আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা “মেঘফুল”, ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।
লিটন ষ্টাইল
বল দেখি ! কারনা ভাল লাগে, অনুকরণ অনুসরণ-
যদি থাকে গায়ে পিটে ষ্টাইলের মতো ষ্টাইল;
কে কার কথা শুনে মধ্যরাতে ধরেছে তাই না
আলফী ও আকুক দুষ্টুমির বায়না- বাবারো ষ্টাইল;
বলছে তারা! কে কি ভাবলো কিছু যায় আসে না?
নামটি দিলো ‘লিটন ষ্টাইল’ আনন্দেই আত্মহারা –
রাতের রক্তচুসা হাসে
সোনাই মুড়া গল্প
চুড়াকোঁটায়
আজ ত্রিশটি বছর পেড়িয়ে গেলো-
অনেক সোনালী রূপালী
ফুল ফল পাতা ঝরে গেলো;
সাম্পানের ঢেউয়ে-
আরও কিছু গল্প জমাট বেঁধে আছে।
মেঘপাল্লার জলের উপর
অদূরে শুধু শলুকপুড়া কাশবন-
ঝিলিক মারা সন্ধ্যার জলতরঙ্গ
মাঝে মাঝে ভীষণ বজ্রপাতে
জলগরা প্লাবন হয়!
হাতছানি সরিষা হলুদ মাঠে-
ডাক দিয়ে যায়
শুধু আমার
সীমানার বাঁকে অশ্রু মেঘ
মেঘের গায়ে চাঁদটা শুধু আমার নয়-
ভোরের সূর্য ছুঁয়া উষ্ণতা শুধু তোমার!
এক নিশ্বাসে কচুরিপানার ঘাম ঝরে যায়-
সাদা আকাশ পারে ক্লান্তির নীলিমায়;
প্রতিধ্বনির বিশুদ্ধ বাতাসে
জুড়ায় না সোনালী দিন-
বেদনায় সিক্ত হয়ে যায় রঙে মলিন
হেঁটে চলা ধুলির নিশ্বাস- ভেঙ্গে যাওয়া
বাঁশপাতার বিশ্বাস- জমে থাকে বরফেই
শিলাবৃষ্টি কিংবা
জ্বালাময়ী হলুদ
কি ভাগ্য বলো ! রঙের খেলা নিত্যই হয়-
জলের রঙ তো আর হলুদ নয় –নয় -নয়
আকাশ বলে সবটুকু আমার – আমার-
গোধূলির সূর্য আহা ! না – না – আর্তনাদ
জোনাকির সন্ধ্যা সুরেলা কণ্ঠ ব্যাকুল করা সুর-
ছবির ছায়া পরেছে বালুচর জল ছলছল আঁধার
কিন্তু
কবিতা|
১০ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৮৩ বার দেখা
| ৬৪ শব্দ ১টি ছবি
// মান ভাঙ্গার গান //
====================
তোরা গেয়ে যাবি যা
এক কাঁঠাল চুরির গান-
আমজনতা হারিয়ে যাবি যা –
শুধু নদে ডেকে বান।
ঐ আঁকাবাঁকা পথের মাঠে
খেলিস কত কাঁটা হলির খেলা-
মানিস না তো শাসন বারন
করিস হাজার ভুলের বৃন্দাবন;
সারিবন্ধ দুর্বল ঘাসের মাটি
গাঁয়ের পানে দেখে যাবি যা না
একঝাঁক
শুধু প্রেমময়
তোমরা চিনো কি- প্রেমও পাড়া
সেখানে তারা জোনাকির হয় মেলা
সেই না প্রেমও পাড়ায় বান্ধিছে মন-
আমার বান্ধিছে মন।
ফুটে শিমুল ঝরেছে কলঙ্ক মুকুল-
কষ্ট রোদে আসে না ঘাসফড়িং ঘরে-
অবুঝ প্রাণি দোষ রাখ কোন বিবেকে-
আসতেই হবে প্রেমও মাটির বুকে;
ধানশালিকের গাঁয় অমাবস্যায়
তুচ্ছ ফুলে ভয় রাখ বিধার প্রেমে
এই রঙের দুনিয়া
মৃদুমন্দ দৃশ্য
কখনো দক্ষিণা জানালায়- কখনো পূর্ণিমায়
বানভাসি ভাবনাগুলো চিৎকার করে বলে
উঠে- আবার যদি স্কুলে যেতে পারতাম-
নিজেকে নতুন রূপে বিদ্যাপাঠে সাজতাম !
আফসোস শুধু এ কেমন বাস্তবতার মুখোমুখি স্বজন-
যত সব ভুল গলা ভরা সাগর ঢেউ এখন;
কষ্টতাপে পুড়ছে সকাল- নোনাটে যাচ্ছে বিকাল
এরি মাঝে বাঁধতে রাজি কলাপাতার ঘর-
তালপাতারা বাদ্য