যে কাঁটা গলায় বিঁধার কথা ছিল, তা বিঁধেছে চোখে
কিছুই দেখছি না আর,
কিছুই মনে করতে পারছি না, আদৌ
মানুষ ছিলাম কী না, কোনো জনমে
দাঁড়িয়েছিলাম কী না- কোনো মানুষের পাশে।
উড়ে যাচ্ছে পাথর। উড়ছে রক্ত- বাষ্প হয়ে
তারপরও আমাদের নিষ্ক্রিয় নাসারন্ধ্র, পাচ্ছে না
কোনো গন্ধ, পরখ করতে পারছে না বর্ণের
আমি চলে যাচ্ছি প্রস্থানের পথ ধরে, নিজেকে নিয়ে যাচ্ছি বাধ্যতামূলক অবসরে
তুমি থাকো দিগ্বিজয়ের নেশায় বুদ হয়ে আরো কিছু স্বপ্ন আঁকো। তুমি একা নও জৌলুস ভরা জলসায় ; তোমাকে রেখে যাচ্ছি ভীড়ের নিভৃতে!
অনেকেই ফিরে গেছে আঁধার বনে, কেউ কেউ বেছে নেয়
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭৭ বার দেখা
| ১৩৪ শব্দ ১টি ছবি
এই জীবনে করিনি ঋণ তবুও আমি ঋণী,
মাথায় ঋণের বোঝা চেপে দিলেন যিনি।
তিনি আর কেউ নয় স্বয়ং আমার রাষ্ট্র,
দেশে ঋণের বোঝায় এখন আমি পথভ্রষ্ট।
এক নয় দুই নয় পঁচানব্বই হাজার টাকা,
তাইতো দেখি আমার পকেট হচ্ছে ফাঁকা।
এমনিতে চলে না সংসার দুর্মূল্যের বাজার,
সামান্য বেতন
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮৩ বার দেখা
| ৯২ শব্দ ১টি ছবি
আমাদের জমানায় মুজিব ছিলেন না। যখন বড় হচ্ছি সানগ্লাস মেজরের রমরমা অবস্থা, চারদিকে প্রচুর খাল খনন কুমির আনা হচ্ছে। ঘোষক প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে, প্রথম বাংলাদেশ শেষ বাংলাদেশে পরিণত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু তিরোহিত; তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, কেউ তাঁকে খুঁজছে না।
খাল
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৯৭ বার দেখা
| ২০১ শব্দ ১টি ছবি
হামাগুড়ি না দিয়েই যে শিশু হাঁটে সে কতোটা শিশু?
বাবা বলতেন, কালের আগে আগে চলতে শিখো
সবকিছুর মতো কালও নাকি রুপান্তরিত শিলাস্তর!
আমার পাললিক প্রেম মাঝেমধ্যে পথিক হয়
তখন পৌষের চিরকেলে কেবল চাকার শ্লোগান
দাদা বলতেন, সাদ্দামের প্রতিটি আঙুলই এক একটি
স্টেনগান!
আমিও মন্ত্রমুগ্ধের মতোন শুনে যেতাম উত্তর পুরুষ
অতঃপর পুরো মাঠ
সরকারি অকর্মণ্যতা আর রাজনৈতিক দলগুলোর উস্কানিতে ১৯৪৬-‘৪৭ সালে ঐ সরকারি হিসেব মতই পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা গেছিল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়।
আমরা একবারের জন্যও সেই হতভাগ্যদের কথা স্মরণ করিনা।
স্বাধীনতা দিবস এল, চলে গেল ফের। আমরা মাংসভাত খেয়ে, শপিংমলে গিয়ে, আর ভুল সুরে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১১ বার দেখা
| ৩৪১ শব্দ
জীবন যখন তার অস্তিত্ব ভেঙ্গে
অভেদ্য দুর্গ গড়ার সময় রচনা করেছে
তখনই প্রতারিত হয়েছে।
কেউ হয়েছে প্রিয়জনের দ্বারা;
প্রিয় মানুষের দ্বারা
এমনকি পরিবার পরিজনের দ্বারা।
তবুও জীবন থেমে যাওয়ার কথা নয়
যে মানুষ দ্বারা আপনি অমূল্যায়িত হয়েছেন
তারা কখনও আপনার আপন নয়
সময়ের দূরত্ব আসার সাথে সাথে মানুষ তার
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৩৯ বার দেখা
| ১১৮ শব্দ ১টি ছবি
কিছু তাস গোছানোই থাকে, অল্পে কিছু আশা,
অভিমুখী অবিরত হাত মুন্সিয়ানা ছানে,
এই আছি এই নেই, আজকের নিঃশ্বাসের মানে,
পরিস্থিতিগতভাবে বদলে যায় কুশীলবী ভাষা।
চোখ তো দেখেছে রূপ-তেষ্টা-প্রেম-উচ্চাশা,
স্থাপত্য বৈভবে তবু অহংকারী মৃত বৃক্ষডাল–
কাকে যে ডোবাবে তুমি, কাকে দেবে বুকের আড়াল,
ভুলেগেছো সংগোপনী রোদ-বৃষ্টি-শিশির-কুয়াশা।
মানুষের দিকে তাকালেই, আমার চোখের দিকে
উড়ে আসে একগুচ্ছ ছাই,
বৃক্ষের দিকে কান পাতলেই, বেজে ওঠে
একটি পুরনো করাতের ক্রন্দন ধ্বনি-
আর নদীর দিকে!
না, কী দেখি তা আর বলা যাবে না।
বলতে পারছি না অনেক কিছুই,
দেখতে পাচ্ছি না কবি কিংবা চিত্রশিল্পীদের
মুখ। যারা বাঁশি বাজায়, কিংবা যারা একান্তই
একলা থাকতে
ভাবতেই পারি না
তুমি নেই- না ফেরার দেশে
কি অভিমান করে
চলে গেলে- চলে গেলে,
সারা আঙ্গিনা জুড়ে
খুঁজে ফেরি- মা গো- মা;
তোমার রান্না ঘর-
ধান শুকনো উঠান,
পায়ের চটি- থাল গ্লাস
সবই দাগ লেগে আছে!
স্মৃতির ভেলা যাই ভেসে;
দুচোখে বর্ষার ভেজা
খই ফুটানো নোনা জল;
এভাবে ক্যান্সারের কাছে
পরাজয় হবে,
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১০৫ বার দেখা
| ৫৩ শব্দ ১টি ছবি