আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা “মেঘফুল”, ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।
উড়ছে ঘাসফড়িং
কর্মের নিঃশ্বাস শুধু বাতাসেই যায় উড়ে
দেখো না ব্যস্ততার দেহ মাটিতেই খুড়ে-
সময়ের গতি চলছে কে পর কে আপন
নেই শুধু প্রেমও বৃন্দাবন এই তো জীবন;
ভাঙ্গাগড়া বন্ধনে জলপাতার শব্দ আওয়াজ
স্মৃতির পাঞ্জা নড়ে- কার মনে কে বা দাঁড়ায়
বাস্তবতার সামনে- তবুও এক ঘেয়েমি রঙধনু
মেঘ ভেসে যাচ্ছে- শুধু ধরা
এ কেমন সহবাস
মাটির গায়ে পূবালী বাতাস বয়েই চলছে;
আপন চলচিত্ত রূপে কিংবা বিষাক্ত গুণে
তবুও সাদা পায়রাদের আর্তনাদ মিশে না
মুক্ত হাওয়ার স্বাদ শুধু গা শিংরে উঠে-
শিংরে উঠে আপনারে আপন কে বা চিনে;
চিনা দেহে হায়না রূপে কতবার সহবাস
এ জনসমুদ্র কাঁদছে শ্মাশনপুরে বার বার
বেঁধেছে জমাট বাঁধা
ক্রোধবংশধর
ধরণীর বুকে আমরা সবাই কবি
তাই কোন কবিতাই পাঠ করি না-
আমরা সবাই এক রঙিন গল্পকার
তাই গল্প খুঁজি- সোনালী বিছানা!
আমরা সবাই এখন ভাবস্বপ্ন ক্ষর-
বুঝি না এক কবিতার প্রসববেদনা;
রঙের পুতুল দেখে ভাবালিঙ্গ উড়ায়-
তবে শ্লোগানে মুখর আমরাই শ্রেষ্ঠ কবি।
শুধু ক্রোধবংশের উলঙ্গ সবিতার সৃষ্টি
যেখানে মানবতারএ আঁকে না কোন ছবি!
এ
সময়ের খেলা
সময়ের এপাট ওপাট বড়ই নিঠুর-
তবে জলতরঙ্গের মতো ভাঙ্গে না
বিবর্তন করে শুধু প্রত্যাবর্তন;
এতো সময় -এতো সময়-
কত পথঘাট ঘাসফড়িং
রঙিন প্রজাপতির ছিল মন-
মাঝ পথে হারিয়ে যাওয়া সময়
আজ শুধু হলো প্রণয়ে আপন।
________
২৬-০৬-১৮
অভিসন্ধি
আহা গায়ে পিঠে কি হচ্ছে -কি হচ্ছে না
উষর ভূমি ভাবতে গেলে উহ শব্দমালা
ঐখানে শুধু যেনো মারবেল খেলার যন্ত্রনা-
তবু কত বার খেলোয়াড় ছুঁটছে মন্দ না;
আহা যমুনার থৈ থৈ গলা ভরা সুখের মাঠ
কে দেখে নদী, অভিসন্ধির বুকে মারমার কাট-
সন্ধি হলো না বন্ধ
কবিতা|
৭ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৬৩ বার দেখা
| ৫২ শব্দ ১টি ছবি
শুধু নিষ্ফল রৌশনী
একদিন ধর্মের অগাছা হয় তো, সবুজ ঘাস হবে!
নয় তো নর্দমার জল- তাতে কার কি?
ধর্মের কল বাতাসে উড়ে, সেই না উড়া সু-গন্ধী হবো;
কেমন করে? রক্ত মাটি কি আর বুঝে-
অমাটির তরে কীটপতঙ্গ অনলে পুড়ে- সে কি জানে?
জানে অন্তর কাঁদে
কবিতা|
৯ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪১৩ বার দেখা
| ৫৩ শব্দ ১টি ছবি
সাদা সিগন্যাল
আমার চলে যাওয়া একটা সিগন্যাল
পারে না বুঝতে কেউ শুধু মেঠোপথ
নিজের মধ্যে লালবাতির আলোড়ণ-
মুখশ্রী হয়ে উঠে চারপাশ করে উম্মাদ
আর সারি বদ্ধ বুনোহাঁস জলও প্রবাদ
পাতাদেরো দৃষ্টিনন্দন বয়ে চলা বাতাস;
রঙ্গকথার ফাঁক কত বার ভিজে যাক
গা জুড়ে তারপর- তুমি কি বুঝতে পার?
সাদা চকচক
পিতার পুস্পিত মন
বাবার অন্তরায় পিতার স্বাদ
না জানা হয় তার খাদ মর্ম-
পুরুষত্ব গম্ভ চরচোরা শ্মশান!
এর চেয়ে কম নয় প্রভু অনুপম;
পিতায় আনে বংশজাতের ধর্ম-
কর্ম কামে ক্ষয়ে যায় জীবনমোম
ধন্য আমার পিতার পুস্পিত রক্ত-
পিত্ত রসে জন্মানোর পুম্পিত শক্ত।
১৮-০৬-১৭
শুধু রঙধনু মলিন
এপাশ ওপাশ স্বপ্ন আমার শুধু তালগাছ
বাস্তবতা তোমার তুলসী পাতার নাচ !
ঘুমায় ফুটপাত কিংবা কলাগাছের নিচে-
তুমি শুধু রাজপ্রাসাদে নাক ডাক বাজ বাজ।
ক্ষুর্ধাত মনে উচ্চবিলাসীর খাদ্যতালিকার ছবি
বিনম্রশ্রদ্ধার আজাদের আর্তনাদে কিআর আঁকি-
মানচিত্র আমার রঙে রঙে বহু রূপে রঙিন
তাই আর স্বপ্ন দেখি না না ক্ষুধা আর
শুধু অঙ্গার
রাতের ছায়া স্বপ্ন ঘিরে ফুটেছে একটা ফুল
গন্ধ মধুর শুধু ভর করেছে দেহের উপর-
কিছু কায়ার মায়া এনা সকাল বিকাল করে বিধুর
ঐখানে প্রণয়ে ভরপুর কিছু কীটপতঙ্গ বাসর;
ভাঙ্গা দর্পণে সবগুলো প্রজাপতি উড়াউড়ি-
ঐ দেখে না কোচা ভরা সারা বেলা অহংকার
তবুও কত ফুল ঝরে যায় মায়াবী
দৌড়
বুনোবিড়ালের জ্ঞান আর বিবেক এক দাবানলের মাঠ
জীবন আর বাস্তবতা এক স্বার্থপরের আচল উড়া মেঘ;
বৃষ্টি অনাবৃষ্টি অন্ধকারে অনাসৃষ্টির এক মুর্খ পুষা মেষ-
গোলাপ কিংবা কৃষ্ণচূড়া ঝরে পরার এক অবুঝ দৃষ্টি
কি পেলাম শুধু স্বার্থপরতার নির্দয় নীলয় ক্ষীণ পাটি!
এ কেমন বিচারণ বুনোবিড়াল মুখি জ্ঞান বিবেক অর্থের অনর্থ
সু-নামের মানবতা-