আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা “মেঘফুল”, ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।
ঐ নদী বড় লজ্জা দিয়েছে
তার সমস্ত জলঢেউয়ে ভাসাবে-
সুগন্ধি ফুলের সৌরভ ছড়াবে!
তরীর উজানে যে সাহায্য করা দায়-
জোয়ার ভাটা সারা রাত ধরে
কি উত্তর কি দক্ষিণে হতে চায়?
নদীর স্বপ্ন জলে নীলময় বর্ষার তৃষ্ণা;
শুধু কাদামাখা নর যে অপেক্ষায়।
চিতলপিঠে শুভ দৃষ্টি
এখন তোমার আকাশে শুধু
ভাবনার চিতলপিঠে শুভ দৃষ্টি!
লাল কালো মেঘের হয় সৃষ্টি-
দুই এক ফোটা ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি!
আহা কি যে মিষ্টি।
এ কাক ভিজা শরীরে ভাল লাগে
বিদ্যুৎ চমকালে শিহরণ আর লগে
ঝরুক না দুই এক ফোটা বৃষ্টি;
আহা কি মিষ্টি।
বৃষ্টি রাঙাতে কৃষ্ণচূড়া রেণু ছড়াতে
এ বর্ষা বয়ে
চোরাবালি
ঐপথের বাঁকে চোরাবালি
এই ডুবি -এই ভাসি-
কুল কিনারায় শখের নদী !
নয় যমুনা নয় বাঙ্গালী
বুকের নদে একখানা জলের ছবি।
কি ভাবছি সর্বি গড়েছি সমাধি
শুধু চিহ্ন মাটির এ ঘাসফড়িং-
বিরল মনে বসে না তাই প্রজাপতি !
এই ডুবি- এই ভাসি;
আঁধার নীলে শুধু জোনাকি
এযে চোরাবালির গায়ে মিটি মিটি
কেন দিলে কানামাছির
ধন্য মাগো
ধন্য ক্ষণে ক্ষণে! জন্মেছি যে মায়ের কুলে
উঠান দ্বারে শিমুল পলাশ যায় ঝরে।
রক্ত জল যায় না কভু শুকে -শুকে-
আর্তনাদ বাহুবলে শুধু কাছে ডাকে!
নিরবে নির্জনে পদ্মা যমুনা আবহমানে
সে যে আমার মায়ের নয়নান্তরে
কে জানে কে জানে! অজ্ঞাহীন প্রভুরা কি ?
দুষ্টবাদর দলেরা কি আর বুঝে -বুঝে;
তবুও ধন্যকুলে
একগুচ্ছ কৃষ্ণচূড়া প্রথম দেখলাম যখন
দেহের মাঝে খইফোঁটা বালুর ছুঁয়া বুঝিনি তখন-
এখন শুধু পোড়া জানালার দৃষ্টিপলকে
নানার রঙের কৃষ্ণচূড়ার পাঁপড়ি বিরণ!
রাঙিয়ে কাটায় কত না দিবস রজনি-
এভাবে কত বৈশাখ গেলো-
শুধু এই বৈশাখে বৈশাখে- রাঙিয়ে যাওয়া ইচ্ছে করে,
কৃষ্ণচূড়ার রাগনি; কখন প্রজাপতি-
কখন ঘাসফড়িংর ফুলদানি!
দেহের মাঝে খইফোঁটা বালুর ছুঁয়া বুঝিনি-
একটা
মাঝে মাঝে আকাশকে চিনতে যাই
আর অঝোর ধারায় নোনা বৃষ্টি হয়-
হু সবুজ অরণ্যকে যখন বুঝতে যাই
আফসোস আর হাহাকার দু’নয়নে পাই!
ঐ যমুনার কাছে খুব যেতে ইচ্ছা হয়
কিন্তু বেরঙের ঢেউয়ে বাঁধার সম্মুখ হই-
চরের বালু মিশ্রণে উত্তাপে পুড়ে যাই;
এটাই তো জীবন চুলা খই ভাজা ছাই
কি
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩০৩ বার দেখা
| ৫০ শব্দ ১টি ছবি