আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা “মেঘফুল”, ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।
ঘুমাও
একটা জাগায় শুধু মাথাগুজে
ঘুম পেরেছি আর দুর্বাঘাস কয়-
জেগে উঠো- দেখো- তোমার
ধূসর গন্ধ ঘ্রাণের পাঁপড়ি কেমন
করছে! ভাবতে পারো;
কথায় মাথা গুজেছিলে
কি তোমার দীর্ঘশ্বাস ? জেগে উঠো-
কাছে যাও- সুচেতনার উপলদ্ধি ঘটাও-
তারপর চলে এসো দক্ষিণা পথ দিয়ে
ঐ দুর্বাদের সাথে দোল দোল খেলতে;
এখনোও ঘুমাও
কবিতা|
৭ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৫৭ বার দেখা
| ৫০ শব্দ ১টি ছবি
শুনব গল্প
ওরা এখনও সিংহভাগ,
যে কোন ইচ্ছে ডানায় আকাশ ভাঙ্গবে-
প্রত্ত্বত নদীর জলতরঙ্গের উর্মীমালাও;
তবুও রক্ষা হবে না-
মৃত্যুর এক ঝাক ধ্বংসের দ্বার উজ্জ্বল পর্বতশিখা।
কেন ওরা ভণ্ডের লোভনাশি-
বিনম্র স্বাধীনতা কেও হার মেনেছে;
ওরা নিজেকে ভাবে সৃষ্টির প্রত্যাবর্তক!
আর বিদ্বেষী চিড়ল পাতার সংগোপনকার;
দেখো! এবার, আকাশ থেকে
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২২০ বার দেখা
| ৫৬ শব্দ ১টি ছবি
অনিয়মে চলতে ভয়
বাগানে যদি আবার একটা ফুল
ফুটতে দেখো- তাহলে যে আরেকটা
ফুল ঝরে যাবে- সাময়িক একসঙ্গে
দু’য়ের গন্ধ ছড়ে না -না ;
কি নিদারুণ এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
ভেবেছো কি কখন এই বাউলীপনার
উত্তর- তখন তুমিও ঝরে যেতে পারো-
এটাও প্রচলিত নিয়ম -বুঝলে কিছু!
যে ফুলের ঘ্রাণ পাচ্ছো -তাই নিয়ে
শুধু ভালবাসা
আজ শুধু ফাল্গুনের
আগুনে ভালবাসও-
কাল না হয় না বাসও
কত ভালবাসে বলো
জানি একদিন ফুরিয়ে যাবে
আবার ফাল্গুন এলে
দুর্বাঘাসের রঙবিরলে
একটু ভালবাসও:
দৃষ্টি তো পায় না দেখা
শুধু অনুভূতির ম্পর্শ ছুঁয়া
এই বুঝি ভালবাসা
খুব গভীরে আলপনা
জোছনাতে আলিঙ্গন
এই বুঝি লজ্জাবতী
মুখ ফোড়ন- শুধু ভালবাসা।
০১ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৪ ফেব্রু’১৯
————————————
কবিতা|
১০ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৬৪ বার দেখা
| ৪০ শব্দ ১টি ছবি
ওরে সাধুবালা
নদী দেখিলাম -জলও দেখিলাম
দেখিলাম না ঢেউয়ে তুলা ঋজু!
চর পরছে নদীর বুকে
অজানা চর- কেউ বলে চোরাবালি
কেউ বলে ধোঁয়াশালী;
স্বপ্নে পুড়া ঘোর।
বলি যে শুধু মাটির গায়ে ঋতু
মাঠে ময়দানে দেখিলাম না ঋদ্ধ-
সেতো সাধুবালা-
রঙের খেলা -গান গেয়ে যায়
পাখির পালা-
শুনতে কেউ করে না
ফাল্গুন ঘুড়ি
ঘোড়ায় চরে- রাঙা ঘুড়ি উড়াব
আর আলোর তাপে তুষ্ণা দিবে
আইলপাথারে দৌড়াব শুধু দৌড়াব;
ও সূর্য মামা– ও সূর্য মামা-
কথায় তোমার ফাল্গুন মেঘের আড়ি
গলাই পারাব রাঙা ফুলের দড়ি;
ও সূর্য মামা– ও সূর্য মামা-
আর সহ না নদীর ঢেউয়ে কারাকারি
তরী চলে কোন
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৩২ বার দেখা
| ৭০ শব্দ ১টি ছবি
নৈতিকতার অমরত্ব লাভ
অমরত্বের জন্য নৈতিকতা মারা গেছে !
জীবিত নৈতিকতা ক্রীতদাস হয়েছে;
সুবাসটুকু ঘোর ফের করে যেখানে সেখানে-
স্মৃতি বিস্মৃতি ভুলে গেছে সব।
দুই একটা পাখির কেচামেচিতে
নৈতিকতার কিছু আসে যায় না বরং
প্রতিহিংসার ফুলেল-যেমন নর্দমার গন্ধ উড়ল
তবে কি আমরা মৃত্যুকে ভয় পাচ্ছি না
কবিতা|
১০ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৮৪ বার দেখা
| ৬২ শব্দ ১টি ছবি
একদিন পবিত্র হবো
বহমান জীবন নদী থমকে গেছে
আলোক চিত্রে ঝলক মারে-
তবু যুগের হাওয়া বিবর্তন সরে গেছে
ইতিহাসে শুধু নাম লিখতে চায়
বালুচরের পাতায় পাতায় লেখে যাক;
একদিন ধুয়ে মুছে পবিত্রতা হবে;
কিন্তু ইতি কথার মিছিল হবে ভিন্ন-
নর্দমায় মিশে যাবে গন্ধ ভরা চিহ্ন;
নীরব কথা হবে কি
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৫১ বার দেখা
| ৬৯ শব্দ ১টি ছবি