শুভ জন্মদিন প্রিয় “মুরুব্বী” আজাদ কাশ্মীর জামান শব্দনীড় ব্লগের প্রাণপুরুষ, বাংলা ব্লগের অন্যতম নক্ষত্র, ইতিমধ্যে যার হাত ধরে হাজারো ব্লগারের পথ চলা ও সাফল্য গাঁথা রচনা রচিত হয়েছে আজ সেই শুদ্ধজাতকের জন্মদিন!
শুভ জন্মদিন প্রিয় “মুরুব্বী” আজাদ কাশ্মীর জামান

নিড়ানি পেলে টলকে উঠে ফসল
গ্রীবা নাচিয়ে ছুঁতে চায় হাওয়ার চিবুক,
কাঁদার বুকে লেপটে আছে মুদিত ঝিনুক
তপ্ত পিঠে শ্যাওলার বাস, বৃষ্টিহীনতার অসুখ;
না জলে না জমিনে- কোথাও নেই তার স্বস্তির ঠাই- মেঘের বুকে মেঘের আনাগোনা
বিদ্যুৎ চমকে টুটে যায় আবেগের স্বপ্ন বোনা,
বজ্র নিনাদে প্রকম্পিত আকাশ, বৃষ্টি -আসে না
ধারা প্রবণে

তুমি চির স্নিগ্ধা অপ্সরা
বর্ষা কিংবা গ্রীষ্মের ঘামে ভরা নাকের উপর
যখন খেলা করে সলাজ যৌবন, অধর বেয়ে
নেমে আসে গোলাপ জলের সুগন্ধি আবেদন;
স্নান পাঠ শেষে-কস্তূরীমৃগ নাভ গন্ধে
আজ যখন ফুটে ছিলে সদ্য স্ফুটিত নীলপদ্মের মতন
ঘুম কাতুর নয়ন আমার সয়েছিলো সুখোন্মোত্ত দহন! স্নান জলে লেপ্টে থাকা গোলাপি গাউন ভেদ

এই লীলা
ছলাকলা
নির্লজ্জ ক্ষুধার জ্বালা;
দ্বীধা নির্ধ্বিদ্বার উতলা রাত
উর্মিলা বুকে সন্তপ্ত হাত!
বাঁধ ভাঙ্গা এই জোয়ার
প্রেম হীন, স্রেফ কামনার অঙ্গার;
সেই লুটপাট
তাসের ঘরে অদুরা সংসার!

অশ্রু না বিষ?
কি দিয়ে ধুয়েছ তোমার স্মৃতি মন্থন বেদী,
যখন রক্ত আর ঘামে
স্রোতস্বিনী হয়েছে আমার অলকানন্দা নদী। চুল না কি ভুল?
ছিঁড়ছ কি উন্মাদ, অসহ্য চিত্তে!
মন পাবে না মনের উসুল
যদি না চিনতে পারো সত্য-মিথ্যে!! রতি না বিস্মৃতি?
কোন আগুনে জ্বেলেছো পরশ প্রদীপ,
ফাগুনের বনে শ্রাবণের প্লাবন
মধুর বীণে সুর মূর্ছনা, হও

করোনা ভাইরাস ঠেকাতে আমরা অনেকেই অনেক কিছু করছি- সচেতনতার জন্য লিফলেট, মাস্ক, সাবান এবং কি লকডাউন মোকাবেলার জন্য দরিদ্র অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ! আপাত দৃষ্টিতে এই কাজগুলো খুব ভাল কাজ। এবং এসব করে আমাদের আত্ম তুষ্টিরও অভাব নাই। কিন্তু এই ভাইরাস ঠেকাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

আর সবার মত খাপ খাইয়ে চলতে পারিনা বলে
তোমাদের কাছে আমি বেখাপ্পা জীব !
সজীব মনের আয়নায় নির্জীব প্রতিচ্ছবি
বলে দেয় তোমাদের এই বেলাজ চরিত্র কথা
আমার খুব ব্যথা লাগে
মানুষ হয়ে মানুষের পূজা করতে দেখে;
আমি যাবো না একিই ক্ষুরে মাথা ন্যাড়া করতে
সে

বুকে বিষ পোড়
জবর দখল, ক্লান্ত;
অসুখে নির্বোধ অক্ষিতল। মন যখন অচল মুদ্রা
বিপন্ন নিদ্রায় বিষণ্ণ রাত,
যন্ত্রণা যাপন। আমি ভুলেছি আমাকে
অচেনা দহনে পুড়েছি
কয়লার মতন হয়েছি খাক! বলতে পারো দায়ী কে? চেয়েছি কবিতা জীবন পাক
ফুলেরা সুখে থাক।
চেয়েছি মোহনা
নদীরা মিটাক সঙ্গম বাসনা। চেয়েছি গান
প্রেয়সীর অভিমান;
ইলিশে গুটি বৃষ্টি
চেয়েছি, মধু মন্তর খুনসুটি! আমি

অগত্য তুলে নেয়া হল
যা ফেলে দিয়ে ফেরিয়ে গিয়েছে সীমান্ত প্রাচীর
যা কিছু সত্য; সব যেন
নির্বাক অসহায় চিত্ত! মিথ্যার স্ফুটন ফুলঝুরির মত
তথাগত ক্ষমতার মত
বিচ্ছুরিত কাঁচের মত চিক চিক করছিল। অবধারিত অন্ধকার নেমে আসে, নামতে হয়
অথচ নিলামর জলসভা ভেঙ্গে কান্নারা স্রোতের মত প্রবাহিত!
তথা কথিত

যে চলার পথ গুলো অত্যন্ত ক্ষীণ, নয়তো এতটাই ক্ষুদ্র যে পথ চলতে শুরু করার আগেই পথে অন্তিম উকি দেয়। আমরা মনে প্রানে- কারণে অকারণে জড়িয়ে পড়ি সে পথের মায়ায়। যে পথের সাথী প্রথম সাক্ষাতে মুছে ফেলে অজ্ঞাত কালিমা, যার

মাঝে মাঝে ভুলে যাই, বেমালুম ভুলে যাই
পেছনে ফেলে যাই মেঠো পথ, গ্রাম,প্রান্তর…
ঘোরাচ্ছন্ন হেঁটে যাই
নগ্ন পায়; পায়ের নিচে ভেজা ঘাস, কঙ্কর, ঘুমন্ত শহর
সীমানা ফেরিয়ে যাই তটস্থ মেঘের ভেলা ঠেকেছে
যে সমুদ্রের মসৃণ নাভি মূলে
হেলে দুলে অস্তমিত সূর্যের বর্ণালী ঠোঁট ছুঁয়েছ যেই চোয়ালে। চেতনার

(বিশেষ দিনে নয় নারীর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই প্রতি দিন চিরদিন! বিশ্ব নারী দিবস সফল হোক) তুমি জন্মেছো বলেই জন্মেছে এই ধরা
তুমি আমার মা আমার প্রিয় অপ্সরা
তিমির কান্তার রস্মি তুমি
হিম কাঁটা রজনীর উষ্ণতা
ক্ষুধার্ত হা ‘ভাতের অন্ন তুমি
ক্ষত বিক্ষত জীবনের

হৃদয়ের ভাঁজে কিংবা ধ্যান মগ্ন মগজে
কবিতায় সাজানোর মত আর কোন শব্দ অবশিষ্ট নাই!
অন্তর নিংড়ে দুমড়ে মুছড়ে নির্গত দীর্ঘশ্বাস-
তবে কি
আমি শব্দ শূন্য হয়ে গেছি?
বিষণ্ন অন্ধকার বুকে নিয়ে দিগন্ত জোড়া মেঘের সংসার,
মৃত নদীর মত শবদেহে শুয়ে আছে জীর্ণ প্রান্তর, দুর্মার
বাতাসের শানিত থাবায়

অনিদ্রা বিলাসে কেটেছে বিগত পৌষের শীত
চোখে ছিলো ধু ধু কান্তার পথ কল্পনাতীত হাহাকার
কর্কশ ব্যাধিতে রুক্ষ সৌষ্ঠব- চুপসে গেছে শৌর্যের শিখা
তীব্রমন্দায় কেটেছে মাঘী পূর্ণিমা-একটি কবিতাও দেয়নি দেখা;
বিষাদ ভরা একাকীত্বে কেটেছে সন্ধ্যা আরতি- তথাগত ধ্যান
ঘুঘুর কান্নায় ভেঙ্গেছে অরণ্যের মৌনতা, যজ্ঞ মগ্ন প্রাণ

সয়ে যাচ্ছি অনর্গল অপবাদ
নির্বিবাদ বয়ে যাচ্ছি এক একটি কষ্টের পাথর,
বুকের উপর জমেছে জমাট রক্তের স্তর; নিরন্তর
ক্ষয়ে যাচ্ছি অন্তর অভ্যন্তর,আবাদ অনাবাদ
আজ পার্থক্য নাই কিছুতেই
আমার পৃথিবী জুড়ে বিরাজ করছে ধু ধু মরু প্রান্তর! হৃদয়ের সীমান্ত ছিলো উন্মুক্ত
সহজ সরল চিন্তার সূত্র ধরে বিযুক্ত মুখোশে
অনুপ্রবেশ