদিন নুন ছিলো না রান্নার ঘর
আমি ইতি যাই উতি যাই কে রাখে খবর
তবু দেবদারু গাছ