এক ভ্রম সন্ধ্যায়
সে দিন মহানগরে-মোটা চাউলের
ভাত খাইয়া কবিতা পড়ছিলাম অথচ হাততালি দিতে ভুলে গেছ
কেবল মিথ শব্দের প্রণয়ে
সাংঘাতিক এক ভ্রম সন্ধ্যায়
অনন্য ধাঁচের বসন্ত এসে
আমাদের প্রস্তাবিত উদ্যানে
অপেরা রেণুর ঢেউ বুনে যাচ্ছিল।
তুমি চুপসে যাবার আগে
কফি কাপের উষ্ণতম তাপ
একক আঙ্গুলের কামনায়-
মুগ্ধ-স্থির জড়োসড়ো নামকরণে
ঠোঁট আর মুখের খাঁজকাটা
দেরাজ খুলে বেরোচ্ছিল রঙিলা চাঁদ! পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০০ বার দেখা | ৪৩ শব্দ
মনে আমার শরত উড়ে
মনে আমার শরত উড়ে
মনটা আমার শুভ্র সুন্দর, সাদা মেঘের মতন
মন আকাশে নিত্য আমি শরত পুষি যতন,
কাশফুলও ফুটে মনের ক্ষেতে, উড়ে সুখের হাওয়া
মনে শান্তি, হচ্ছে ঠোঁটে সুখেরই গান গাওয়া। রোদ্দুর দুপুর তেজাব আলো, দেয় পুড়িয়ে গা
তবুও আজ শরতের বুকে হাঁটি ফেলে পা,
পায়ের তলায় শুকনো পাতা পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৭ বার দেখা | ১২৯ শব্দ ১টি ছবি
স্মরণে নজরুল
স্মরণে নজরুল
আজি তোমার জন্মক্ষণে,
শত বন্দনা প্রেম-অর্ঘ্য নিবেদন,
কবিদের আসরে শত আয়োজনে-
স্মরণে নজরুল নতশির সুআসনে। জনতার সমাবেশে শতেক পঙক্তি বলে,
জনৈক কবির স্মরণে তুমি বিদ্রোহী,
মানবিক কবি কিংবা প্রেমাবতার-
সাহসী জননীর অগ্নিপুরুষ। পৃথিবীর বুকে আজ নতুনত্বের সৃজন,
তুমি চির অমর-অম্লান,
তোমার স্মরণে চয়িত হয় প্রেমানুভব-
তুমি প্রেমিক বিপ্লবী জনতার। জনৈক কবির মানসে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৫৫ বার দেখা | ১৬৭ শব্দ ১টি ছবি
স্তরের স্থিরচিত্র
এসো প্রাণের বদলে আগুনকেই শুকিয়ে,
স্তরে স্তরে এই পথে রাখি।
যে পথে সহস্র কররেখা উঁচিয়ে
একদিন হেঁটে গিয়েছিল সহস্র পালক।
যে রোদে, একদিন বিন্যস্ত হয়েছিল আমাদের
উজ্জ্বল ভাগ্যরেখা। আর বাজপাখিরা গোলাপের
প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দখল করতে চেয়েছিল, গোলাপের
ভালোবাসার আকাশ। আকাশে মূলত প্রাণগুলোই নক্ষত্র হয়ে স্থির হয় অবশেষে।
সারি সারি পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৮ বার দেখা | ৬৪ শব্দ
খণ্ডিত সময়ের চিত্র
স্মৃতিগুলো ধরে রেখো
দ্বন্ধ আর দ্বেষে সময়গুলো পেরিয়ে যাচ্ছে। পরম বিশ্বাসী বন্ধু আমার
রাজপথে নামার আগে মানুষ চিনে নিও। সময়ের প্রতিনিধি অনেকেই হতে চায়
সৃষ্টি ও শিল্পমননে নিবেদিত যে তার দিকে বাড়িয়ে দিও হাত। এ পৃথিবী বিশাল রণক্ষেত্র
নৈরাশ্য ঘিরে ধরার আগেই বোধদয় হোক সবার। স্বতন্ত্র স্বত্ত্বায় জেগে ওঠো
জঙ্গম পাথরে বেঁধেছে যে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯৭ বার দেখা | ৬২ শব্দ
বসন্তবৌরির ডাক
বসন্তবৌরির ডাক
অনেকদিন পরে পাপড়ি খুলে গেল,
কেমন আছিস বসন্তবৌরি? এখন বিকেল দেখিনা রঙীন
বিকেলগুলোয় ধার নেই আর
এখন সোজা কথা বলতেও
ভুলভাবে নেশাগ্রস্ত হই,
থাক যত বাজে কথা –
কেমন কাটালি ঐ বিহীনসময়? শেষবার ঝগড়ায় ভুলেই ছিলাম
তোর অনাথ বাড়ির চলতি গল্পকথা
তোর অনর্থক বন্ধুত্বের অপছন্দ কাহিনীমালা।
থাক তেঁতো স্বাদ, আয় দাবদাহ পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯৩ বার দেখা | ১২৮ শব্দ ১টি ছবি
রংবাহারি ফুলের মেলা
বাগানের ফুলটি জানে
ফুটলে ভালোবাসা হয় যুঁইফুলের গন্ধ মেখে
অমৃতপাত্রে হাত রাখি। বাহারি পাতার ঝাড়ে
মৃদু কম্পন খেলে যায় দুটো পদ্মের পাপড়ি
খসে পড়ে মৃদু ঠোঁটে। গভীর গন্ধে ঘন শ্বাস
হাতের পাতায় মুখটি গাল থেকে ঝরে পড়ে
চুয়া চন্দন আর আবীর। পড়ুন
কবিতা, জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০৭ বার দেখা | ৩০ শব্দ
পোড়োবাড়ী
এই দেহ ভর্তি অশ্রুপাত
ভীষন ভীমের তান্ডব, প্রচন্ড অত্যাচার।
অন্ধকার তুমি চোখ খুবলে খাও
পরিনত মানুষের মত খামচে ধরো জিহবা
লালন করি তবু পানিপথের যুদ্ধ,
হেরে যাব জেনেও জেগে উঠবার বাসনা। বিপুল পিপাসা তবু জমাই এখানে
অন্ধ চোখের জল গলে নেমে যায়
নিষিদ্ধ বিষাদ আর গীতিকবিতার হলদে জামা। পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯১ বার দেখা | ৪১ শব্দ
ট্রেজার বক্স!
ট্রেজার বক্স!
২০১২ সালে মা মারা যায়। মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর আমি আমেরিকা ফিরে আসি। ফেরার সময় ছোটো একটা স্যুটকেসে মায়ের কিছু শাড়ি, শেষ বিছানার চাদর, বালিশের ওয়ার, হাসপাতালে ওটিতে নেয়ার আগে মায়ের হাত থেকে খুলে রাখা শাঁখা পড়ুন
জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৩ বার দেখা | ১৪৫৪ শব্দ ১টি ছবি
অক্ষত নেই কিছু
অক্ষত নেই কিছু
অক্ষত নেই কিছু
অক্ষত থাকেনা, থাকতে পারেনা। বেড়ে চলছে মাথা পিছু ঋণের বোঝা
আনুপাতিক হারে বাড়ছে ক্ষত, যন্ত্রণা! ধুলোর কাছে বৃক্ষের ঋণ!
ক্ষত ঢাকতে
বৃক্ষের কাছে ছায়ার ঋণ, শিশিরের কাছে ঘাসফুল, মেঘের কাছে বৃষ্টির ঋণ!
ক্লেদ ঝরাতে-
বোঝা পড়ার দিন আসে না- কখনো সীমাহীন আনন্দ, কখনো পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯৬ বার দেখা | ১৬৫ শব্দ ১টি ছবি
কোথায় আর আসলে কাছে
কোথায় আর আসলে কাছে
এ তো শুধু ঠোঁটের বুলি
আসলে কই আর কাছে,
আমায় ছেড়ে থাকলে দূরে
জানটা তোমার বাঁচে। হাত বাড়িয়ে কী হবে গো
মন বাড়িয়ে দিলাম
মনটা তোমার কর এবার
আমার নামে নিলাম। যাচ্ছে সময় উড়ে দূরে
ধরার যে নেই সাধ্য
এসো বাজাই মনের তারে
বন্ধু প্রেমের বাদ্য। কত বিকেল এল গেল
হয় না করা পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১২০ বার দেখা | ৮০ শব্দ ১টি ছবি
দরবার ও তরবারি
একদিন আমিও দরবার খুলে টাঙাবো লাল চাদোয়া
তারপর ডেকে বলবো- এসো হে নক্ষত্রসমাজ,
এসো সূর্যপরীরা,
আমার হাত ধরে গ্রহণ করো আলোর বয়েত,
তোমরা যারা এই পৃথিবীকে আর ছটা দিতে পারছো না
তারা বদলে দাও নিজেদের খোলস
তারপর অন্য কোনো নামে ফেরি করো ঝাড়বাতি। একদিন আমিও তরবারি হাতে চলে যাবো সকল পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৪ বার দেখা | ৭৫ শব্দ
পুরনো আলনা
একটা শরীর, পুরনো জামার আলনা বহুকাল ধরে গন্ধ জমে আছে। এবং
অতিক্রম করে যাচ্ছে বনখরগোশের
মতো বোতামের দ্বিভাঁজে, নুনের চুম্বন-
নগরের কলকব্জা, জিরে মশলার উৎসব
মাছবাজারের থোকথোক উদাম সন্ধ্যা এমন নাতিদীর্ঘ মসলিন বনিবনা
দাগায়ে যায় জলপাই রং, এখানে-
ষোড়শীর কালো তিলের ওপরে
কেবল আলপিনের মতো চিহ্ন,
কতগুলো কঙ্কাল মৃতদের ইঙ্গিত
পেরিয়ে পালকে দাঁড়ায়-শঙ্খচিল
হরধ্বনির স্নিগ্ধ আলোয় পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৮ বার দেখা | ৫০ শব্দ
ফুঁ দিয়ে যা
ফুঁ দিয়ে যা
দালালবাদ আর পুঁজিবাদ
একই ধান্দাবাদের বাতাস
মুখোচোর আর জুতোচোর
একই ঘরে শিং খুরার রাত;
কে শিক্ষিত- কে মূর্খ বুঝা
বড় ভার! পেন্ট শার্টে বাহার;
সব একই মাটির দেহ পা
জীবন চলে শূন্য ফুঁ দিয়ে যা!
দালালবাদ আর পুঁজিবাদ
একই সূত্রে ফুলের মালায় কাদ। ০৭ পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯৫ বার দেখা | ৩৯ শব্দ ১টি ছবি
ভালোবাসা যেথায় বিরাজ করে!
ভালোবাসা যেথায় বিরাজ করে!
একটা ভালোবাসার গল্প বলি।
অদিতি পাল টুম্পাকে আমার ফেসবুক সিনিয়র-জুনিয়র বন্ধুদের অনেকেই আমার নিলাজি কইন্যা নামে চিনে। আমার নিলাজি কইন্যা টুম্পা, সেই ছোট্টো বেলা থেকে আমাকে মামী বলে চিনেছে জেনেছে ভালোবেসেছে।
টুম্পার মা’কে আমি কমলদি ডাকি, কমলদি আমাকে বৌদি পড়ুন
জীবন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯২ বার দেখা | ৯০১ শব্দ ১টি ছবি