আলমগীর সরকার লিটন। লেখকের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয় ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ভিজে যাই এই বর্ষায়’ এরপর লেখকের অন্যান্য কবিতা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে যেমন- ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা “মেঘফুল”, ত্রৈমাসিক পত্রিকা ’পতাকা’, মাসিক ম্যাগাজিন, সংকলন ‘জলছাপ মেঘ’। এছাড়া অনলাইন পত্রিকায় লিখে থাকেন। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’’মেঠোপথের ধূলিকণা’’ প্রকাশিত।
===================
মাথার উপর বটছায়া স্নেহ মায়া
রোদের উত্তাপে পুড়ে না দেহ;
সমস্ত আবেগ আনন্দ একাকার
হয়েছে পিছনে একটাই কায়া
বাবা ! তার রূপালি মাঠ সোনালি
ফসল যেনো নবান্নের মৌ মৌ ঘ্রাণ
আকুল করে তুলে বাবা! অথচ
কষ্টপুয়াতি ঘাম ঝরাতে দিতেন না
সমস্ত স্বার্থ বিকেদিয়ে বড় করা আমাকে
আজ খুব
কবিতা|
৭ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৬৯ বার দেখা
| ৮১ শব্দ ১টি ছবি
=========================
সময় চলছে বেশ কিন্তু গ্লাসের মাথা
বার বার ভেঙ্গে যাওয়ার অর্থ খুঁজি!
আয়না ভেঙ্গে যাওয়ার অর্থ পেয়েছি
মনের কালিমাখা দাগ মুছে যাওয়া!
অথচ গ্লাস কি অদ্ভূত জোড়াও লাগে না-
পানি পান করাও যায় না।
একবার তোমার গ্লাস ভাঙ্গার চেষ্টা করেছি
কিছুতেই ভাঙ্গতে পারিনি
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৫০ বার দেখা
| ১০৩ শব্দ ১টি ছবি
=======================
ভালবাসা সেতো এক রাজ্যের রাজা!
এক মুঠো ফসলের মাঠ সবুজে অরণ্য;
খয়রাতি মনোভাব থাকতে নাই কারণ
খাদ্য বিলাস হতে পার
তবে চকোলেট চায় মানে খয়রাত নও;
তাহলে ভালবাসা কথায় গেলো ?
ভালবাসা তো ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে দেখা কোন রাত নয়-
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪১৫ বার দেখা
| ১০৬ শব্দ ১টি ছবি
============================
ঐ অরুণিমার ছায়া কেমন করে জানি
মাথার মধ্যে বেয়ে হিমালয় পর্যন্ত ছড়িয়ে গেলো অনল!
তবুও ধন্যবাদ জানাই- কিছু ঘাম ঝরা
শীতলতা বাতাস যেনো গায়ের পারে গা জুড়ে বসতে চায়
তুমি গন্ধ গোলাপ চিন- এ কেমন বুঝলাম না
কিন্তু ঝড় হাওয়া নিঠুরতার
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২০৭ বার দেখা
| ৯৯ শব্দ ১টি ছবি
=====================
আজ অনুতপ্তে আকাশটা ফেঁটে
ঝর্ণা ধারা ঝরচ্ছে-
তবুও এক বিঘা বালুচর নেই-
নেই ঘাসফড়িংর দল
বাতাসের সাথে কিছু গন্ধ প্রণয়ের
হাসি তাও খোঁজে পাই না-
কি করে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিবো?
শুভ কামনা নেই- অনুতপ্তের ভাষা
হয় তো বুঝেই না- দিন, মাস,
বছরের পর বছর
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৭৭৬ বার দেখা
| ৬৫ শব্দ ১টি ছবি
=========================
হায়নাদের ষড়যন্ত্র বুঝা বড় দায়ছিল
কিছু মিষ্টি কোকিলদের গান শুনা যেতো বেশ-
অথচ সেই দিন কালো মেঘের দল
তেড়ে আসছিল ঠিকই ! কিন্তু স্বার্থসন্ধি কোকিল
নিশ্চুপ- নিঠুর হায়নাদের আনন্দ বহর
এগিয়ে এলো তারপর এক রক্তগঙ্গা প্রবাহিত করলো
নিজেদের বুকে! বলো কি লাভটা পেলে-
এ বাংলা
কবিতা|
১০ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৫৭ বার দেখা
| ৮৫ শব্দ ১টি ছবি
===================
প্রশ্ন তীর ছুঁটে যাচ্ছে-
সাদা মেঘের দল কে ভেদ করে!
উত্তর শুধু হাসচ্ছে খুব
নীরবে- কি হবে বুক পেতে নিয়ে
কিছু প্রণয় তীরে রক্তাক্ত
তবুও ছুঁটে যেতে চায় প্রশ্নতীর।
বিরক্ত! বাতাসের গায়ে গন্ধ
যেনো নোনাটে স্বাদ- ভেসে
আসছে দেখে না চাঁদ- দেখে না
কারণ অন্যখানে যুক্ত; আকাশ
পানে যত
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৯৫ বার দেখা
| ৮২ শব্দ ১টি ছবি
==================
যমুনার তোর জল বেশী
ঢেউয়ে ভাঙ্গে স্বর্ণালি বাঁশি
আমার রূপালি বাঁশি-
হাজার ক্ষণে ভাসা ভাসা স্মৃতি
আমার নদে নাই রে সখী-
কেমন করে সাঁতার কাটি।
মেঘের কায়া রৌদ্র বৃষ্টি
নির্বিঘ্নে হেসে খেলে যায়-
আমি চাইলেও কেন যে পারি না
কোন দিকে বায়; কার জলে আঁকো
আমার আকাশে আঁধার ছবি।
কারো ইচ্ছায়
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৪৩ বার দেখা
| ৭২ শব্দ ১টি ছবি
=======================
বিশ্বাস জেনো গা ছাড়া তাস বুকে হাত
দিয়ে বলতে পারবে না কোনদিন যে চাঁদ,
বামনের গায়ে আঁধার ছিল, বুঝতেই পারেনি-
কি আশ্চর্য রাতের গায়ে চাঁদ জ্বলছে বেশ!
এখন জানালার ফাঁকে চাঁদ দেখা হয় অহরহ-
সব জেনো এক বৃষ্টিহীন- ছায়াহীন মৃদল পথ।
অথচ সেই চাঁদ কতদিন হলো
কবিতা|
৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৯৯ বার দেখা
| ৮৭ শব্দ ১টি ছবি
তুমি এমনি তেই প্রকৃতির মতো সুন্দর
চাঁদ উকি দিতো তারা ঝিলমিল করতো;
অথচ কোনদিন মেহেদী আলতা ঠোঁট
দেখা হয়নি, সাঁতার কাটা বিলটা এখন
শুকনো শ্মশান- মনে মনে খুব চঞ্চল ছিল।
যখন চরমারতে চায়লে মুচকি হাসি ছিল রঙিন;
সরিষা ফুলকেউ হার মানায়- শিশির সিক্ত শুকে যায়-
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৬২ বার দেখা
| ৮৮ শব্দ ১টি ছবি