সময় বদল অমাবস্যা জ্যোৎস্নাকে বলে
চলো কাল দেখা করি, দিনে; জ্যোৎস্না মুচকি হেসে উত্তর দেয়
রাতের আকাশে চাঁদটাকে দেখছ?
দিনে হয়ে যাবে সূর্য,
রাতের আকাশের রঙ দেখেছ?
কেমন ঘোলাটে ধুসর
দিনে ফুটে উঠবে নীল,
ফারাক বিস্তর, দিন আর রাতে
ফারাক বিস্তর, চাঁদ আর সূর্যে
ফারাক বিস্তর, আলো আর অন্ধকারে
বিস্তর ফারাক, কালকের আর আজকের মাঝে,
ফারাক কালের
ফারাক

আক্রমণ বড্ড বেয়াড়া আমাদের হৃদয়
বেয়াড়া মস্তিষ্ক, বেয়াড়া ও আক্রমণাত্মক; মাঝে মাঝে এমন বেয়াড়া আক্রমণ করে!
যে মন ঘুমিয়ে পরে মাটির ঘরে; আচ্ছা মাটির ঘর কি খুব অন্ধকার?
ওখানে হাসি আছে?
আনন্দ?
দুঃখ?
বেদনা?
একদিন আমিও জানব
দেখিস! ঠিক জানব; কেন এত হৃদয়ের আক্রমণ চারিদিকে?
কেনই বা মস্তিষ্কের ক্ষরণ, অন্ধকারে? এক একটি আক্রমণ
অনেকগুলো কান্না;
আক্রমণ কি বোঝে?
উঁহু! বোঝে না; আনন্দ তো

মনখারাপে যখন তখন প্রতিটা মানুষের মাঝেই একজন কবি বাস করে
এক একজনের মন কবিতা লিখে এক এক ভাবে
যার যার কাব্যরস আস্বাদন নিজ নিজ কাজে
আর কবিতা কথা কয় মনের ভাঁজে; কারো চাঁদ উঠলে ভাবের উদয়, তো কারো তারা ফুটলে
কারো জ্যোৎস্নায় তো কারো অমাবস্যায়
কারো সূর্যোদয়ে কারো কারো সূর্যাস্তে
আমার শুধুই

মন-ঘরে বন্দি এক এক জনের চোখের দৃষ্টি এক এক রকম
কারো সূঁচ এর মত তীক্ষ্ণ
কারো বা ছুড়ির মত ধারালো
কারো কারো সামনে দাঁড়ালে শান্তি শান্তি লাগে
কিছু মানুষ আছে, যাদের সামনে দাঁড়ালে গা ঘিনঘিন করে
চোখের সামনে,
আমি দৃষ্টির কথা বলছি
মনের দৃষ্টিভঙ্গি চোখে ফুটেই ওঠে;
মন-আয়নায় যেদিন আমার কালো দৃষ্টিভঙ্গি দেখেছি
সেদিনই

নানান ভাষা জানি না তোর মনের কথা
একদমই বুঝি না প্রেমের ভাষা,
ভাসতে ভাসতে জীবন
এক এক নদীর এক এক ভাষা; নদীও তো নারীই
তাই না?
জলের ভাষা
স্রোতের ভাষা
নদীর ভাষা
তোর ভাষা বুঝতে গিয়ে কুলকুল ভাসছি আমি; নারীর ভাষা আজো বুঝি নি
বড্ড অবোধ্য ঐ প্রেমের ভাষা; কবে জানি ভাসতে ভাসতে

পাখি অনেক দিন পাখি দেখি না আকাশে,
মনাকাশে;
পাখি কেমন আছে? ভালো থাক পাখি
আকাশ থাক নীল
সবুজ থাক বনানী
আর তুই স্বপ্নিল; কালো আকাশে কি আর ডানা মেলা যায়?
পাখির যে মেঘ হতে বড্ড মন চায়;
পাখির পালকে মেঘের ঘষা
আমার চোখ বৃষ্টি
ভালোবাসা বড্ড কাঁদায়
ধ্যাত! অনাসৃষ্টি; পাখি ডানা মেলে মেঘের ভেলায়
সময় কোথায়

অভিনয় মন তো মন’ই
কখনো ভালো কখনো খারাপ; ক্ষণে ক্ষণে পিঠ, ক্ষণে ক্ষণে ছুঁয়ে দিচ্ছিলি হাত
কাল ছিলো তোর বড্ড বেশী মন খারাপ,
তবুও ঠোঁটে হাসি ধরে রেখেছিলি
যতক্ষণ একসাথে ছিলি,
মুখে আবোল তাবোল কথার ফুলঝুরি
যাতে আমি বুঝতে না পারি
তুই কি জানিস?
আমি মন পড়তে পারি; হাতে যখন হাত বুলাচ্ছিলি
তোর হাত কাঁপছিল
পিঠে যখন

রাতটুকু আমার একদিন সবাই চলেই যায়
জানি, একদিন তুইও যাবি;
তবে একটা মিনতি
এভাবে ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে
ঢাকঢোল বাজিয়ে
সবাইকে জানিয়ে যাস না,
আমি সয়ে নিলেও রাতের সইবে না; একবার ভেবে দেখেছিস!
কত কত স্মৃতি
তোর, আমার আর রাতের; আমাদের সারারাত জেগে থাকার স্মৃতি
সারারাত গল্প করার স্মৃতি
সারারাত ভালোবাসাবাসির স্মৃতি
সারারাত অভিমানে গাল ফুলিয়ে থাকার স্মৃতি
সারারাত বুকের পরে

মায়া কাল দিনটা ছিল হলদেটে খয়েরি
আর মন ছিল ধুসর কালো
সারাদিন ধরে ধরে খুব অদ্ভুত ভাবে
আকাশে একটা কাক উড়ছিল বড্ড দিশা-হীন হয়ে হয়ে,
কালো বিশাল একটা দাঁড়কাক;
ইদানীং তো দাঁড়কাকের দেখা মেলাই ভার
সত্যিকারের ভালোবাসার মত; খুব অদ্ভুতভাবে তোর জন্য মনে কেমন যেন একটা মায়ার ছায়া
অনেকটা ভালোবাসার মত
ধ্যাত! আমি ভালোবাসা

বিলাস তুই জ্যোৎস্না বিলাসী
আমি বৃষ্টির কথা বলছি ; ভালো করে তাকিয়ে দেখ আকাশে,
কি সুন্দর ফুটফুটে জ্যোৎস্না ছিল সন্ধ্যে থেকে;
আমি ভিজতে চাইতেই কোত্থেকে জানি রাশিরাশি কালো মেঘ এসে চাদর পড়িয়ে দিলো জ্যোৎস্নার গায়ে
বাতাস ভারী হয়ে এলো
চাঁদ লুকিয়ে গেলো,
তারপর অঝোর ধারায় মেঘ কাঁদলো;
তুই তো আর কাছে নেই!
তাই তোর

আজকাল প্রায়শই সকাল হয় দ্বিপ্রহরে
আজকাল সারাদিন কাটে আলসে ঘুমঘোরে
আজকাল বিকেলকে বিষণ্ণ লাগে না আর
আজকাল আমিই বিকেল, সূর্য ডোবার কাল
আজকাল সন্ধ্যার আগেই চোখ অন্ধকার হয়ে আসে
আজকাল একদমই চাঁদ দেখি না রাতে
আজকাল আর বৃষ্টিতে ভেজা হয় না আগের মত
আজকাল ধুয়ে ফেলেছি মনে প্রেম

চেনা চেনা, অচেনা অনুভূতি তুই প্রায়ই জিজ্ঞেস করিস,
ভালোবাসো আমায়? আমি চুপ করে থাকি
উত্তর জানা নেই আমার; আমি জানি না ভালোবাসা কি?
যে ভালোবাসা বোঝেই না সে উত্তর দেবে কি? ভালোবাসা কি?
তুইই বলে দে না রে; এই যে কুয়াশা ভোর
আর মন কেমন করা লালচে রোদ, এই যে বিষণ্ণ দুপুর
আর হরিৎ বিকেল, এই যে

হাতছানি ডাক কত কত হাতের ডাক
কত রকম হাতছানি
মনের ডাক কোথায় আজকাল?
স্বার্থের ডাক বুঝি সবখানি কত রকম চেহারার মানুষ
কত কত রঙ
রঙ বেরঙ এর হাতছানি কত
কত কত তাদের ঢং আমি কি খুব বেশী চেয়েছি?
দিনে চেয়েছি প্রখর সূর্য আলো
রাতে একটু ঘুম চেয়েছি
আর অন্ধকার, ঘুমকালো আলো কোথায়? বিষণ্ণ দুপুর
হলদেটে

মন ছুঁয়ে চোখ মন ছুঁয়ে ছুঁয়ে মেঘ
চোখ ছুঁয়ে ছুঁয়ে জল
শরীর ছোঁয়াছুঁয়ি খেলায় হেরে যায় মন
আর মন খেলায় আমি,
দেখ! কত সমুদ্র লবণ জমা হয় চোখ চুয়ে চুয়ে; তোর সাথে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলাটাই ছিল আমার ভুল,
ঠোঁট ঠোঁটে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা
সেদিন এমনই এক রাত্রি বেলা; চাঁদনি কবে ছুঁয়েছিল মধ্য দুপুর?
চাঁদ খেলায় চাঁদনির

টাকা টাকা জপ টাকায় সুখ
টাকায় অসুখ
আমরা সুখ কিনতে যাই টাকার বিনিময়ে
কোথায় সুখ?
বস্তা বস্তা টাকায় কিনে আনি পাহাড় পাহাড় অসুখ; সুখী কে?
যার টাকা আছে?
উঁহু!
তাহলে ঐ যে দুবেলা দুমুঠো অন্ন জোটে না যে পরিবারের
তারা কি করে নিশ্চিন্তে ঘুমায় রাতে!
স্বপ্ন দেখে
হাসে, খেলে,
বাবা-মা, ভাই-বোন ভাগ করে সীমিত খাবার খায়
ভাঙা জানালায়