আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা “মেঘফুল”, ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।
========================
সাদা কাগজের পাতা আর
অসীম কলমের কালি বিবর্তন নেই-
শুধু চলছে সীমাহীন রোদ্রুর!
অথচ আমার সোনালি দিন
কিংবা আঙ্গুলের ছুঁয়া থমকে দাঁড়
কারণ অক্সিজেন ফুরাই;
মাঝে মাঝে কলম কাগজে
লিখতে চায় অথচ পারি না আর
কাগজের পাতা উড়ে গেছে- মিশে গেছে
নীলিমায়- তবুও দৃষ্টির পরশে
ভিজায় বিকাল কিংবা পূর্ণিমার ঝাঁঝাল
মনপুড়া ঘাট।
১১ আষাঢ় ১৪২৬, ২৫
কবিতা|
১৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৬৬ বার দেখা
| ৪৬ শব্দ ১টি ছবি
==================
কবিতা কখনো চিরসুবজ-
কখনো ধুসর মৃত্তিকার গন্ধ
অমাবস্যা আঁধার রাত;
তবুও কবিতাকে বাঁচ্চাতে হবে-
সোনালি মেঠোপথের প্রণয়ে
হঠাৎ করা এক মৃদু স্পর্শ ছুঁয়ায়!
অথচ মৃত্যুর আর্তনাদ বার বার
ঝরা পাতার বুকে ফনা হয়ে উঠে-
অতঃপর জল নদী একন্তই
কবিতার পূর্ণিমা জুড়ে চাঁদের
পরশে ফুটে খই আর ঝরা
পাতার গুমরে তুলে গন্ধ।
০৮ আষাঢ় ১৪২৬, ২২ জুন
কবিতা|
১৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৬৮ বার দেখা
| ৪৫ শব্দ ১টি ছবি
==========================
এখনো কিছু আটে কলার পুষ্টি সদ্য নাই
সময়েরও গণ্ডি অতিক্রম শুধু বোধহীন-
কেনো না তাদের মৃত্যুর কোন ভয় নেই;
শুকনো ঝরা পাতার মতো আয়োজ করে
বিশ্বাসটুকু নাই পুঁজাকৃত ফুলের !
তবুও তারা ভাল আছে এ ভুবন জুড়ে
কেনো না তারাই কলার গাছ বপন করে-
আর লাল মান্জুলের মতো বাঁচতে আনন্দ পায়
অতঃপর
কবিতা|
১৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৯৮ বার দেখা
| ৫৬ শব্দ ১টি ছবি
-=====================
সুখ নিতে চাইনি ভালবাসা
কিছু সৃষ্টি করতে চাইয়ে ছিলাম
সৃষ্টি হয়েছে রাত ভোর জেগে
কবিতার ভাবনাময় উচ্ছ্বাস;
দুংখ কে জয় করতে ভালবাসার
প্রয়োজন- বাসতে দাও ভাল-
তবেই সৃষ্টির উল্লাস এই জগৎময়
সংসার- সমস্ত ক্লান্তির অবসন
পূর্ণিমার চাঁদ নাও আর জলমেঘ
এখানেই থাক ভালবাসার অবসাদ।
০৪ আষাঢ় ১৪২৬, ১৮ জুন ১৯
—————————————-
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৩১ বার দেখা
| ৪০ শব্দ ১টি ছবি
===================
ঐ সবুজ পাহাড় ছিল-
আরস ধ্বনিত হচ্ছিল-
আর বাবা শব্দ যেনো
ফুল বাগিচায় দুলছিল!
আর সাতাসমান জুড়ে শুধু
বাবাদের কি আনন্দ উল্লাস-
জলভূমিতে একটু দো-শ্বাস;
তবুও বাবাই জগৎময় আলো-
বাবা আছে বলে- এতো প্রণয়ের সৃষ্টি;
বাবা তুমি অক্ষয়, চিরঞ্জীবী-
এ ফসলের মাঠে বাবা তোমার জয়।
০৩ আষাঢ় ১৪২৬, ১৭ জুন ১৯
——————————————-
কবিতা|
২০ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩০২ বার দেখা
| ৪০ শব্দ ১টি ছবি
==========================
আজ শুধু আষাঢ়ের প্রথম দিন
ছাতাটা মেঘশুন্য হয়েছে রঙিন-
হাতের মুঠোই কিংবা উঠানে বৃষ্টির আলিঙ্গন
মেঘলা মন- তবুও বারন মেঘ গুড়গুড়
আওয়াজে বুকটা হয়েছে ভারাক্রান্ত।
হলুদ রাঙা কদম করেছিল আকুল-
কেনো না কদম যে প্রথম ছুঁয়া সকাল!
তাই তো নদীর জলে ভেসে যাই কিছু কায়া
আর সোনালি মেঘে
কবিতা|
১৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬৭০ বার দেখা
| ৫৫ শব্দ ১টি ছবি
==================
পুরাতন ইতিহাস দেখে
আকাশ আর কাঁদে না,
দুর্বাঘাসের স্পর্শে ছুঁয়া-
জোনাকি আর জ্বলে না;
ঘোরাধারে চাঁদ হাসে না।
তবুও ভাবনার কিছু বালুচর
জাগার মতো দেয় হাতছানি!
অথচ আনন্দ বেদনা আগের
মতো বে-হিসাবী খেলে না;
অতঃপর সময় শুধু একগলা
বৃদ্ধের চিত্রকর- তাই না-ফিরে
আসা যাওয়া সবই গন্ধ ফল।
২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৬, ১১ জুন ১৯
———————————–
কবিতা|
১৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৯৩ বার দেখা
| ৪১ শব্দ ১টি ছবি
=========================
ও পথের মাঠে ঘাটে সীমাহীন পরিবর্তন-
কি করে মেনে নেই! হাজার ভাবনা মনে
প্রশ্ন গুলি- কেমন করে ছুড়ি- উত্তর নেই;
তবে হিংসা পাড়ায় শুধু আগুন– আগুন
তো আর বুঝে না অতীতে ছিলাম কি?
সময়ের বিবর্তণে এ কেমন পুড়া ছাই।
ঝরবে তো আকাশ ছুঁয়া বাদল, জলের তরে
স্রোত- হায় রে প্রণয়
কবিতা|
৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৪৩ বার দেখা
| ৫২ শব্দ ১টি ছবি