দাউদুল ইসলাম-এর ব্লগ

সব সময় নিজেকে বলি-
মানুষ হবি যদি-
অন্ধকার ঘরে যখন একা থাকবি তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিস তুই কতটা মানুষ।
কতটা তোর সভ্যতা
কতটা তোর ভদ্রতা!
স্নান ঘরে যখন একা শাওয়ারের নিচে দাঁড়াস-
তখন নিজেকে জিজ্ঞেস করিস কত টা আছে তোর মনুষত্বের রুচি!
জিজ্ঞেস করিস কতটা তুই ভদ্র, সভ্য!

মাতৃত্বের ক্যান্সার
মাতৃত্বের ক্যান্সার
অ ঠাঁই রক্ত নদীর বুকে জেগে উঠা চর
নাম তার বাংলাদেশ !
রক্তের লাল, উত্তাল জোয়ার পেলে দুর্মর
বাঁধ ভেঙ্গে মিশে বিশাল সমুদ্রে
নাম তার বঙ্গোপসাগর! ক্ষরণের যন্ত্রণা নিয়ে যে কিশোরী
নিজে ঢেকেছে সবুজের চাদরে
নাম তার সুন্দরবন! মরণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
যে পাখিটি আজো উড়ে স্বাধীনতার নেশায়
তার নাম পড়ুন
অন্যান্য | | ৭ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩২৩ বার দেখা | ১১৪ শব্দ ১টি ছবি
সোমত্ত আঠারো
সোমত্ত আঠারো
এইতো
একটু আগে/ পা দিয়েছি আঠারো তে/ ভরা যৌবনে/ খরস্রোতা নদীতে /
যতনে মেলেছি ডানা/ নরম পালকে/
ছুঁয়েছি শাল পিয়ালের বন/
হাসনাহেনার বাঁকে/
শঙ্খ নিনাদে/
অনুরাগের সুর/তপন/
এইতো একটু আগে / হয়েছি প্রাপ্ত বয়ষ্ক/
এবার / ছুঁবো অগাধ সমুদ্র /
এক চিমটি লবনে/
এই তো / খানিক আগে / লাভ পড়ুন
কবিতা | | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৮৮ বার দেখা | ৪৯ শব্দ ১টি ছবি
হিয়া
হিয়া
হৃদয় গলে বেরিয়ে আসা প্রাণের স্পন্দন
তুমি বললে অশ্রু
আগুনের খোলা চিতা হতে নির্গত আত্মা
তুমি বললে দীর্ঘশ্বাস!
একবার ও চোখে চোখ রেখে দেখলেনা
বহমান নদীর নির্বাক ঢেউ ।। দাউদুল ইসলাম ।। পড়ুন
কবিতা | | ৫ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩২৪ বার দেখা | ২৭ শব্দ ১টি ছবি
মাঘী পূর্ণিমার অপেক্ষায় আছি
মাঘী পূর্ণিমার অপেক্ষায় আছি
হাড় কাঁপা হিমে
জ্যোৎস্না গলা কুয়াশার আড়ালে
তোমায় নিয়ে যাবো ওমের সন্ধানে। হে নিসিন্দা নারী
আঁধারের বাঁধ ভেঙ্গে আলোর উষ্ণ অঙ্গে
এবার আমাকে ঠাঁই দাও রঙের তুলি সমেত,
বুকের সুডোলে আগলের ঝাঁপ তুলে দাও
বৃন্তের নীলে অংকিত হোক শতাব্দীর জলছবি। মাঘী পূর্ণিমার ঐশ্বরিক রূপে সমৃদ্ধ নদী
শীতল জলে স্নান করে পড়ুন
কবিতা | | ৫ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩০০ বার দেখা | ১০০ শব্দ
হাসি
হাসির জন্য এখনো কারো ফাঁসি হবার কথা জানা যায় নি।
অথচ প্রতিটি হাসি কাউকে না কাউকে খুন করছে!

-দাউদুল ইসলাম । পড়ুন
অন্যান্য | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৯২ বার দেখা | ২০ শব্দ ১টি ছবি
নিঃসঙ্গ গোলাপ
নিকষ রাতের অন্তরীক্ষে ক্লান্ত ধূসর চাঁদ
বৃক্ষের শাখায় ভারাক্রান্ত পৃথিবীর আর্তনাদ।
ফণীমনসার নীল চোখে বারুদ জ্বেলে চেয়ে থাকে সাবলীল,
যেখানে, কুটিল রমণীর অণুকম্পিত বুকে স্বপ্নের সলিল সমাধি;
যদিও তখনো বিদ্যমান অশ্লীল হাসির নির্লজ্জ আহ্বান,
পূর্ণিমা মন্থনে অসহায় প্রেমিক- এক মুঠো সুখের জন্য
ফণীমনসার বিচলিত ঠোঁটে যেন বাধ্যগত সন্ধান! নিঃসঙ্গ গোলাপের মত পড়ুন
কবিতা | | ৫ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৮৫ বার দেখা | ৬৬ শব্দ
প্রাচীন পাপ
প্রাচীন পাপ
বিষ পোড়ন যন্ত্রণা নিয়ে মাথা চড়া দিয়ে উঠে প্রাচীন পাপ
রাতভর নিদারুণ অনুতাপে পুড়তে থাকি, বেহিসাব আবেগ
যার নিষ্পাপ বুক বেয়ে তোমার স্বপ্ন’রা ছুঁইয়েছিল আমার প্রাণ;
যেই স্বপ্নের আবহে হৃদয় আমার সাজিয়েছিল অমর্ত্য উদ্যান-
সেই বিশ্বাসের নির্মম ইন্তেকালে ফুসে উঠেছে প্রলয় নির্বাণ! জীবন বৃন্তের চারদিকে পড়ুন
কবিতা | | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৭৩ বার দেখা | ৬০ শব্দ ১টি ছবি
আছি শৌর্যে বীর্যে... পৌরুষে
আমি শিখেছিলাম প্রতি নিয়ত লড়তে- বিদ্রোহে
শিখেছিলাম আদর্শের ধর্মে চেতনার বর্মে- বিচক্ষণতায় বাঁচতে
হোঁচট খেতে খেতে শিখেছিলাম দুর্গম পথ চলতে, ক্ষয়ে- অবক্ষয়ে
নিজেকে দাঁড় করেছিলাম হুজুগের গা ভাসানো স্রোতের বিপরীতে;
ঘাতে- প্রতিঘাতে ধুকতে ধুকতে- শিখেছিলাম মানুষ চিনতে
মানুষ খুঁজতে খুঁজতে হেঁটেছিলাম কাল কালান্তর- তেপান্তরের মাঠে
হাটে- ঘাটে ধুয়ো উঠা চায়ের পড়ুন
কবিতা | | ৭ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩২৫ বার দেখা | ১৭০ শব্দ
আদিম কল্লোল
পঙ্কিলতার বেড়া জাল হতে তুলে আনলাম জীবন
সাড়া শব্দহীন এক বিষণ্ণ রাতে মৃণ্ময়ী সুবাসে
খুলে দিলাম হৃদয়ের গোপন কুটির, অধীর উন্মুখ
জোছনার বুকে হাত দিয়ে জানলাম দুঃখ বিলাসী সুখ কাকে বলে। জীবন সেখানে টগবগে রক্ত কণিকায় নির্লিপ্ত ঘুম
আমি নিজেকে চিনে চিনে যোগ করলাম যোজন যোজন শব্দ;
যৌবনের লেলিহান শিখায় পড়ুন
কবিতা | | ২০ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৮৪ বার দেখা | ১২০ শব্দ
আত্ম দর্পণে নিজেকে আর যায় না চেনা
আমি যখন আয়নার সামনে দাঁড়াই
অন্য কোন মুখাবয়বে একটা দেখতে পাই একটা মুখ
ধু ধু প্রান্তরের মত চুল গুলো রুক্ষ্ণ, কোটর বৃত্তে অচেনা অক্ষীসার
যেন গভীর গিরিখাতের ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে কালের ওষ্ঠাগত প্রাণ;
মনের অজান্তে আপন হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখতেই ভেঙ্গে খান খান-
বালির প্রাসাদের মত ঝর ঝর পড়ুন
কবিতা | | ১০ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫২৪ বার দেখা | ২২৪ শব্দ
বজ্রমাখা হরফ
বজ্রমাখা হরফ
কবে পাবো অমৃতের দেখা
কবে যাবো বাড়ি
কবে হবে নৃ হৃদ্য-কবিতার লেখা
পৌঁছুবো গন্তব্যে- মহাকাল ছাড়ি। কবে জ্বলবে প্রদীপ- উজ্জ্বল বহ্নি শিখা
নির্জীব চরণে কবে জাগবে- নৃত্য স্পন্দন;
মদিরা নদীর শাখা-প্রশাখা
কবে পাবো শৈল প্রপাত, কস্তূরী চাঁদ
বিহঙ্গের মনে তীব্র আলোড়ন কবে আসবে নিবিড় ভোর
শিশির শব্দের মূর্ছনা- স্বর্ণ পড়ুন
কবিতা | | ১৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২৫ বার দেখা | ৫৩ শব্দ ১টি ছবি
জেগে থাকুক প্রেমিকপ্রবর
জেগে থাকুক প্রেমিকপ্রবর
জেগে থাকুক প্রেমিকপ্রবর যার সাথে আমার জন্ম জন্মান্তরের প্রেম
তার নামেই আমি লিখে দিয়েছি অন্তর-অভ্যন্তর, বুকের হেরেম
স্বর্ণালোকে জাগিয়ে রেখেছি স্বপ্ন- নিরন্তর
বাঁকের শাঁখে শাঁখে মন্থর ধ্বনি, অতলে প্রাণেশ্বর
স্পর্শের নিবিড় গন্ধ শুঁখে শুঁখে প্রজাপতিরা চিনে ফুলের ধর্ম
মর্ম মহিমা মেখে মেখে জোয়ারের জন্য প্রস্তুত পড়ুন
কবিতা | | ৭ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬০২ বার দেখা | ১৪২ শব্দ ১টি ছবি
যোগ
যোগ
যোগ তপস্যার সূত্র জানতে জানতে একদিন ভালবেসে ফেললাম তাপসী কে। যাকে জানলে
দুর্যোগ নামে। ঝড় উঠে দাহ গ্রামে।
দূর কৈলাসে মেঘ জমে। থম থমে আবেগ। নদীতে বাণ ডাকে। সর্বনাশের কবলে
পড়ে সহজাত আরণ্যক- জ্যোৎস্না মোহন প্রেমে। নিঃসীম পতনের নিয়মে- পড়ুন
কবিতা | | ৯ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৯৩ বার দেখা | ৩৬ শব্দ ১টি ছবি
বুকে মৃণ্ময়ী ঘ্রাণ
ধরে নিলাম আমাকে ভুলেছ তুমি
কিন্তু, তোমার পদ্মভাসা নয়ন কি করে ভুলবে আমায়
যার অতলে বপিত আমার আজন্ম লালিত স্বপন, আর
অজস্র বিনিদ্র রজনীর কবিতার প্রহরে অশ্রুমিত মদিরা চুম্বন!
সে কি ভুলতে পারবে?
জোনাকির মত প্রজ্বলিত সোনালী স্তন , শঙ্খহার
যেখানে স্পর্ধিত প্রজাপতির অবাধ বিচরণ-
জেগে ছিলো নিত্য দিনের অনিবার্য স্পন্দন; পড়ুন
কবিতা | | ১৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৭৫ বার দেখা | ১০৫ শব্দ
অমৃতের ঢোক
অমৃতের ঢোক
কমলা-ত্বকী
সবুজ খোলসে
পাক ধরেছে সোনালী পরশে।
ঝাঁঝালো ত্বকে বিদ্যমান কুসুম, সবুজ ঘ্রাণ,
অম্ল যশে উসকে দিচ্ছো- লালাময় জিহ্বার কাহিনী,
আকণ্ঠ পান,
টসটসে মুখে রসের ভুক!
মরি পিয়াসে!!
তাম্র তিয়াসে দহনে পুড়েছে বুক
একি নিপুণ ফাঁদ!
নন্দিত উন্মাদ! অমৃতের ঢোক!!! পড়ুন
কবিতা | | ১৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৯৪ বার দেখা | ৩১ শব্দ ১টি ছবি