গণ্ডমূর্খ আচ্ছা! চোখ পড়তে পারিস?
মন?
ভালোবাসা পড়তে পারিস কি? সবাই ভালোবাসা পেতে চায়,
তবে কেও কেও ভালোবাসা দিতে জানে,
যেমন তুই; কষ্ট করে কে চায় ভালোবাসা বুঝে নিতে?
অন্যের চোখ পড়ে?
কিংবা মন পড়ে? আমি তো গণ্ডমূর্খ
পড়ালেখাই শিখি নি কখনো
চোখ পড়ব কি?
মন তো অনেক দূরে,
আমি গণ্ডমূর্খ, ভালোবাসাই বুঝি না; এক এক জনের ভাবপ্রকাশ এক

অবহেলিত, একতরফা কিছু কিছু ভালোবাসা একপেশে
কিছু কিছু খুব বেশী একতরফা,
সে বাবা মার ভালোবাসাই হোক কিংবা সন্তানের
কিংবা ভাই বোন আত্মীয় পরিজনের
আর নয়তো প্রেমিক প্রেমিকার
কিংবা স্বামী স্ত্রীর; একই বাবা মায়ের সন্তানদের মধ্যে কেও থাকে দুধে ভাতে
কেও বাবা মায়ের সাথে ডাল ভাতে এক থালে এক পাতে
একজন থাকে চরম অবহেলিত

ভালোবাসার অভ্যেস বোকারা একপেশে ভালোবাসে
একপেশে ভালোবাসায় কাঁদে জীবনভর
আমার একপেশে ভালোবাসাকে তুই ঠেলে সরিয়ে রেখেছিস একপাশে
আর আমায় জড়িয়ে রেখেছিস অভ্যাস বসে; যেদিন থেকে তুই আমার ভালোবাসা
সেদিন থেকে তুই আমার নীলাকাশ
যখনই তোর আকাশে ডানা মেলি
তখনই তুই রাত
যখনই তুই রাত আমি চাঁদ হই আকাশে
তুই জ্যোৎস্নাস্নান সেরে গভীর ঘুমে অন্ধকারে
যখনই

নানা রকম গল্প প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই একটা গল্প থাকে,
কারোটা খুব সাদামাটা
বেশীরভাগ গল্পগুলোই বড্ড জটিল; সাদামাটা গল্পগুলো সাদামাটা জীবনেই শেষ হয়ে যায়
সাদামাটা ভাবে; জটিল গল্পগুলো বেশীরভাগ রক্তাক্ত করে
একটা গল্প হয়তো শেষ হয়ে গিয়েছে খুব অল্পতে
কিন্তু তার রেশ রয়ে যায় সারাটা জীবন ধরে; জটিল গল্পগুলো বেশীরভাগ সংসার কেন্দ্রিক; কারো বাল্য বিবাহ

ঠান্ডা বুকের আলমারিতে অনেকগুলো তাক
কিছু আলোকিত কিছু অন্ধকার কয়েকটা ড্রয়ার একদম খালি
কয়েকটায় স্বার্থের বাস
কিছু ড্রয়ার খুলতেই আমার ভয় হয়
ওখানে নিজেই তালা দিয়ে রেখেছি জীবনের বীভৎস অন্ধকার; কয়েকটা হ্যাঙ্গারে আনন্দ ঝোলানো
কয়েকটায় কান্না
কয়েকটায় ঝলমল করছে ভালোবাসার কিছু স্মৃতি
কয়েকটায় কালো কালো বেদনা সবগুলো তাকেই কিছু কিছু সম্পর্কের বাস
দুই নিলয় ও ডান

বিশেষ শ্রেণী আজকাল দিনকাল জানি কেমন হয়ে গেছে! আজকালকার সন্তান বাবার প্রেম দেখে
মায়ের সাথে নয়,
বিছানায় উলঙ্গ অন্য কার সাথে; আজকালকার সন্তান মায়ের প্রেম দেখে
বাবার সাথে নয়,
উলঙ্গ জড়াজড়ি অন্য কারো সাথে; আজকালকার বাবা-মা,
পরকীয়া ঘরে ঘরে; আজকালকার সন্তান
ছেলে কিংবা মেয়ে হোক
শরীর’কে বড্ড সস্তা মনে করে,
আজকালকার সন্তান
স্কুল পর্ব শেষ হওয়ার আগেই
নিজের কৌমার্য

বোধহীন ভালোবাসা ভালোবাসায় আশা থাকে
আকাঙ্ক্ষা থাকে
ভালোবাসার কিছু চাহিদা থাকে,
তোর কাছ থেকে আমি কোন আশাই করি না
আকাঙ্ক্ষা নেই আমার মাঝে
নেই চাহিদা
আমি বোধহয় তোকে ভালোবাসিই নি; ভালোবাসায় ঈর্ষা থাকে
আমার দিকে কেও তাকালেই তুই লাল হয়ে যাস,
আমার কোন ঈর্ষা নেই
আমি বোধহয় ভালোবাসিই নি; ভালোবাসায় রঙ বেরঙের অনুভূতি থাকে মনে
তুই ক্ষণে

জিজ্ঞাসা তুই কিন্তু বই না
তবুও আমি তোর মনের প্রতিটা পাতা পড়তে পারি, তুই কিন্তু চাঁদ না
তবুও আমি তোর সাথে জ্যোৎস্না মাখি, তুই কিন্তু রাত্রি না
তবুও আমি তোর সাথে অন্ধকার হই, তুই কিন্তু সূর্য না
তবুও আমি তোতে আলোকিত হই; আমি কখনো রংতুলি হাতে নেই নি
তবুও আমি

ভালোবাসার আয়না কত দূরে তুই আজ? কত দূরে?
আমাদের মাঝে যে দূরত্ব ভীষণ!
অথচ একদিন তুই আর আমি ছিলাম
দুজন দুজনার বড্ড আপন; আজ দৃষ্টির আড়ালে তুই,
বৃষ্টির আড়ালে চোখ, দৃষ্টি ঝাপসা ভীষণ
দেখ! আকাশে মেঘ জমেছে কেমন! সব মেঘে কি আর বৃষ্টি হয়?
কিছু চোখে কান্না রয়,
তুই কখনই আমার চোখ পড়তে পারিস

আয়নার ওপাশে কে? আয়নায় নিজেকে দেখে বড্ড করুণা হয়
আয়নার ওপাশে কে?
আপাদমস্তক রিপুতে মোড়া দানব
মানুষের চেহারাতে; চেহারায় সাদাকালো!
সে তো হতেই পারে,
ওপরওয়ালা এক একজনকে বানিয়েছেন এক এক ভাবে; আমি চামড়ার ওপরের রঙ বলছি না রে
ভেতরের রঙ কি আর সবাই দেখতে পারে? স্বার্থের রঙ দেখে আপনজনে
প্রেমিক-প্রেমিকা ভালোবাসার কদর্যতা চেনে
আমি নিজেকে দেখি

যন্ত্রমানব একটা সকাল, পাখির ডাকের
একটা দুপুর, মন খারাপের
একটা বিকেল, হলুদ হলুদ
সন্ধ্যা এলেই, বিষণ্ণ লাল একটা দিন ভালো মন্দের
কখনো মেঘ কখনো সূর্যের
একটা রাত আনন্দ বিরহের
কখনো তারা কখনো চাঁদের সকাল কখনো রাত’কে ছুঁতে পারে না
সূর্য ছুঁতে পারে না চাঁদ’কে
তবুও প্রহর গণনা, দিন রাত আর সূর্য চাঁদে; একটা তুই
একটা আমি
কিছু বোধের

ওলোটপালট এক মুহূর্ত ভালো লাগার
একটা মুহূর্ত ভালোবাসার; ভালো লাগা বদলে যায় এক মুহূর্তেই
কারণে আর অকারণে; ভালোবাসা কি আর সহজে বদলায়?
ভালোবাসা বদলাতে অনেক সময় লাগে
ভালোবাসা বদলাতে শুরু করে একটু একটু করে
অনেক সময় ধরে, অনেক অনেক কারণ পরে; ভালো লাগা ও না লাগার মাঝে পার্থক্য এক মুহূর্ত
ভালোবাসা ও না বাসার

অর্থের অর্থ অর্থ মানুষ’কে বদলে দেয়
খুব, খুব বেশী বদল স্বভাবে
প্রাচুর্যে কিংবা অভাবে;
অর্থের অর্থ জানে কে? চুরি সবাই করে,
প্রাচুর্যে পুকুরচুরি
অভাবে খাদ্যচুরি,
পুকুর-চোর চেনে সবাই, ধরতে যায় না কেও
কিল, চড়, ঘুষির কপাল বেটা রুটি-চোর ও;
ক্ষুধা পেট সবাই বোঝে
অর্থের অর্থ বোঝে কে? বড্ড অসম অর্থের থাকা আর না থাকায়
অসম জীবনযাপন ধনী

মুখোশের ভেতরের আমি আজকাল প্রায়ই হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে
সূর্যের প্রখর রোদে কি আর হারানো যায়?
চারিদিকে চেনা চোখ
কোথাও না কোথাও কারো না কারো চোখে পড়ে যেতেই হয়
হারানো হয় না মানুষের ভিড়ে;
ভাগ্যিস একটা মুখোশ আছে
যখন ইচ্ছে হারিয়ে যাই মুখোশের আড়ালে; কোথায় আজ আমি?
গুটিয়ে নিয়েছি নিজেতে

ইট পাথরের নগরী আড়মোড়া ভাংছে শহর
আড়মোড়া ভাংছে সূর্য
কি আছে এই ইট পাথরের নগরীতে?
তবুও ফিরে আসতেই হয় এখানে, জীবন সংগ্রামে; মাঝে মাঝে যখন অসহ্য হয়ে যাই
কিছু সবুজ নিয়ে আসি
সবুজের বুকচিড়ে
মাঝে মাঝে কিছু নীল নিয়ে আসি
আকাশে উড়ে উড়ে, সাগরে ঘুরে ঘুরে
মাঝে মাঝে সোঁদা মাটির গন্ধ