তুমি চাইলে অনেক কিছু হতে পারতো আমাদের।
কেন মুখ ফিরিয়ে ছিলে?
আমি কি এতটাই অপাঙ্ক্তেয়।
তোমার নীল যৌবন আমার হৃদয় হরণ করেছিলো,
শুক্লা তিথির রাতে।
আমি তো অর্গল খুলেই রেখেছিলাম।
তুমি শুধু হাত বাড়ালেই হতো।
সবইতো বরাবরই ছিলে
তিড়িং বিড়িং খোকন নাচে,
হরেক তার বায়না।
দিতে হবে কিনে তাকে,
জাদুকরী আয়না।
ভেবে ভেবে মা যে তার,
হলো কুপোকাৎ।
বাবা বলে দেবো দেবো,
পোহাক আগে রাত।
রাত নিশিথে খোকন সোনা,
ঘুমে স্বপ্ন দেখে।
তেপান্তরের মাঠে এক
বক রাক্ষসী থাকে।
সকাল হতেই বায়না জুড়ে,
মা কিনে দাও
যদি কোনদিন তুমি আমায় ভুলে
অচেনা আলোর পথ ধরে
একলা হতে চাও।
দেখবে সেদিন তুমি,
সব পাতা ঝরে গেছে গাছে গাছে।
পাখি সব আর গাইছে না গান।
চাঁদ ভুলে গেছে জোছনা বিলাতে
সব ফুল শুকিয়ে গেছে নিষিক্ত হবার আগেই ।
যেতে চাইলে তুমি
তোমার ঠোঁটের ফাকে
তিনটা কথার ছবি আঁকতেই।
তুমি আঁতকে উঠে
আমায় ঠেলে ফেলে বললে,
আমি ধর্ষিতা হতে চাইনা ।
আমি আহত চোখে বললাম
ভালোবাসা ও নিগ্রহের মধ্যে
পার্থক্য বলতে তুমি কি বোঝ?
তুমি বললে ,আজকাল পুরুষেরা ভালোবাসেনা।
ভালোবাসা আদায় করে নেয়।
সুযোগ নেয়
বদলে গেছে সব।
এই শহর রাস্তা ,পথ, ঘাট, বাড়ি!
বদলে গেছে তোমার বাড়ির রাস্তা ও ঘর।
বদলে গেছে তোমার বন্ধু ,প্রেমিক সব।
শুধু বদলাতে পারিনি আমি নিজেকে।
আমি সেই একই আছি!
তুমি আমার নাম দিয়েছিলে বিনে পয়সার কবি,
বলেছিলে আমি
একদিন ভেবেছিলাম,
সব ঠিক হয়ে যাবে।
চলতে পথে শুধরে নেবো যত ভুল আমার।
তুমিও আবার আগের মতো ভালোবাসবে আমায়
সব ভুলে।
কিন্তু এভাবে যে মোড় ঘুরিয়ে তুমি ,
চলার পথে হারিয়ে যাবে!
অন্য কারো হাত ধরে ,
আলো নেভা জোনাকির মতো।
কোনো একদিন।
আমি