কত হাসি, কত ব্যথা,স্মৃতি বিজড়িত ক্ষণ।
প্রতি পলের ভাঁজে ভাঁজে জীবনের সাতকাহন।
হঠাৎ উঠলো ঝড়, সাঙ্গ হলো খেলা।
চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি, শূন্য বালুকাবেলা।
এমন দিন আসবে কখনো দীর্ঘ চলার পথে,
স্বপ্নেও আমি কল্পনায় আঁকিনি, বাস্তবেও কোন মতে।
চারদিকে হাহাকার ভরা, হতাশার আঁধার।
জটিল সমীকরণে জীবন, গোলক
এক মুঠো ভাত দেবেগো মা ?পেটে বড্ড ক্ষুধা।
পয়সা হলেও অসুবিধা নেই, দাও না গো দাদা।
দুদিন ধরে খেয়েছি কেবল, পানি আর একমুঠো মুড়ি।
অনেক তো আছে কমবেনা দিলে,বাসি ভাত তরকারী।
রোদে পুড়ি, বৃষ্টিতে ভিজি, নেই তাতে কোন দুখ।
ক্ষুধা জ্বালা বড় জ্বালা, অসহ্য মারাত্মক
তোমার অনলে জ্বলতে জ্বলতে
আমি হয়েছি অঙ্গার।
তোমার ভালোবাসা পাবার আশা
নিত্য হাহাকার।
আমার অভিমান দুঃখ ব্যথা
সব তোমায় ঘিরে।
আমার স্বপ্নগুলো হোঁচট খেলেও
ফিরে তোমারই দ্বারে।
এবার কি তবে হবে একটু সময়
আমায় ফিরে দেখার?
আমার কিন্তু খুব সাধ ছিলো
একান্ত তোমার হবার।
জানালার পর্দা সরাতেই ঘরের মধ্যে আলোরা যেন বাঁধ ভাঙা জোয়ারের মতো ঢুকে গেলো। ঘুমানোর সময় আলো একেবারেই সহ্য করতে পারে না মিহির। হঠাৎ আলোর ঝলকানিতে ঘুম ছুটে গেলো এক নিমেষে এবং অবাক হয়ে চেয়ে দেখলো সামনে মিলা দাড়িয়ে আছে। খানিক
ঘরবন্দী জীবন এখন
হলো যে শাঁখের করাত।
একে একে ভান্ড খালি
ফুরালো হাড়ির ভাত।
ক্ষুধার জ্বালায় শিশু কাঁদে
চিন্তায় শিশুর মা।
করোনা প্রকোপে জীবন জটিল
নানান হাঙ্গামা।
হাত পাতবে মধ্যবিত্ত
সে অভ্যাস তো নাই।
বাড় বাড়ন্ত ছুটির ফাঁদে
বেচে থাকাই
কেমন আছো প্রিয়তমা স্বেচ্ছা বন্দী জীবনে?
ঠিকঠাক আছো তো নিয়মে?
আমি কিন্তু ভালো আছি, নতুন জীবনাচরণে,
এখন তো ঘরে বসেই থাকি।
যদিও মাঝে মাঝে তোমার কথা ভাবি।
তোমাকে না বদলালেও অন্য অনেক অভ্যাস
আমি বদলে
হঠাৎ করে আফ্রোজাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এইতো কিছু আগে আমরা দুজন মান অভিমানের ছলে ঝগড়া ঝগড়া খেলা করলাম। আমাদের দুই রুমের ফ্ল্যাট। সাথে একটা ব্যলকনি ও কিচেন সংলগ্ন ডাইনিং স্পেস। সবখানে খোঁজা শেষ। মেয়েটা কি উবে গেলো