আলমগীর সরকার লিটন-এর ব্লগ

আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা “মেঘফুল”, ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।

বন্ধু ঘাসফড়িং
বন্ধু ঘাসফড়িং রঙবিরল সু-গন্ধ আর জলতরঙ্গের মতো
বহমান প্রণয় যেমনটা নদী করে উত্তাল
তেমনটা স্রোতে ভাঙ্গে কত না বালিমাটি –
ভালোবাসার স্বরূপ বন্ধু তুই ঘাসফড়িং! বোঝে না নিঃশ্বাস বিশ্বাসে জনম ভর খাঁটি।
রিনিঝিনি রাতের স্বপ্ন ঘোরে হও কত
প্রণয়ের শাসনরাজ্যে জুড়ে রাজরাণীর মতো!
মধুর চেয়েও খাঁটি স্মৃতির বাউর ভিজা মিষ্টি ! লাল নীল পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩২২ বার দেখা | ৬৭ শব্দ
নিঃঘুম অপরাধ
নিঃঘুম অপরাধ ঐ যমুনার অপরাধ জল
আমাকে ভিজে দিয়ে যায়-
অশ্লীলন ঢেউ আমার পাঁজর
ভাঙ্গে-হৃৎপিণ্ড ডুবায় –
শুধু অপরাধ জলে। মধ্যদুপুর চৈত্রের খরা অপরাধ
আমাকে কুঁরে কুঁরে পোড়ায়
গোধূলির নির্জনে উড়ন্ত ছাই-
নিঃঘুম ব্যাথাগুলো মৃত্যু না চাই
কারণ অপরাধ বলে। দু’চোখের স্বপ্নপুড়া ঘোর অপরাধ
শেষ প্রহরে নৈঃশব্দে আর্তনাদ-
ফিরে পাওয়ার মুক্ত আকাশ
তবুও বিবেকের দ্বার প্রান্তে অপরাধ
নিঃঘুম ঘাসফুল পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৫২ বার দেখা | ৪৫ শব্দ
বিবেক মানে কি?
বিবেক মানে কি ? আজকের বিবেকটা শুধু
মরুভূমি -নর্দমার জলভূমি-
স্বার্থ ছাড়া কথার ফুটে না ফুল
কদমে কদমে করে দুর্নীতি! তবুও আজকে একটা বিবেক
শুধু নির্জনতায় কেঁদে উঠুক
বলুক আমি নিঃস্বার্থপর-
যাহা করেছি -ভুল করেছি । আমার মাঝে এতটুকু নেই
ধু ধু মরুভূমি, নর্দমার জল
আমি বিবেক ছড়াতে চাই
সুগন্ধ সুবাস -কারণ আমার
আছে পোড়া ছাই আর পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৪৭১ বার দেখা | ৪৫ শব্দ
বন্ধুর রঙ
বন্ধুর রঙ দু’চোখের মধ্যলোমে ঘোর পুড়ছে-
দুল দিয়েছে বন্ধুর রঙ!
ভাবনার ফুলদানিতে
গোলাপ কৃষ্ণচূড়ার বিরল হাসি-
আঁকাবাঁকা রাস্তার মোড় বয়ছে
বাতাসে রঙধনুর ছবি। রঙ বিরল হয়ে যাই বোকা,
তবুও ঘোর উল্লাসে তখন
তীরধনুক চোকা চোকা-বুক পকেটের
হাতে শূন্য কায়া-
কখন যে উড়ে এসে জুড়ে বসে
কাঁঠাল পাতার টাকা ! টাকা হয়েছে -ভাতা হয়েছে
কিসের তবে কষ্ট বাঁকা?
বন্ধু দিবসের পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৮৯ বার দেখা | ৫৬ শব্দ
নিজের বিচারক
নিজের বিচারক আমি শুধু রঞ্জিত রঞ্জিত
পোড়া শ্মশানের ছাই অগ্নিশিখা-
আমি মাটির স্তব উড়ন্ত
চোখে মুখে আনন্দ বেদনার ধুলি!
কখনো সাদানীল মেঘ
দুর্বলা ঘাসের দলবাঁধা ফড়িং। আমি সবি দেখি পানির
মতো তীব্র ঢেউ –খানিকটা শীতল-
আমি একবেলা পশুপাখি;
অন্যবেলা ট্রাক কিংবা একা নির্জনে ধর্ষণকারী-
আমার বিচার হোক জনসমুদ্রে
প্রচন্ড মোরা ঝড়ের ধু ধু বালুচরের মধ্যে। আমার বিবেক পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২০৬ বার দেখা | ৬৪ শব্দ
জলচূড়া ধাপ
জলচূড়া ধাপ জলের উপর ভাসে চলে বনহাঁস
আর ভাসে কত না রঙ বেরঙ সাপ
বলো দেখি ভাসি কোন জলে
আত্মারা করে শুধু অভিশাপ । এরকম বর্ণচূড়ার কথা ভাসলে পরে
বলো দেখি ! জল কি আর বাঁধা মানে
জল ছুট -সেতো যমুনার ঢেউ হয়ে-
ভাঙ্গবেই ঘর জানালা এ উঠানে;
যতই বলো অভাবে স্বভাব নষ্ট
সেকি পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৮২ বার দেখা | ৭৭ শব্দ
শুধু উৎসব
শুধু উৎসব প্রচণ্ড ভালোবাসার গন্ধ সুবাসে
এক যুগ উপযুগের ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে।
তার শুভ সূচনার প্রয়াসে
জন্ম শোক উৎসব বার্ষিকী পালন করছে
পূর্ণিমার জোনাক- অমাবস্যার আঁধার
করে শুধু আর্তনাদ। এক বুক স্মৃতিরা কখনো করে চোরাবালি উম্মাদ
দক্ষিণা জানালার দৃষ্টিপাতে শূন্য শঙ্খচিল
সাদানীল উড়ন্ত মেঘ-কখনো শ্রাবণ; ধূসর সবুজ দেহ ঘাসে ফড়িং এর কত কায়া
তবুও ইতিহাস পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৬৯ বার দেখা | ৫২ শব্দ
একেমন গৃধু
একেমন গৃধু কি সংসার দিলা গুরু
ক্রোধহিলাই করে গৃধু!
সাজাই আমি ভাল
ভাঙেগ তারা আরো। ডানে দেখি -বায়ে দেখি
মাটি চন্দন দেহে মনোহিংসে
জ্বালায় যে অনল-
জানি না গুরু-
সেই অনলে পুড়ি দিবানিশি
সংসার সুখের ছল-
শুধুই কি সংসার দিলা গুরু; চক্ষু দিলা -মনও দিলা আর
দিলা জ্ঞান বৃদ্ধি বিবেক!
তবুও তারা সুখ শান্তি মরণ
ভুলে গিয়ে করে ক্রোধহিলাই
গৃধু পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৪৬ বার দেখা | ৫২ শব্দ
বালুঘর
বালুঘর নিদারুণ ভাগ্য গো নিতাইগঞ্জ
ভাবনার চাতলা পিঠে
খেলা করে বাউলের কুঞ্জ!
দুঃখ স্বাদের চলে বৃন্দাবন-
কার আছে এমন সাধ্য মন;
কেবা সঙ্গে থাকল আমার
শূন্য দেখো ধু ধু বালু ঘর। উত্তরে খড়া আর দক্ষিণে জল
প্রজাপতিরা করে না গুঞ্জন –
ঐ যে সবুজ ঘাসের বুক
কে হবে একলা রাতে
জোছনা পুড়া স্বজন; পূর্বতে অনল আর পশ্চিমে
পূন্যফল- পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩১৯ বার দেখা | ৫৯ শব্দ
জলসিঁড়ির গান
জলসিঁড়ির গান বল দেখি- কি বলবো অহংকার
না নিয়মতান্ত্রিকের কষাঘাতে অপিরিচিত?
কিংবা ফুরিয়ে গেছে প্রয়োজন!
তবুও মলিন ভাষা টগবগ করে দৃষ্টি
প্রতিটি বর্ণমালার আয়োজন; কখন জানি বলে বসে- চিনি না- না
প্রণয়ের সমস্ত অস্তিত্ব শৈশবের ভবনা
রাত ভোর জলসিঁড়ির গান শুনি
ফুরিয়ে আসতে চাই নৈঃশব্দে গুটিগুটি
নাককাটা নিঃশ্বাস- তবুও জলসিঁড়ির গান শুনি । পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২০২ বার দেখা | ৪৩ শব্দ
জল সাহস
জল সাহস শুন যমুনা তোর বুকে যৌবনের জোয়ার উঠেছে
এই জোয়ারে যতোই ক্ষতবিক্ষত ভয় দেখাস-
তবুও এতটুকু ভয় করি না – না
তোর জলে ভাসতে জানি! আছে জল সাহস।
শুধু দুঃখ একটাই- জানিস –
তোকে গণতন্ত্রের শাসন ফরমেটে
আনতে পারছি না- না-
এটা আমাদের ব্যর্থতা- তুই তা মনে করিস
হয় তো একদিন নিজেই পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৮০ বার দেখা | ৫৮ শব্দ
জলোস্থান ক্ষত
জলোস্থান ক্ষত তুমি রহস্যময় বলছো ! শুধু কি তাই?
মলিন ক্ষীণ পৃথিবীটা হলো আসা যাওয়ার জলোস্থান !
সমস্ত সুখ দুঃখ হয়ে যায় অম্লান-
তবুও ক্ষণস্থায়ী নিঃশ্বাসে কত ক্রোধরাগ অভিমান। নিজের অনন্যা স্বাদের ভূমিতে কখন ঘটে কিয়ামত-
দেখ অবিরাম ঘটেই চলছে কত-
বিবেকটা রয়ে যাই অবুঝ অন্ধ শত শত!
অতঃপর ভাবনার দ্বারপ্রান্তে দেখেছি
পৃথিবীটা পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৫৪ বার দেখা | ৪৬ শব্দ
কেউ ভুলে না যমুনা
কেউ ভুলে না যমুনা কে জানে না-
তোমার নাম যমুনা
শত রূপ জলে রূপসী
তুমি অনন্যা !
তোমার বুকে কত না
বাদামী আকাশী রঙের চর-
বাঁটির চর –দেলুয়াবাড়ি চর
আর কত নাম না জানা
দুঃখে ভাঙ্গা গড়া ঘর;
তাই তো তোমার নামটি
কেউ ভুলে না। ওগো যমুনা আমার মাঝে
সকাল দুপুর ডুব দিয়ে যাও-
তুলো ঝড় স্মৃতিমাখা
বালু মুছানোর পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৫১ বার দেখা | ৬৭ শব্দ
জলান্ধ ঢেউ
জলান্ধ ঢেউ জন্মান্ধ শিশিরের বিন্দু বিন্দু জলে
যে সাহস দিয়েছো তুমি-
আজ তা বাস্তবতার রুপ নিয়েছে।
যতোই জলাহংকারে ভাঙ্গ
মাটির তুপ আর কুঁড়ে সাজানো ঘর। আবার সাজাবো সুস্থ্য দেহবল
অবাক চোখে দেখবে তুমি !
করুনা করতে চাও -হা -হা -হা
কিছু পলির শস্যমন্ডু ভালবাসা দিয়ে; তাতেও পূর্ণ হবে না-
কারণ যে ক্ষতচিহ্ন দিয়েছো
তোমার জলান্ধ ঢেউ পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৩৫ বার দেখা | ৫০ শব্দ
ঝরা ফুলের গান
ঝরা ফুলের গান কদমগাছের কদম ফুল
আর নদীর জলে পদ্ম ফুল-
নতুন নতুন দেখে দেখে
বেড়ে যায় কষ্ট অতল!
তুলোর গাছের শিমুল ফুল
গন্ধ সুবাস ঝরে বকুল। বকুল ঝরা অমাবস্যার একটা তারা
পূর্ণতা পায় না এ আকাশ ছাড়া!
আকাশের বুক জুড়ে কায়ার ছায়া
কে জুড়ায় স্মৃতির মায়া – শুধু মায়ার জলে উল্টো দুটিচোখ
নতুন নতুন দেখে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৫৯ বার দেখা | ৪৮ শব্দ