মানুষের কাতারে দাঁড়াবার দৌড়ে আমি বারবারই পরাজিত হই।
আমার শয়নকক্ষে যে অর্ধভাঙা ঝাড়বাতি দু’দশক থেকে ঝুলে
আছে, তা বদলাবার সাধ্য আমার জুটেনি এখনও। তাই মাঝে
মাঝে বাতিটির অর্ধ আলোয় নিজেকে চিনতে বার বার ভুল করি।
নিজস্ব কোনো ইমেজ না থাকায় কখনও ঢেউ, কখনও ধ্বনির কাছ
থেকে ধার নিই উত্থান
নীল আকাশের চাঁদটার থেকে অভিমান তুলে নিয়ে, যদি ইচ্ছে করে উড়ে যাই হাওয়া পথ ধরে! সেই যে পথে কবে ভেসে গেছি ছোট্ট আমি। বৃষ্টির ফোঁটা জলে মিশে নিয়ে গেছে সবটুকু আলো, এই আমাকে অন্ধকারে রেখে।
এখন ছায়ারা শুধু ভিড় করে
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১০২ বার দেখা
| ১১৪ শব্দ ১টি ছবি
সব বিকেলের গাঢ় আলোয় জিব মেলেছে
এক সংকেত চিহ্ন নিয়ে, দূর হতে ঢুকে পড়ে
সাপখেলা দুপুর, এখানে দরজার খিল খুলে
প্রবেশ করে জীবনের কথা, ভাতের চেয়ে
তবু জ্যোৎস্না খায়, অন্ধ বাঁদুড়। দাঁত থেকে
রাত্রি বেরোয়, তাতে লেগে আছে সাক্ষরতা।
তোমাদের দুপুর আর আমাদের দুপুরবেলার
বিস্ময়ের রূপ বুঝতে গেলে কোনো এক
শুক্রবারের আশপাশে
ছুটির দিন বিকেলের রোড, থেকে যায় ফাঁকা,
সেই রোডে থাকে গোধূলি রঙ আঁকা
ব্যস্ততা আর ছুটে চলা হন্তদন্ত লোক নেই
নেই গাড়ির বহর, চলো ঘুরি রিক্সায়
সময় কেটে যাবে আনন্দেই।
শাপলা ফোটা মতি মিয়ার ঝিলে
জল ছিল কি তখন, জানতে ইচ্ছে এ দিলে,
এমন পাপড়ি মেলা শাপলা
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৯৬ বার দেখা
| ১২১ শব্দ ১টি ছবি
অবাধ সুষ্ঠু ভোট দানে
আমেরিকার ভিসা
বাহ বাহ কি চমৎকার!
কেউ আর বলতে পারবে না
মামা বাড়ির আবদার;
কি সাঙ্ঘাতিক চিন্তা রে বাবা
হোক না অবাধ সুষ্ঠু ভোট
ইতিহাস শুধু সাক্ষী থাক
অসুষ্ঠু ভোটে ভিসা নাপাক
নতুন আঙ্গিকে হোক ভিসা ভোট।
১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯, ২৯ মে ২৩
কবিতা|
৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৬ বার দেখা
| ৩৭ শব্দ ১টি ছবি
সেন্ট পিটার্সবার্গ, রাশিয়া।
সামার ব্রেকের পর পুরো-দমে ক্লাস চলছে। প্রকৃতিতে শরতের আগমনী বার্তা। একদিকে পাতা ঝরছে, অন্যদিকে দিনগুলো ছোট হয়ে আসছে। তেমনি এক দিনে ডিন অফিস খবর দিল আরও ৫জন বাংলাদেশি আসছে আমাদের কলেজে। ইউক্রেইনের ঝাপারোজিয়া শহর হতে রেলে করে আসছে
সদ্য রবীন্দ্র তিথি গেলো। সবাই তাঁকে নিয়ে পোস্ট করছেন। আমারও শখ হলো পোস্টাতে। একটা বছর তিন-চারের পুরোনো, প্রকাশিত লেখা।
আমার রবীন্দ্রনাথ
ভালো বই শিক্ষকের সমান। যে মানুষ বই পড়েন তাঁর অনেক শিক্ষক। আমাদের মাথার উপর অনেক দিকনির্দেশক ছায়ার হাত ছিল। সেইসব হাত
ভালো থেকো, বেঁচে থেকো / অমৃত ইচ্ছা তোমার বলয় / মাথায় রেখেও সর্বদা বাঁচা যায় না / আসলে বেঁচে আছি কী না / বুঝতেই কেটে যায় এক পূর্ণ জন্ম / পূণ্য যজ্ঞ থেকে জন্ম নিয়েও / যাজ্ঞসেনী বনবাসে যায় / কীচক ও দুর্যোধনের শ্লীলতাহানির
০১
বাজিতপুর রেলস্টেশন থেকে কয়েক কিলোমিটার পূর্বদিকে গেলেই ভাগলপুর গ্রাম। অবশ্য এখন আর গ্রাম নয়। আধা শহর। কিছুটা গ্রাম আর কিছুটা শহর। বিশেষ করে মেডিকেল কলেজের আশেপাশের এলাকায় ঢুকলে যে কেউ আর ভাগলপুরকে এখন গ্রাম বলবে না। একটা কমপ্লিট আধুনিক শহরের মেজাজ নিয়ে সে যেনো
আমি আজ সেই ঝড়ের কথা বলছি –
যে ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল স্বপ্ন বাসর
পরস্পর স্থান বদল করেছিলো আকাশ পাতাল ;
আদ্রতাহীন স্বপ্নের ঘর্ষণে যে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ঘটেছিল—
তাতে সব স্মৃতি পুড়ে সেদিনই হয়েছিল ছাই।
আজ আমি সুখি মানুষের উপমা দিতে দূরে যেতে হয়না
আমি পুড়ে যাওয়া স্মৃতিহীন এক সুখি মানুষ।