আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা “মেঘফুল”, ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।
জলের উপর মাটি নেই
মাটিতেই নাকি নোনা জল!
কিন্তু দক্ষিণায় গড়ে তা বুঝার ছিল ভুল,
তবুও তো মাটির পুতুল;
তাই অবুঝ কৃষ্ণচূড়া খুব আকুতি করেছিল;
তারপরও ঝরে গেলো !
কিন্তু পুতুল আর বুঝলো কই ছেড়েই দিল
বৃষ্টির ঝন ঝনানির ভাষা-
এদেকে চিরজন্মের তছরূপ হয়েই গেলো-
ঐ নীল সাদা সাদা
কবিতা|
১২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৪৫ বার দেখা
| ৬৪ শব্দ ১টি ছবি
ঝড়ের বেগ
সেখানে রেখে এসেছি- দিন
রাতের একমুঠো ধূলিমাখা ঘাসের স্পর্শ !
দুরন্ত সোনালী রৌদ্রোজ্জ্বল মেঘ-
আর জলকাঁদার ঢেউ- অথচ আজ শুধু
চৈত্র মাস কিংবা বর্ষা, শীতের
উষসী ঊর্মীর কম্পন; তবুও মাটির বুকে
মাঝে মাঝে শিহরণ জেগে উঠে-
ঠিক যে নো প্রভাতী ফুল ফুটার মতো !
কিন্তু কি বা
কবিতা|
১৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩২২ বার দেখা
| ৬৬ শব্দ ১টি ছবি
ঋতুর অপেক্ষা
ঐ গায়ে সব ঋতুর ফুল ফুটেছিল-
মৌ মৌ গন্ধে যে নো চারপাশ নবান্ন !
কিন্তু এ গায়ে কিছু না শুধু দাবানল
জ্বলছিল ! যখন যে হেমন্ত ছুঁয়েছিল-
ঠিক তখন ঝরে গেলো কৃষ্ণচূড়া; আর
বসন্ত সেতো ক্ষণ জন্মের লাশ হলো ।
এখনো খুঁজি রোদ বৃষ্টি
কবিতা|
১৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫২৩ বার দেখা
| ৬৮ শব্দ ১টি ছবি
শুধু রঙিন কালির সবিতা
পদ্য আর গদ্য পাঠে লাল সবুজের
হলো কি ছন্দ থাকে মনের মাঝে !
গন্ধ কোথায় বা খুঁজি- যদি না পাই
রাঙা মনের গন্ধ পাওয়ার অনুভূতি-
তাতেই হলো এ ছন্দ রূপে রূপসী;
চক চক করলেই বুঝি হয় রে সোনা
আসল স্বর্ণ চিনে কয়জনা! শুধু
কবিতা|
১২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৩০ বার দেখা
| ৫৫ শব্দ ১টি ছবি
মেঘ গুড়গুড় রক্তবান
রক্তজল দেখলাম ঐ নাফ নদীর !
জেগে উঠলো শুধু বুকের বালুচর-
দেখে দেখে অভ্যস্ত হইলাম;
এক রক্তচুষা নেশার মতো।
মনগভীরে আরও দেখলাম ২০০৯,
চৌদ্দ, পনরতে কত কুল শূন্য হলো-
ভেসে গেলো অচিনপুর –
হয় তো আবার দেখতে হবে-
দেখতে হবে;
ধুসর মাটির কাঁন্না মেঘ ভাঙ্গা উড়ল-
কিংবা
কবিতা|
১২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২১০ বার দেখা
| ৭২ শব্দ ১টি ছবি
আরও একটু ভাবো
ঐখানে কেঁপে উঠে বিধাতা কিন্তু কেঁপে উঠে না মানুষ!
ফুলে ফলে শস্যে বিধাতার অথচ মানুষ নর্দমায়-
এই চলা কি ভাল বলো ভাবছো বিধাতার তো মৃত্য নেই
তারপর সত্যই ঘটে মানুষের নিধন চিরনিত্যেই
রাস্তায় কিংবা নদীজলে সময় গড়ালে দেখতে পাও?
কি অদ্ভুত পাখির গান শুনো আর ধোঁয়া উড়াও-
মনখেয়ালে
সতিনের সংসার
আমৃত্যু স্বাদের ফাঁকে ফাঁকে
তোকে দেখার বড় ইচ্ছে ছিল !
কত জল্পনাকল্পনার গান গেয়েছিলাম-
অবশেষে অম্লান হয়ে গেলো।
তোকে আর দেখা হলো না -যমুনা!
বৃদ্ধ জলস্রোত স্পর্শ কাতর বয়ে গেলো;
কারণ তোর সতিন বড় নির্দয় -পাষান-
সময়টুকু বালুচরের মতো চোরাজল হলো
তুই ভাবলি না এতটুকু ক্ষণ, চন, গন
আর কি পাবি ফিরে