আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা “মেঘফুল”, ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।
জ্যৈষ্ঠ মাসের মন্ত্র
ও ভাই বৈশাখ গেলো- জ্যৈষ্ঠ এলো
ফাল্গুন আর চৈত্র কানা- স্বপ্ন দেখে ফাঁনা ফাঁনা-
লিচু জাম- আম কাঁঠালে আকাশ মেঘে দানা দানা
কত চাটে থালা মাখা দুধে রসে বায়না-
ও ভাই বৈশাখ গেলো- জ্যৈষ্ঠ এলো।
মুকুল ফুটে ধরলো কত নাম না জানা আম
শ্বশুরবাড়ি
কবিতা|
৫ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬৩৩ বার দেখা
| ৮৯ শব্দ ১টি ছবি
চলে ঊনিশ আর বিশ
আমার গাঁয়ে অসংখ্যা কলঙ্ক কয়টা করবো মুক্ত-
কলঙ্ক মুক্তহীন মরতে সানাই বাজে-ধানায় পানায়-
তবুও হবে কি কলঙ্ক মুক্ত কানায় কানায় !
গোলা ভরে আছে তাই,গুটিকয়েক কীটপতঙ্গের বীজ-
অশ্লালিন মিছিলে মিছিলে করে যাবে ঊনিশ আর বিশ !
বিশের ছায়ায় মঙ্গলের কায়ায় দিনের হবে শেষ-
তবুও কার আছে ভাই,সুধীসাধ্য
===================
এমন ভাবনা কেউ ভাবি না-
দাদা দাদী- নানা নানীর কর্ম ভজন
কেউ দেখি না- কেউ বুঝি না;
কেমন করে বাড়ছে বয়স-
যাচ্ছে সময় ধর- পাঁকছে চুল দাড়ি
নুনে পরছে দেহ ঘর।
এমন সত্যকথা কেউ ভাবি না-
দিনকাল চলছে আপন ভেবে পর;
হাতের কাছে মৃত্যুর ডগর-
বুকের সাথে দোলবে টগর
কার গায়ে কখন
এ শুধু মৃত্যুর আলিঙ্গন
রাঙা আকাশ আছে বলেই
বজ্রপাতের সাথে সাথে মৃত্যুর আলিঙ্গন-
জলমাটি আছেই বলেই
ফুল ফল আবার নতুন করে ফুটে আঙ্গিনায়;
এতো রঙিন রঙধনু মেঘ-
নদীর বুকে স্রোতের থৈ থৈ জোয়ার ভাটা
কিন্তু দেহের ভাজে ভাজে-
গন্ধপোড়া ছাই জেনো উড়া লীলাকেত্তন !
ঝড়বৃষ্টি দৃষ্টিবিরল আতঙ্ক-
সীমানার অতীত বেয়ে নিশ্চিত আর্তনাদ।
কবিতার আদার সোহাগ
হেঁটেই চলছে গভীর স্বপ্ন রাত
স্বপ্নরা উত্তর দিকে যায় একবার
আবার দক্ষিণ দিকে-
এভাবে খেলছে দিবারাত;
এখন নীল এখন সবুজ,
প্রকৃতিরা লাল করেছে অম্লান-
মৃত্যুর অন্তিম পথে কবি
সমস্ত কবিতার ভাবনা যেনো কষ্টপুরী।
হঠাৎ কবিতার আর্তনাদ-
কবির দুচোখ স্বর্গময়
নিঃশ্বাস চলছে বায়োস্কোপের মতো
সূর্য শশী নিভু নিভু-
অতঃপর কবি অন্তর্যামী
কবিতার আদার সোহাগে অমরনিশি।
২২-০৪-১৮