আলমগীর সরকার লিটন-এর ব্লগ

আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা “মেঘফুল”, ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।

সরিষার ঘানিটানা
সরিষার ঘানিটানা ডোল ভরে এখন শুধু আপাদমস্তক প্রেম চাই
যে প্রেমের মাঝে হাটু জল- কুমর জল নাই-
শুধু শান্ত বলয়, মুখে ফুটে ধান ভাজা খই !
এখনী সম্যচাষের সোনালী ফসল ফলাতে যাই! মাঠের মাঝে দাবানল জ্বলছে কে করে তা মানা
হারিয়ে গেছে বকুল ফুলের মালা- কে সাজাবে
গোলাপ ফুলের ঢালা-শুধু মনের পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩১০ বার দেখা | ৬৪ শব্দ
শুধু রঙধনু মলিন
শুধু রঙধনু মলিন এপাশ ওপাশ স্বপ্ন আমার শুধু তালগাছ
বাস্তবতা তোমার তুলশীপাতার নাচ !
ঘুমায় ফুটপাত কিংবা কলাগাছের নিচে-
তুমি শুধু রাজপ্রসাদে নাক ডাক বাজ বাজ। ক্ষুর্ধাত মনে উচ্চবিলাসীর খাদ্যতালিকার ছবি
বিনম্রশ্রদ্ধার আজাদের আর্তনাদে কিআর আঁকি- মানচিত্র আমার রঙে রঙে বহু রূপে রঙিন
তাই আর স্বপ্ন দেখি না না ক্ষুধা আর লাগে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৯৭ বার দেখা | ৫৬ শব্দ
আলোকিত মন
আলোকিত মন আমি ত্রিশদিনের সাথে সঙ্গবোধ্য
দিবালোয় চোখে মুখে হাতে পায়ে
এমনকি সমস্ত দেহের ছিধ্য রাখি বন্ধ-
এ শিক্ষা আমার সন্ধ্যা পারে আন্তমিল ছন্দ!
এভাবেই ঘুরেফিরে মুছে যাক মন্দ
আমি ত্রিশদিনের সাথে সঙ্গবোধ্য-
আমার সামনে আঁধার পথ চিরধাজ্য
কবুল কর ছিয়ামসাধনার সমক্ষণ
এধরণির বুকে হয়ে যাই আলোকিত মন। পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৮২ বার দেখা | ৩৯ শব্দ
শুকনো বকুলমালা
শুকনো বকুলমালা আকাশে মেঘ ধূসর কালো
ওরা আছে অনেক ভাল-
ছিন্ন পাতায় শুকনো ঘুড়ি!
স্মৃতির মনে নাই উড়ি- উড়ি! মৃত্তিকার পরশ জুড়ে ঘাসফড়িংর
রঙিন ডানা মেলে যেদিন-
স্বীকৃতির কবির দলে ভারি হবে
আসমান জমিন নোনা জলে মলিন। স্মৃতির মনে নাই কায়া উড়ি- উড়ি-
ছিন্ন পাতায় শুকনো ঘুড়ি
ভিজাবে মেঠোধূলির ঘাস মাটি
প্রণয়ের বকুলমালা এখানে খাঁটি। পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৮৮ বার দেখা | ৪৩ শব্দ
রোজাই দেহরক্ষী
রোজাই দেহরক্ষী দেহের মাঝে অশ্লীলিন কোষের সন্ত্রাসী বারে
নিত্য ক্ষণে ক্ষণে কু-প্রস্তাব করে-
রাজি ক্ষণে দেহটা উল্টে ক্যান্সারে শুধু মরে!
আর কত ধর্ষণের ভয়ে কুয হবে রক্তনালী
তার জন্য অটোফেজির প্রয়োজনে
১৪-১৫ ঘন্টা বন্ধ রাখো খাদ্যনালী। তাতেই যত অশ্লীলিন, সন্ত্রাসী, কু-প্রস্তাবরা
মরার রাস্তা খুঁজে পাবে না –
সু-শৃঙ্খল দেহটা সতেজ হবে !
ঠিক পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৬৪ বার দেখা | ৫৬ শব্দ
অটোফেজি প্রয়োজন
অটোফেজি প্রয়োজন বৈসাম্য আর সম্যাবাদি
ফরমানি মৎস্য কাটার মতো-
গলায় করে চুম্ম আদি!
না ফিরা দেশের কথা না ভাবি। চাপাবাজি আর কিলবাজি-
কোন কিছু্তেই ওরা খায় না
বিবেকটা উল্টোবাজি দেয় না;
নয়ন নিক্ষিলে শুধু ধাপ্পাবাজি ! ঠোঁটের অলি গলিতে সম্যাবাদি!
বাস্তবতার ধরণিতে বৈসাম্যেকাদি-
এসো না নিজেদের প্রয়োজনে
এ সুযোগে বোধ সাজাই অটোফেজি। ক্ষণে ক্ষণে যাচ্ছে ফুরে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৮৫ বার দেখা | ৫০ শব্দ
প্রতিহিংসায় সরিষা ফুল
প্রতিহিংসায় সরিষা ফুল ধানশালিক আর শ্যামা কোকিলের
আপাদমস্তক গান শোনতে লাগে ভাল-
আমার গান গায়তে গেলে প্রতিহিংসায়
সরিষা ফুলে জ্বালো! ষোলআনা অহংকার বলো। ধানশালিক আর শ্যামা কোকিলের মতো
আমিও শুনাতে চাই গান- যত শত-
বুঝো না! গানের গীতিকাব্য ঈশ্বর সৃষ্টি রস
সম্য কথাই হবে কি আর প্রতিহিংসায় বস! অসভ্য ফসলের মাঠ আপন চেতনায় পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৩০ বার দেখা | ৫৯ শব্দ
অপবিত্রতা
অপবিত্রতা হঠাৎ ভোরের আলো বাতাসের
ছুঁয়াতে, অপবিত্রতা মেখে গেলো-
পবিত্রতার উষ্ণপাথর থমকে গেলো!
কর্মচিন্তারা সারাবেলা অন্ধ থাকলো;
সন্ধ্যার শীতল বাতাস নেমে এলো। ছাইমাখা ধূসরগন্ধ যেনো এলোমোলো-
তবুও আপাদমস্তক জুড়ে অনুভূতির
উষ্ণপাথর অপবিত্রতা রয়েই গেলো!
শুধু পবিত্রতা আমার কানঘেষা ডুমুরফুল-
আস্তে আস্তে ঝরে যাচ্ছে সত্যের বকুল। পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩২১ বার দেখা | ৩৫ শব্দ
পদ্ম নয় পলাশ ফুটে
পদ্ম নয় পলাশ ফুটে কি বেদনায় রক্তে ফোটে খই
নয়ন পুড়ানো শান্ত দীঘি কই!
মনদীঘির জলে পদ্ম নয়- পলাশ ফুটে
রাস্তার বুকে কৃষ্ণচূড়া রাঙা টুটে;
কি প্রণয়ের প্রেমযমুনার ঢেউ-
নিত্য বহে নিত্য ক্ষয়ে বুঝে না কেউ! দল ছিড়ানো শকুন ঠোঁটে
তিত্তো কথার বাঁশি ফুকে-
যায় রে মন পাঁজর ভেঙ্গেচূড়ে; যেদিন পাখি উড়াল দিবে
নীল সাদা পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩১৬ বার দেখা | ৫৮ শব্দ
ও গুরু বাঙালির ক্ষয়
ও গুরু বাঙালির ক্ষয় এমনি কপাল পুড়া গুরু -বলো কি হয়
বাঙ্গালি শাড়ি চেতনাতে শুধু-
গ্রিকদেবী কয়;
জাতকুল সবি গেলো আমার,
মূর্তিতে কি আসে যায়-
কে বুঝে- এখানে বাঙালির ক্ষয় । না রাখি মাটিতে পা, না রাখি জলে
কানে কানে যায় রটে-
গ্রিকদেবীর ন্যায়বিচারে নাকি অনিলে বয়!
ভাব মূর্তির বার্তা বহে কথা-
তাতেই কি রাখা পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩০৪ বার দেখা | ৭১ শব্দ
এখান শুধু জোয়ার বয়
এখান শুধু জোয়ার বয় আহা কি রঙের বাহার ! টমেটোর
মতো লাল টকটকে ওখানেই জ্বলছে-
রোজ তাই জোয়ার বয় নদীতে !
কি আনন্দের মেজাজটা বেশ লাগছে। জানা আর অজানাতেই থাকল ঘরে
অতঃপর বাশিফুল গন্ধ শশী পারকিয়া বরে-
রোজ তাই -দাদু ভাই- টিপ দেয় কপালে
ঝিলিকে বিলিকে ছুঁয়ে যায় সুখশান্তির ছলে; নদী তাই ভাঙ্গে- পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৬০ বার দেখা | ৫৩ শব্দ
পূর্বপুরুষের বাণী কথা
পূর্বপুরুষের বাণী কথা ভজন পিঠে কথা আর বাণী
ভাবনার দৃষ্টি পরেছে ছানী
স্বার্থপরতার গায়ে ছলনার-
শুকনো ঈমানির ফুলদানী । শুধু গন্ধ সুবাস নিম্ন কামী
কোরান হাদিস করছে ধামী
কাদছে মন- ভিজছে দেহ-
গত পূর্বপুরুষের পথ গামী! সময়ের হটকথায় রঙ্গমঞ্চ
থাকতে সময় ধর্ম কর্ম মানি!
ডাকছে পূর্বপুরুষের ঐ পথ
এই বুঝি হলো মৃত্যু জানি। পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৫৩ বার দেখা | ৪২ শব্দ
আর কত নোনা জল
আর কত নোনা জল সূর্য রোদের নিঠুর যৌবন খেলায়
নরম দেহে অসহ্য কষ্ট !
নদ নদীর মতো নোনা স্রোত বয়ে যায়
সময় ক্ষণ হচ্ছে কত নষ্ট; আর কত খেলবে তাপদাহ রাঙা রঙিন
ভিতর বাহির করে খানখান –
দিয় না ঈশ্বর, জীবন ঘেষে জল শৃন্য মরণ!
শুধু এই ফেরেস্তার মতো
শিশু রা হয়ে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৬২ বার দেখা | ৭০ শব্দ
অপ্রসঙ্গিক প্রণয়সাঁকো
অপ্রসঙ্গিক প্রণয়সাঁকো জোনাকির মতো লুকোচুরির দৃষ্টি ফাঁকে
কখনো কি বিষণ্নতায় আকাশ দেখো ?
অতঃপর কোন মেঘ কে নিয়ে ভাবো-
সাদা না কালো আর সবুজঘাস ধূলিস্পর্শ ছুঁয়া
স্মৃতির উড়ন্ত ফড়িং এর সাথে মাখো? অপ্রাসঙ্গিক শুধু দুর্বৃত্ত সব প্রশ্ন জ্বালা!
তবুও এখানে প্রণয়ের সমতল সাঁকো-
সত্যিই বর্ণমালার আঁকা ছবিগুলো দেখো?
তাতেই ভাসা মেঘগুলো রঙিন পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩২২ বার দেখা | ৪৯ শব্দ
শুধু মিষ্টি
শুধু মিষ্টি ঠোঁটের অগলা ভুমিতে কেউ কথা বলে
কেউ লাউয়ের ডগা পাতে চেয়ে চেয়ে থাকে;
কেউ রস খায় মিষ্টি- এখানে শুধু তিত্তী !
তিত্তীর আরালে বৃষ্টি- কে গড়ে নতুন সৃষ্টি-
সৃষ্টির বাহুডরে হাজারো দেয় ঝিলকি; কেউ রস খায় মিষ্টি- এখানে শুধু তিত্তী !
কে দেখে আর- সোনাই পোড়া কৃর্তী;
ইতিহাস বলেই কথা পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪০ বার দেখা | ৫৬ শব্দ