আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা “মেঘফুল”, ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।
শুধু রঙধনু মলিন
এপাশ ওপাশ স্বপ্ন আমার শুধু তালগাছ
বাস্তবতা তোমার তুলশীপাতার নাচ !
ঘুমায় ফুটপাত কিংবা কলাগাছের নিচে-
তুমি শুধু রাজপ্রসাদে নাক ডাক বাজ বাজ।
ক্ষুর্ধাত মনে উচ্চবিলাসীর খাদ্যতালিকার ছবি
বিনম্রশ্রদ্ধার আজাদের আর্তনাদে কিআর আঁকি-
মানচিত্র আমার রঙে রঙে বহু রূপে রঙিন
তাই আর স্বপ্ন দেখি না না ক্ষুধা আর লাগে
আলোকিত মন
আমি ত্রিশদিনের সাথে সঙ্গবোধ্য
দিবালোয় চোখে মুখে হাতে পায়ে
এমনকি সমস্ত দেহের ছিধ্য রাখি বন্ধ-
এ শিক্ষা আমার সন্ধ্যা পারে আন্তমিল ছন্দ!
এভাবেই ঘুরেফিরে মুছে যাক মন্দ
আমি ত্রিশদিনের সাথে সঙ্গবোধ্য-
আমার সামনে আঁধার পথ চিরধাজ্য
কবুল কর ছিয়ামসাধনার সমক্ষণ
এধরণির বুকে হয়ে যাই আলোকিত মন।
অটোফেজি প্রয়োজন
বৈসাম্য আর সম্যাবাদি
ফরমানি মৎস্য কাটার মতো-
গলায় করে চুম্ম আদি!
না ফিরা দেশের কথা না ভাবি।
চাপাবাজি আর কিলবাজি-
কোন কিছু্তেই ওরা খায় না
বিবেকটা উল্টোবাজি দেয় না;
নয়ন নিক্ষিলে শুধু ধাপ্পাবাজি !
ঠোঁটের অলি গলিতে সম্যাবাদি!
বাস্তবতার ধরণিতে বৈসাম্যেকাদি-
এসো না নিজেদের প্রয়োজনে
এ সুযোগে বোধ সাজাই অটোফেজি।
ক্ষণে ক্ষণে যাচ্ছে ফুরে
প্রতিহিংসায় সরিষা ফুল
ধানশালিক আর শ্যামা কোকিলের
আপাদমস্তক গান শোনতে লাগে ভাল-
আমার গান গায়তে গেলে প্রতিহিংসায়
সরিষা ফুলে জ্বালো! ষোলআনা অহংকার বলো।
ধানশালিক আর শ্যামা কোকিলের মতো
আমিও শুনাতে চাই গান- যত শত-
বুঝো না! গানের গীতিকাব্য ঈশ্বর সৃষ্টি রস
সম্য কথাই হবে কি আর প্রতিহিংসায় বস!
অসভ্য ফসলের মাঠ আপন চেতনায়
এখান শুধু জোয়ার বয়
আহা কি রঙের বাহার ! টমেটোর
মতো লাল টকটকে ওখানেই জ্বলছে-
রোজ তাই জোয়ার বয় নদীতে !
কি আনন্দের মেজাজটা বেশ লাগছে।
জানা আর অজানাতেই থাকল ঘরে
অতঃপর বাশিফুল গন্ধ শশী পারকিয়া বরে-
রোজ তাই -দাদু ভাই- টিপ দেয় কপালে
ঝিলিকে বিলিকে ছুঁয়ে যায় সুখশান্তির ছলে;
নদী তাই ভাঙ্গে-
পূর্বপুরুষের বাণী কথা
ভজন পিঠে কথা আর বাণী
ভাবনার দৃষ্টি পরেছে ছানী
স্বার্থপরতার গায়ে ছলনার-
শুকনো ঈমানির ফুলদানী ।
শুধু গন্ধ সুবাস নিম্ন কামী
কোরান হাদিস করছে ধামী
কাদছে মন- ভিজছে দেহ-
গত পূর্বপুরুষের পথ গামী!
সময়ের হটকথায় রঙ্গমঞ্চ
থাকতে সময় ধর্ম কর্ম মানি!
ডাকছে পূর্বপুরুষের ঐ পথ
এই বুঝি হলো মৃত্যু জানি।
আর কত নোনা জল
সূর্য রোদের নিঠুর যৌবন খেলায়
নরম দেহে অসহ্য কষ্ট !
নদ নদীর মতো নোনা স্রোত বয়ে যায়
সময় ক্ষণ হচ্ছে কত নষ্ট;
আর কত খেলবে তাপদাহ রাঙা রঙিন
ভিতর বাহির করে খানখান –
দিয় না ঈশ্বর, জীবন ঘেষে জল শৃন্য মরণ!
শুধু এই ফেরেস্তার মতো
শিশু রা হয়ে
অপ্রসঙ্গিক প্রণয়সাঁকো
জোনাকির মতো লুকোচুরির দৃষ্টি ফাঁকে
কখনো কি বিষণ্নতায় আকাশ দেখো ?
অতঃপর কোন মেঘ কে নিয়ে ভাবো-
সাদা না কালো আর সবুজঘাস ধূলিস্পর্শ ছুঁয়া
স্মৃতির উড়ন্ত ফড়িং এর সাথে মাখো?
অপ্রাসঙ্গিক শুধু দুর্বৃত্ত সব প্রশ্ন জ্বালা!
তবুও এখানে প্রণয়ের সমতল সাঁকো-
সত্যিই বর্ণমালার আঁকা ছবিগুলো দেখো?
তাতেই ভাসা মেঘগুলো রঙিন
শুধু মিষ্টি
ঠোঁটের অগলা ভুমিতে কেউ কথা বলে
কেউ লাউয়ের ডগা পাতে চেয়ে চেয়ে থাকে;
কেউ রস খায় মিষ্টি- এখানে শুধু তিত্তী !
তিত্তীর আরালে বৃষ্টি- কে গড়ে নতুন সৃষ্টি-
সৃষ্টির বাহুডরে হাজারো দেয় ঝিলকি;
কেউ রস খায় মিষ্টি- এখানে শুধু তিত্তী !
কে দেখে আর- সোনাই পোড়া কৃর্তী;
ইতিহাস বলেই কথা