আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা “মেঘফুল”, ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।
কৃষ্ণচূড়া ভোর
একটা রঙবিরল ঘাসফড়িং এর নিত্যদিনের কথা
হোক না -আঁধার রাতে জোনাক জ্বালা আসা যাওয়া –
আলোকিত পথের মাঝে মধুসিক্ত যতসব ভাবনা;
শুধু আগামীর প্রণয় হাওয়া উড়বে না কালোকেশী
সোনালী ভোর বৃষ্টিস্নোত একমুঠো হাতে- ঝরে যায়
কৃষ্ণচূড়াতে- তবুও হতে চাই এক কবিতার শঙ্খচিল-
জানি না কতটুকু অাস্থা
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৯২ বার দেখা
| ৫৭ শব্দ ১টি ছবি
ভালবাসার অবসান
ভালবাসা কখনো কোন আলপিনে বাঁশ ছিদ্র
করার মতো-মৃত্তিকার পরশে বুক ছিদ্র করে না-
গভীর থেকে আরও গভীরে মহাসমুদ্রে
এক অনুভূতির প্রয়াস মাত্র; যেনো শালিক, গাংচিলের
মতো- উড় উড় জেগে থাকার শৃঙ্খচিলের
এক মমতাময় ডানার জলতরঙ্গ ভাসমান;
ভালবাসার মগডালে সবুজ মিশ্রণে দুটি
পাতার একাকার নয় শুধু বিশ্বাসে উপলব্ধি করতে হয়
নীল
কিছু বর্ণের কায়
সুখের ভেলা দেখতে তোমরা পাবে না-
জলের তরে বালুচর- সুগন্ধ হবে কৃত্রিম পর-
এতো ভেলা- এতো জ্বালা- তবুও বুঝবে না।
কতকিছু হারিয়ে যাওয়া পিছন ফিরা ভাববে না
ঘাস ফুল কমলি ফুলের দোল দেখতে পাবে না-
অস্থির এই বেঁচে থাকার কোন মানেই হয় নাই-
শুধু
কবিতা|
৭ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩২৩ বার দেখা
| ৬৩ শব্দ ১টি ছবি
মেঘলা পরী
সেদিনের ঝড় হাওয়া ছিল নদী
খরস্রোতে উত্তাল নোনা মিঠা পানি-
যমুনা এতোদিনে যমুনা বুঝেছো কি ?
সেই ভুলে ভাঙা মনের বাড়ি।
আজও খেয়াঘাট চলে পারা পার
দূরত্ব নীলাময় দেখি ধু ধু বালুচর-
স্মৃতির ডাকন ডাকলে পরে ক্ষতি কি
একটা দিন সৃষ্টি মুখর করেছো কি
ভালোবাসার একটা মেঘলা পরী।
পরীর দেশ মেঘ মেঘলা
যুগের শ্লোগান ভরে থাক টবে
এই যুগের হাওয়া বড় হাওয়া- ভিজেছে অন্তর,
বার মাসের তের হাওয়া-বুক পিঠে লাগবে কখন!
তাল বেতাল ঘুরছে তাই- শূন্যেতেই চলে যাওয়া;
এই যুগের মায়া কতটুকু কায়া-সবই যন্ত্রনা সুধায়
দিবানিশি আঁধার যাত্রী, কি করে শান্তিতে বলো
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২২৭ বার দেখা
| ৬৭ শব্দ ১টি ছবি
লংকার ঝাঁপ
প্রতিবাদীর আয়নাছিল বেশ
সে সময়ে রক্তমাংস চিন্তো-
ব্যাঙ, কাকের ডাক হতো-
কিন্তু খুন সেতো আকাশ
ভাঙ্গার মতো- আর এখন
প্রতিবাদীরা হয়েছে শিকারী
পাখি কিংবা ড্রাছবিনের মল;
ভীষণ এ সময়ের ইচ্ছা ডানায়
করছে শুধু অচিন্তে কুপো কাপ;
প্রতিবাদী কি কাচের মতো
ভেঙ্গে যাবে! ওরে বাপ রে বাপ-
তবুও প্রতিবাদী থেকেই যাবে
ঝংকার
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৫৪ বার দেখা
| ৪৩ শব্দ ১টি ছবি