আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা “মেঘফুল”, ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।
আমার আমিত্ব : বাংলা লতিফা
কেমন গড়েছো বিধি ! তোমার সৃষ্টি উজ্জ্বল অপার;
সবাই চায় আমিও চাই সেই মানুষ সমাজ আর দেশটাই!
যার বিবেকবোধ চিন্তাচেতনাতে আছে শুধু সু-ফুলেল-
নিজের মধ্যে খোঁজে পাওয়া আবিরাম আমার আমিত্বেই;
কি বোধ চেতনায় ঈশ্বর তরুলতা সূর্য্য চন্দ্র দিয়েছো ?
দেখছি নয়ন
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬০১ বার দেখা
| ৪৭ শব্দ ১টি ছবি
মেঘলা পরী
সেদিনের ঝড় হাওয়া ছিল নদী
খরস্রোতে উত্তাল নোনা মিঠা পানি-
যমুনা এতোদিনে যমুনা বুঝেছো কি ?
সেই ভুলে ভাঙা মনের বাড়ি।
আজও খেয়াঘাট চলে পারা পার
দূরত্ব নীলাময় দেখি ধু ধু বালুচর-
স্মৃতির ডাকন ডাকলে পরে ক্ষতি কি
একটা দিন সৃষ্টি মুখর করেছো কি
ভালোবাসার একটা মেঘলা পরী।
পরীর দেশ মেঘ মেঘলা
বিবর্তনের বেলা
জীবনাকাশে যদি বর্ষার ঘনঘটা শুরুতে হয়
তাহলে তো বড়বাড়ি কুয়ার মতো হবেই-
ফাল্গুন যদি বার মাস কামনার ফুলেল বয়;
রাজপ্রসাদ বিবর্তন মনের মাঝে খেলবেই।
তবুও কি আজ কুয়া নেই, রাজপ্রাসাদও নেই-
বর্ণচোরা ঘরে শুধু কবিতা হয়েছে সতিন;
উঠানের সবুজারণ্য কালগভীরে চিহ্নহীন
আর আমায় করেছে সমকালে মলিন !
অতঃপর স্মৃতির দুঃখ বেদনা
সমগ্র অপেক্ষার উচ্ছাস
সমগ্র আকাশ আপেক্ষা করছে
সাদা মেঘ তার বুকে ছড়াবে বলে-
রঙধনু রঙে ছবি আঁকছে!
তারপর এ মৃত্তিকায় রঙ্গরূপ যেন-
ছুঁয়ে যাবে, শুধু এক ক্ষণিকে;
ঐ যে রঙিন ঘাসফুল দুলছে।
জল অথৈ অথৈ পুকুর মাঝে-
জোয়ার ভাটা খেলছে, হঠাৎ
কখন বনোহাঁস সাঁতার কাটবে;
বাগানের টুকটুকে লাল গোলাপের
গন্ধসুবাস ! পাপড়ির অভয় তলে
লুকে রাখছে-
শূন্য মাঠের দুঃখ কি
এক গাদা স্মৃতির সবুজ পাহাড়
দু’চোখে দেখে লাভ কি !
জলে ভিজা ঝর্ণাধারা আবার দুঃখ কি
বালু ভরা চর সে তো বোঝে-
সুখের তফাদটা কি?
আখের ছোঁয়ায় চিনাবাদাম
সে তো ভালোই হয়- কথায় ছলার উদাম-
এক গাদা কষ্ট সুখের পূর্ণিমা চাঁদ
সে তো নিশি পুড়া জোনাকি-
রাতের গভীরে একাকি।
নৈঃশব্দে রাখালি
তারার গান
আকাশের বুকে একটি তারা
তারা চায় চাঁদের কায়া-
কায়ার ভুবনে পরলো না
আমার এতোটুকু ছায়া;
হায় চাঁদ তোর অপেক্ষার-
বন্ধু হওয়া- পূর্ণিমার রাতে
একটু ঝিলিমিলি নেওয়া।
ভাবে নিস অমাবস্যার তারা
আলো আঁধারে সবি যে মায়া-
আমি যে খসে পরা এক তারা।
বিন্দু বিন্দু শিশির ভিজা ঘাসের
বুকে জল, টলোমল করে সেই
প্রশ্ন উত্তরের ছল- মৃদূ
সংখ্যা লিখতে লজ্জা
যেখানে মৃত্যুর পরিসংখ্যা নেই
সেখানেই ইতিহাসের বোবা কান্না-
কারা বা মজা নিচ্ছে,
কথায় বা মৃত্যুর ঠিকানা!
একটা মৃত্যুর পরিসংখ্যা লিখো-
খুব বেদনা।
সব ভাবনার চক্ষুতে বুঝি
লজ্জা পাও খুব-
মৃত্যুটা যদি নিজের হতো
বলো কথায় মারবে কুব;
বুদ্ধরা স্বর্ণের অক্ষর মুছে দিবে
ইতিহাস খাবে সুব।
নোংরা রাজনৈতিক খপ্পরে
মানবতা সংখ্যাহীন-
মৃত্যুটাও আজ করেছে উদাসীন-
ঠিক শিকারী পাখির
উড়ছে ঘুড়ি
জীবন এক সাদা ঘুড়ির আয়োজন
শূন্যে উড়ে- বাষ্প হাওয়ার মন-
ভাবতে গেলে ভাবে না কেউ
পায়রা রঙে রঙিন করো ক্ষণ;
জীবনটা এক ধূসর মৃত্তিকা ছাউনি-
কে দেয় ছায়া পিপাসার নাই পানি,
রাস্তায় মোড়ে কৃষ্ণচূড়া রাঙা শত ফুল
ধরণির কাছে কি এমন করেছি ভুল;
দেখায় পাপের সড়ক- ভুলেই নরক
জীবনটা তো এমন সহজ