অ ঠাঁই রক্ত নদীর বুকে জেগে উঠা চর
নাম তার বাংলাদেশ !
রক্তের লাল, উত্তাল জোয়ার পেলে দুর্মর
বাঁধ ভেঙ্গে মিশে বিশাল সমুদ্রে
নাম তার বঙ্গোপসাগর!
ক্ষরণের যন্ত্রণা নিয়ে যে কিশোরী
নিজে ঢেকেছে সবুজের চাদরে
নাম তার সুন্দরবন!
মরণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
যে পাখিটি আজো উড়ে স্বাধীনতার নেশায়
তার নাম
পঙ্কিলতার বেড়া জাল হতে তুলে আনলাম জীবন
সাড়া শব্দহীন এক বিষণ্ণ রাতে মৃণ্ময়ী সুবাসে
খুলে দিলাম হৃদয়ের গোপন কুটির, অধীর উন্মুখ
জোছনার বুকে হাত দিয়ে জানলাম দুঃখ বিলাসী সুখ কাকে বলে।
জীবন সেখানে টগবগে রক্ত কণিকায় নির্লিপ্ত ঘুম
আমি নিজেকে চিনে চিনে যোগ করলাম যোজন যোজন শব্দ;
যৌবনের লেলিহান শিখায়
আমি যখন আয়নার সামনে দাঁড়াই
অন্য কোন মুখাবয়বে একটা দেখতে পাই একটা মুখ
ধু ধু প্রান্তরের মত চুল গুলো রুক্ষ্ণ, কোটর বৃত্তে অচেনা অক্ষীসার
যেন গভীর গিরিখাতের ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে কালের ওষ্ঠাগত প্রাণ;
মনের অজান্তে আপন হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখতেই ভেঙ্গে খান খান-
বালির প্রাসাদের মত ঝর ঝর
ধরে নিলাম আমাকে ভুলেছ তুমি
কিন্তু, তোমার পদ্মভাসা নয়ন কি করে ভুলবে আমায়
যার অতলে বপিত আমার আজন্ম লালিত স্বপন, আর
অজস্র বিনিদ্র রজনীর কবিতার প্রহরে অশ্রুমিত মদিরা চুম্বন!
সে কি ভুলতে পারবে?
জোনাকির মত প্রজ্বলিত সোনালী স্তন , শঙ্খহার
যেখানে স্পর্ধিত প্রজাপতির অবাধ বিচরণ-
জেগে ছিলো নিত্য দিনের অনিবার্য স্পন্দন;