ছিটমহল
ছড়িয়ে আছে পাথরদানা। জানা- অজানার বনভূমি ছুঁয়ে শিশুরা খেলে
যাচ্ছে সাপ-লুডু খেলা। বেলা দাঁড়িয়ে দেখছে জীবনের গমনদৃশ্যরূপ।
চুপ করে থাকি। আঁকি আমিও সম্প্রসারিত ভুলের কোলাজ। আওয়াজ
দেবার কথা ছিল যাদের, তারাও ছিটমহলের বাসিন্দা এখন। দ্রবণ
শেষ হলে প্রেমও কি তবে ছিটকে পড়ে পরাকাশের, প্রান্তে অবশেষে!
ভালোবেসে মাটির মরম, দেখে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৭ বার দেখা | ৫২ শব্দ
বৃষ্টি থেমে গেলেই আকাশ হয় স্বচ্ছ
বৃষ্টি থেমে গেলেই আকাশ হয় স্বচ্ছ
তুমি কি দেখেছো কভু, বৃষ্টি থেমে গেলে সে আকাশ?
বৃষ্টির ঝরে গেলেই সে আকাশে স্বচ্ছ মেঘের বসবাস
তুমি বৃষ্টির পরেই হেঁটেছিলে ভেজা পথে কখনো
হাঁটলে কি বেজেছিলো বুকের তারে সুখের বেণু। মেঘ গুড়গুড় মেঘলা দিনে থেকেছিলে কখনো একা?
মন আকাশে কালো মেঘের দিয়েছিল দেখা?
ভেবেছিলে বৃষ্টি পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০০ বার দেখা | ১২৭ শব্দ ১টি ছবি
আলোকৎপাত
কখনো কখনো ঘুরে দাঁড়ানো জরুরী
এই যে – বিদগ্ধ ইতিহাসে সম্মুখে
মুখ তাক করে চেয়ে আছি নগ্নভাবে
এটি কিভাবে সভ্যতার মধ্যে পড়ে?
জানিনা।
আছি তো, তবুও
যদিও জানি-
ঘুরে দাঁড়ালেই প্রতিপক্ষের মাথায় আকাশ ভাংবে!
তারা তাদের নিত্যকার উলঙ্গপনাকে বলে বিলাসিতা
তাদের দু’হাতে কলঙ্কের কালি
রক্ত পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০৫ বার দেখা | ৮৪ শব্দ
প্রগতির টিয়ে
একদিন মাটিতে বোধের শক্ত দেয়াল ছিলো
সেই দেয়ালে কোনো শেওলা ছিলো না
সচেতন ঘাস, লতাগুল্ম আনমনেই বড় হতো
সেই দেয়ালটি এখন কোথায় গেলো? উড়োচিঠিতে যে মেয়েটি ভালোবাসি লিখেছিলো
সামনাসামনি দেখা হতেই সে লজ্জাবতী লতা হলো
তখন সামাজিক দালান বোধ চীনের প্রাচীর ছিলো! এখন একদিনে প্রেম হয়, দুইদিনে বিয়ে
তিনদিনে ভালোবাসা নিয়ে যায় পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯৭ বার দেখা | ৪৬ শব্দ
নদী দুষণ
আমাকে কখন চিনতে হচ্ছিল
এতসব লতা-পাতা, সাপ-বিচ্ছু, বিষ বিবিধ?
আমি তো ‘এক্সিট পয়েন্ট’ চিনতে চাইছিলাম
ফুস মন্তরে উবে যেতে চেয়েছিলাম পৃথিবীর দিকে। কোলাহলের ভেতর খুঁজেছিলাম প্রাণ
চোখ বন্ধ সুফীজমের শেষ ধাপে দাঁড়িয়ে,
নেশা ধরা প্রেয়সীর চোখে শেষকৃত্য দেখব আশায়
নেমে গিয়েছিলাম আগুনের ঠোঁট কাটা হাসির গুল্মে। চারপাশে দেখা মানবিকতা চুর্নির গোলকধাঁধায়,
শেষতক পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮২ বার দেখা | ৬০ শব্দ
শ্রাবণ জল
শ্রাবণ জল
আজ শুধু শ্রাবণের প্রথম দিন
নরম ঘাস পালঙ্ক ভেজে গেলো-
গোলাপের মন আনন্দে বাসর রাত!
অথচ এখানে বর্ষার রাস্তা ঘাট
জলে থৈ থৈ; শ্রাবণ তুমি কদম
ছুঁইলে কেন? নাকি অন্যকিছু-
যুগে যুগে কালো মেঘ বজ্রপাত
কলঙ্কের জল শ্রাবণে একাকার;
তবু রঙধনু মেঘ দেখে না আর-
যুগ যুগান্তর ভাসালে শ্রাবণ পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯৯ বার দেখা | ৪৬ শব্দ ১টি ছবি
ঘোড়া
একটা মাকড়শা মাতাল ঘরে ঘুরে বেড়ায়
ওঠা-নামা করে সারা দুপুর-দূরের রোদ
জঙ্গলের আড়াল হতে তিরতির গান আসে
শুনছিল আলমারি থেকে শাদা কাপড়
তাতে জমেছিল নীল নির্জনের গত শতাব্দী।
যখন ওম দিচ্ছিল ভাঙনের শেষ মুহূর্তকাল
পাতার গায়ে লেগে যাচ্ছিল ফুল, আযান-
জেব্রাসারি নারকেল বাগানের পথ-শুক্রবার কলপাড়ের শব্দ নিলামে ওঠে, জলের রেণু
ছোট বাচ্চাদের হাতে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৫ বার দেখা | ৬০ শব্দ
কবিতা
কবিতা
স্মৃতি সময়ের বুনো পথে
জাল বিছিয়ে ছুঁয়ে যায় বিচিত্র রূপ
আত্মা কী মৃত্যুর বৈরি খেল দেখেছে
যাঁর হৃদয় ভেঙ্গে গেল, হারিয়ে গেল স্মৃতি
তাঁর কী জীবনের অধরা আলো
জনকল্যাণের উঠোনে ছড়াবে আলোড়ন! অনেক দিন আগে
এই পথে গোলাপের স্তবক ছুঁয়ে
একজন প্রশ্ন করে, বলেছিল আমার এক
উজান ভাটার নদী পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৭ বার দেখা | ১০৩ শব্দ ১টি ছবি
নেতাদের নীতির চেয়ে বেশ্যাদের নীতিই শ্রেষ্ঠ
নেতাদের নীতির চেয়ে বেশ্যাদের নীতিই শ্রেষ্ঠ
নেতারা কি সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষা করার কাজ করেন? না, মোটেও না। তারা সাধারণ জনগনের মাথায় টুপি পরিয়ে নিজেদের পকেট ভর্তি করেন। বর্তমানের এক একজন নেতাদের কাছে এক একটা করে তেলের খনি আছে, আর সে খনিতে অনভিজ্ঞ কর্মীরা টাকার বিনিময়ে পড়ুন
রাজনীতি, সমকালীন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৩৭ বার দেখা | ২৯২ শব্দ ১টি ছবি
আষাঢ়
ব্যাঙের ডাক শুনতে হলে যেতে হবে পঁচা ডোবায়। ফেলে যেতে হবে চকচকে শহর-বন্দর পেছনে। ভয় হয়! ব্যাঙদের ডাক বড় সাংঘাতিক আষাঢ়-শ্রাবণে। বৃষ্টি আসবেই তাদের সে কোরাসে। প্রবল বর্ষণে জমে যাবে জল। স্যাঁতসেঁতে হবে পরিপাটি ঘর। বৃষ্টিতে ভিজলে হতে পারে জ্বর। ভয় হয়! মনে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮১ বার দেখা | ৭৪ শব্দ
আফাল
আফাল
আফালের দিন,
উড়ছে তো উড়ছে ধূলো-বালি মাখা
পাতার বহর! ডানার পালক
ভাঙছে ডাল, ফুল, কলি, লতা
আউলা কেশের নারী, দুলছে আঁচল
ভাঙছে, ভাঙছে পাখির বাসা দোয়েলের সংসার!
আফালের দিন,
কতকিছুই মচকে যায়, টলে যায়, ঝরে যায়!
কে কার রাখে বল খবর! পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০০ বার দেখা | ৩৪ শব্দ ১টি ছবি
স্মৃতিসৌধ
স্মৃতিসৌধ
ছায়াখেলা আলোবেলা
স্মৃতির কুহক কুহু ডাকে,
খেজুরের মোহপাতা
উঠানের তুলসী
যাযাবরী বিশ্রাম
নক্সী আসন পেতে রাখে।
কাঠকুটো সাধারণ
বালতি ও গামলায়
স্নেহছাপ ট্রেডমার্ক
সূর্যও চুমু খায় সোহাগে
মেটে অবগুণ্ঠিত
লজ্জারুণ তাকে;
আমি আছি, তুমি আছ
স্মৃতিময় স্বপ্নিল ফাঁকে। পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১২৩ বার দেখা | ২৬ শব্দ ১টি ছবি
সেই সব বনজ দিন
“সেদিন অনেক রাত অব্দি বাঁশী বেজেছিল নবীনা’দিদের পুকুরঘাটে। আমি তো নির্বাক শ্রোতা বা দর্শক। ঝুমুরের চোখ দু’টো করমচার মতো লাল দেখেছি, বুঝেছি অনেক কিছুই। বলতে কি পেরেছি কিছু?”- বলতে বলতে বড়’মা কাঁদছিলেন। বড়মা’র ছোট ফুফু ছিলেন এই ঝুমুর, সমবয়সী। অমন রূপবতী মেয়ে বুঝি আর পড়ুন
অণুগল্প | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮২ বার দেখা | ১৬৪৯ শব্দ
পাঠক সংখ্যা এক
যে কবিতাটি আমি একটি জাতীয় দৈনিকে
পাঠিয়েছিলাম, তা আর কেউ পড়েনি। শুধু
পড়েছিলেন ঐ দৈনিকের সাহিত্য সম্পাদক।
তারপরে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন ডাস্টবিনে। সেই
থেকে আমার ঐ কবিতাটির পাঠক সংখ্যা
একজনই। তিনি ফেলে দিয়েছিলেন, কারণ তার ভালো
লাগেনি কবিতাখানি। এই ভবের বাজারে, অনেকের অনেক কিছুই
ভালো লাগে না।
কারো ভালো লাগে না যোগাত্মক যন্ত্রনা।
আবার, কারো ভালো পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৮ বার দেখা | ৬৪ শব্দ
নিবিড় ছায়া খুঁজি এবেলা
নিবিড় ছায়া খুঁজি এবেলা
রোদ্দুরে মাখামাখি প্রান্তর, ছায়া চাই এক তিল
চাই সুখ অনাবিল
আকাশজুড়ে রোদ্দুরের হোলিখেলা
বড্ড হাঁসফাঁস কেটে যায় বেলা। তুমি না হয় ছাতা হও
বামপাশে আমার দাঁড়িয়ে রও
কথা কও হিম হিম মিহি, নয় রোদ্দুর তেজ
নেয়ে ঘেমে একাকার দেহ যেন নিস্তেজ। এসো রোদ্দুরে হাঁটি পাশাপাশি
কিছু রোদ্দুর গিলি অনায়াসে, পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৩ বার দেখা | ৯৭ শব্দ ১টি ছবি