আলমগীর সরকার লিটন-এর ব্লগ

আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা “মেঘফুল”, ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।

শুকনো বকুলমালা
শুকনো বকুলমালা আকাশে মেঘ ধূসর কালো
ওরা আছে অনেক ভাল-
ছিন্ন পাতায় শুকনো ঘুড়ি!
স্মৃতির মনে নাই উড়ি- উড়ি! মৃত্তিকার পরশ জুড়ে ঘাসফড়িংর
রঙিন ডানা মেলে যেদিন-
স্বীকৃতির কবির দলে ভারি হবে
আসমান জমিন নোনা জলে মলিন। স্মৃতির মনে নাই কায়া উড়ি- উড়ি-
ছিন্ন পাতায় শুকনো ঘুড়ি
ভিজাবে মেঠোধূলির ঘাস মাটি
প্রণয়ের বকুলমালা এখানে খাঁটি। ১০-০৬-১৭ পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪০ বার দেখা | ৪৩ শব্দ
অটোফেজি প্রয়োজন
অটোফেজি প্রয়োজন বৈসাম্য আর সাম্যবাদী
ফরমানি মৎস্য কাটার মতো-
গলায় করে চুম্ম আদি!
না ফিরা দেশের কথা না ভাবি। চাপাবাজি আর কিলবাজি-
কোন কিছু্তেই ওরা খায় না
বিবেকটা উল্টোবাজি দেয় না;
নয়ন নিক্ষিলে শুধু ধাপ্পাবাজি ! ঠোঁটের অলি গলিতে সাম্যাবাদী!
বাস্তবতার ধরণিতে বৈসাম্যেকাদি-
এসো না নিজেদের প্রয়োজনে
এ সুযোগে বোধ সাজাই অটোফেজি। ক্ষণে ক্ষণে যাচ্ছে ফুরে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২০৭ বার দেখা | ৫০ শব্দ
তে পীচলা ইচ্ছা ডর
// তে পীচলা ইচ্ছা ডর //
=======================
গাবগাছের মতো তেপীচলা হইও না
আস্থা রাখতে হয় শেওলার মতো;
সজিনা গাছের মতো সহজে ভেঙ্গে যাও
বট অথবা ডেফল গাছের মত হও! ধূসর বর্ণ কথা বল না আতড় চন্দন গাছ বাও
বিধার উরস গাছে- মাটি দেখ ঘ্রাণ নাও-
তাহলেই সবুজের প্রশান্তি রঙধনু মেঘ সুরসুর
পাহাড়ী পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৯৩ বার দেখা | ৬১ শব্দ
মরিচিকার ভয়
মরিচিকার ভয়
===================
তালগাছ দেখি দু’চোখের ফুল্কি
যাচ্ছে কোথাও পুড়ে ছাই হয়ে নদী-
উড়া উড়া সুর বাজে আকাশ পান
নিমগাছ সেতো সবুজ ঘ্রাণে দেয় ঘুম-
নেশা ধরেছে ডালিম গাছে চুন দিয়ে খুব; কার পায় নয়তো দাঁড়িয়ে একা তালগাছ
তিরোতা শুনলে মরিচিকা ভয়ে পালায়-
আহা তেঁতুল গাছ বৃন্দাবনের ভূত কয়-;
সেতো আম গাছে দৌড়ায় দেখি পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৯৪ বার দেখা | ৫৩ শব্দ
প্রেমপদ্ম গুমটি ঘর
// প্রেমপদ্ম গুমটি ঘর //
============================
বৃত্ত শাখায় ফুটে না আর প্রেমপদ্ম ফুল
অন্তর্গৃহে অন্ধ চোখে অহমিকা দোলছে দুল-
তবুও গল্প গায় অগ্নি- এপাট ওপাট জলারণ্য
কেনো বা হেসে হেসে দোলছে রোদ্দুর বর্ণ ? শুধু কি একটা ক্ষীণ কবিতার আশায় !
রোজ তো- কত কবিতা ঝরায়-
একি বৃত্তসুখে জলধর- পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৫৪ বার দেখা | ৫২ শব্দ
স্বপ্নের চিরকুট
স্বপ্নের চিরকুট দাবানলের মাঝে স্বপ্নের চিরকুট বার বার পলকিত করছে
উঠান জুড়ে ঝরা বকুল -গন্ধমুখর শালিকেরা ব্যাকুল-
একটা চিরকুট হাতের মুঠোই যেনো বাঁশিপাতার অঙ্গুর; নৈঃশব্দের আর্তনাদ যেনো দোঁলনচাপা ফুলও বাগান
এক ভাবনার রবি সুবাসীত ঘ্রাণ ছড়াতে চায় শশী
যদিও পলকিত পরবে না তবুও স্বপ্ন চিরকুট রাতের মুঠোই। যেনো পূর্বের স্মৃতির পানেরবিরা পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২০ বার দেখা | ৬৩ শব্দ
রাত্রির বনমল্লিকা
রাত্রির বনমল্লিকা সবই দেখছি ভাসছে শুধু রাত্রির বুনোহাস
কোন নদীর জলে করে যদি কে কার বসবাস-
বালুচর বাতিঘর শূন্যের উপর নরভর!
রাত্রি ফুরালো এদেখো সোনালী ভোর ! কতো আয়োজন কতো সম্ভাষণ-
পাচ্ছো কবি বাবু ! ওরা ভাবছে না রাত্রির ভজন-
দিবারাত হচ্ছে অঙ্গবঙ্গ নোনাটে কাবু
তাও হচ্ছে না দূর বুনোহাসের ভয়ের খাটু; অতঃপর পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৪৩ বার দেখা | ৫৫ শব্দ
আশীর্বাদ জল
আশীর্বাদ জল এ জল -সে জল আহা মন্দ কিসের
সত্যিই সময়গুলো এভাবে ফুরায়
দেখো সকাল কিংবা দুপুর রাত্রি!
হঠাৎ একদিন হয়ে যাবে প্রিয় মুখের-
সুবাসিত চন্দ্রবাতি -সুবাসিত চন্দ্রবাতি। ভাল লাগা হয় জন্ম মৃত্যুর ফলাফল
সেই সু-অপেক্ষায় চলছে জীবন সংসার
তবুও আশীর্বাদ রয়ে যায় জন্মদিনের-
দুলছে ফুল -হাসছে চাঁদ শস্য শ্যামল
কমতি কি আমার পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৭১ বার দেখা | ৫১ শব্দ
কাঁঠাল পাঁকার গন্ধ পাই
কাঁঠাল পাঁকার গন্ধ পাই বক্ষ ভেধে এযে ধু ধু বালুচর
যত সব কানামাছির করে ভন ভন-
কাঁঠাল পাঁকার নাই কোন গন্ধ
তবু ঠোঁট রসের মধ্যে গধগধ শনশন। অভাবটা যমুনা ঠিকি বুঝে নির্জন
তাই তো আঁকে বেঁকে উচু নিচু
জাগায় চরের সমিপণ, নিঃশব্দের মৌনতা
যমুনা ভাঙ্গে অযৌক্তিক যখন তখন- মৌলিক কিছু জ্ঞান নিরবিচ্ছিন্ন প্রণয়ের
স্রোত পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৯২ বার দেখা | ৬০ শব্দ
বিবর্ণ পুণ্যবতী
বিবর্ণ পুণ্যবতী মিষ্টি ঠোঁটের আড়ালে- আগুনের পরশমণি
নব্য দেহের ভাজে ভাজে- অহমিকার ধরণী !
শব্দমালার সুবাস ছড়ে শীতল পাড়ার মাটি-
খাঁটি হলো তার পুণ্যদ সুখের ধূসর বিবর্ণ পাটি; চক্ষু দেখিলো না- ধমনী বুঝিলো না কি আরতি !
সকল মাটিরদর জোনাকির জ্বালানির মুখবাতি
এতো দেহ- এতো অহমিকা সবই পাপ পুণ্যবতী-
আহা বালুচর ধু পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৫৬ বার দেখা | ৪৯ শব্দ
আর কত নোনা জল
আর কত নোনা জল সূর্য রোদের নিঠুর যৌবন খেলায়
নরম দেহে অসহ্য কষ্ট !
নদ নদীর মতো নোনা স্রোত বয়ে যায়
সময় ক্ষণ হচ্ছে কত নষ্ট; আর কত খেলবে তাপদাহ রাঙা রঙিন
ভিতর বাহির করে খানখান –
দিয় না ঈশ্বর, জীবন ঘেষে জল শূন্য মরণ!
শুধু এই ফেরেস্তার মতো
শিশু রা হয়ে যাচ্ছে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৪৪ বার দেখা | ৬৯ শব্দ
হৈ হল্লার বান
কি বাহনে চলছে দেহ- বুঝে না অন্তমহ
আমি দেখি -আমি বুঝি ! কেউ তা দেখে না –
বুঝে না -আফসোস শুধু স্পর্শকাতর ছুঁই না-
কেনো না আপনাগতিতে নদী আর নদী;
ভাব তরঙ্গে বয়ে যায় কত না রঙ ছবি। তবুও তারা সত্যিকারে নদী হয়েছে সংসারে
সংসেজে ভাঙ্গছে কত কুল কিনারে পড়ুন
কবিতা, সঙ্গীত | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৯২ বার দেখা | ৬৪ শব্দ
অনুভূতির অঙ্কুর ফুটবে
অনুভূতির অঙ্কুর ফুটবে আজও ঐখানে অনুভূতিরা বড় ভিখারি
যদিও কোন রাস্তার মোড়ে, মোড়ে নয়-
ভিক্ষা চাইলোও এক বিন্দু শিশির ভিজা
কচুরপাতাও পাওয়া যায় না ! কারণ সাধন ভজন যে ব্যার্থের সন্ন্যাসী রূপ!
তবে আনন্দ উচ্ছ্বাসের সীমানা প্রস্তর-
চাইলেই সাত মাথা কিংবা বিজয়স্মরণীর মোড়ে
থালা পাতা যায় -তাই না ! দক্ষিণা জানালার পাশে কত পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৬২ বার দেখা | ৬৪ শব্দ
নগরপ্রমুখকন্যা
নগরপ্রমুখকন্যা শুধু ক্রমবর্ধমান অসুস্থ এই চরানগরীক।
উম্মাদ নগরপ্রমুখগণের প্রলাপ সমৃদ্ধ নোংরা আইনে কয়েক ঘন্টা কারাদণ্ডিত করলো-
সমস্ত ক্ষণ যেনো আস্তাকুঁড়ের মতো মনে হলো!
সাহচর্যে ক্রমেই অনুভুতিহীন,নির্দয় নৃশংস অদৃশ্য রুঢ় শেকল পারা অপার্থিবের ধ্বনি
শ্বাসরুদ্ধকর নির্ঘুম রাত পোহালো । প্রমুখগণের কাছে নিংড়ানো ওই নগরের সামান্যতম অনুভুতির অঙ্কুর ফুটলো !
খুঁজে পাই নিরবচ্ছিন্ন পড়ুন
কবিতা | ৫ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৯ বার দেখা | ৭৯ শব্দ
ঊর্মি ছুঁয়ে মিথ্যা
ঊর্মি ছুঁয়ে মিথ্যা সোনালী স্বপ্ন দেখি, শস্যক্ষেত দেখি- নদী ভরা পানি দেখি-
আকাশের সাদা সবুজ নীল মেঘ দেখি -পৃথিবীর রুপ দেখি,
চরের ধু ধু বালির ধোয়া দেখি, চোখ মুখ ঠোঁট সব দেখি- দেখি না শস্যক্ষেতের মিথ্যা পোকা, দেখি না নদীর জলে মৃদূ ময়লা
দেখি না আকাশের বজ্রপাত, দেখি পড়ুন
কবিতা | ৮ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩১৭ বার দেখা | ১০৯ শব্দ