রত্না রশীদ ব্যানার্জী-এর ব্লগ
অপাচ্য
থুতু গেলা হর হামেশা-
ঘেন্না ধরে যায় এই
লোক-দেখানি রঙিন চেহারা – থুতু ফেলে দিতে গেলে নিচের মাটিতে
সমস্ত সংসার হাসে মুখের ওপরে,
মাগনায় জ্ঞান মেলে যত্রতত্র বিগশপার ভরে – – একহাতে কি করতালি বাজে?
এক মুখে শুনে কিন্তু কোরোনা বিচার।
খোঁজ নাও, হয়তো মনোবিকারই বা হবে! – নিচে নইলে, থুতু পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৯ বার দেখা | ৫৮ শব্দ
প্রতাপ
মুক্তি ছিল চাঁদমারি,
তেজ ছিল আঙুলের টিপে যখন যেমন পেতো
পেতলের আঙরাখায়
সাবেক কালের চুলো
অথবা প্রদীপে
সলতে পেতে পুইয়েছে তাপ বন্ধতায় মুক্তি পেতে আপন প্রতাপে। পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৫৫ বার দেখা | ২০ শব্দ
ফুলফুল খেলা
কোনো তর্কে আমার আর মন নেই।
নিজের রক্তের লালে ফুলকারির
আত্মঘাতী শখও এই সেদিন জুড়ালো। কতোখানি শৌখিন আর সুন্দরের চ্যালা বুঝে দ্যাখো!
একহাতে তালি দিতে মহাযুদ্ধী সেমিনার
ফুলের আড়াল দিয়ে নির্লজ্জ টেবিল সাজায়। বুক তো পোড়ে প্রদীপেরই, একা-
তাই, ফুল নয় পাখি নয়,
বয়ে যাওয়া অগ্নিস্রোতে
আতান্তরে ভবিষ্য সাজাই। পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৩৫ বার দেখা | ৪৩ শব্দ
অন্যথা
আকাশ বলে তো সত্যি কিছু নেই,
তবু তাকে অনন্তের শিরোপা চড়াবে যদি তুমি,
একবুক ফাঁকা ফুঁয়ে
চুমকি মাখা নক্ষত্রের বাজার বসাতে যদি চাও,
যদি শুন্যতা ছাড়াতে চেয়ে
মহাশূন্যে সিঁদকাঠি নাড়াবার ঝুঁকি নাও,
তবে তোমার হাতেগড়া বিপন্নতা ঘিরে
বিকল আমার আর কি’বা করার বাকি থাকে- ভাঙচুর পৃথিবীর সর্বদা- সর্বথা পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২০ বার দেখা | ৫১ শব্দ
আরণ্যক
আরণ্যক
গান গাইতাম বলে
আমাকে কোয়েলের মতো নরম ভেবেছিলো,
ছবি লিখতাম বলে
ভেবেছিলো দিগন্তের মতো খোলামেলা,
টুকরো টাকরা ডালপালা জুড়ে
রক্ষিনী- যক্ষিণী ছাঁচ গড়ে দিতাম বলে
সে তার আদিম অরণ্যে
হাত ধরে টেনে নিতে
এক ফোঁটা অপেক্ষা রাখেনি— তারপর, শিকারের চেরা রাতে
ভেষজ এরোমা মাখা
জ্যোৎস্নার আয়নায়
পোড়াগাছ–টেরাকোটা বলিরেখা
নষ্টচাঁদ পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩১১ বার দেখা | ৯০ শব্দ ১টি ছবি
আংশিক গৃহবধূ
হে নিমগ্ন মন জীবন,অক্টোপাসে জড়িয়ে তোমার দেনা,
বন্ধকীতে ওড়ার খোয়াব, বন্ধকীতে ডানা বিপর্যস্ত নতমুখী, আগার থেকে মুড়ো
সিন্ধুকেতে বন্ধ থেকে হয়ে যাচ্ছে বুড়ো টুকুস্ রাগতে পারলে বেশটি হতো, মুরোদে আসেনা,
আসলে ভাই অতোখানি নাগালই পাইনা কাক ভোরেতে উড়তে গেছি, দানাও নেই ঠোঁটে,
চোখ টিপেছে জা-ভাজেরা–অতোটা কেউ ওঠে! ওদের পাতে নবান্ন পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২৪ বার দেখা | ৮৪ শব্দ
দুই এবং দুই
তবেতো এই-ই বেশ হলো—
উপযোগী কাজীর মাপাজোপা নিখুঁত মুদ্রায়
নিরুপায়ে নেমে এলো একাজাগা স্তম্ভ বাতি।
সুকৌশলে অভিযোগী পেঁচাকে বাঁচিয়ে
কৌটিল্যের সাঙ্গ পাঙ্গ চ্যালা
যে যার কুটিল সাজে নিপাট নিখুঁত
পক্ষপাতহীনতার ভেকে
দিব্যি সব হেঁটে গেল সূর্য বিপরীতে —-
কারণ —-
শুধুমাত্র অন্ধকারেই
দু-য়ে দু-য়ে পাঁচই সঠিক। পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩০৯ বার দেখা | ৪০ শব্দ
রূপকথা নয়
একটা গল্প বলার কথা ছিল কবের থেকে
আজকে সেটাই বলার ফুরসৎ —
মোগলমারী গ্রামের আমার বিপদবারণ মিতার
দুহাত ঠেলে কাল পেরোবার সার্কাসী কসরৎ। ছালছাড়ানো শতাব্দীটার অঙ্গজোড়া ব্যাধি
উবে গেছে বছর থেকে অঘ্রাণী ধান ঘ্রাণ
হাতেপায়ে বুক রগড়ে ধুলোর পাহাড় ছেনেও
পায়নি কোথাও আদিম জ্বালার নিকষ পরিত্রাণ — মিতার পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৮৪ বার দেখা | ৬৫ শব্দ
ফাঁদ
সৃজিত অরণ্য মাঝে চিহ্ন দেওয়া মহানিম গাছ
সেই তার আশ্রয় ছিল, বহু বছরের ঝড়ে জলে
তার তেতোবুকে মধুরস চেটেপুটে বেঁচে থেকেছে,
তার নিমগন্ধী নিঃশ্বাসের কাছে বসে রাতচেরা আলো চিনেছে — তবু্ও সে কোন একদিন
পাতার ঝালর ঘেরা মোমরঙা শ্বেত পাথরের গড়া
বাঁধানো ঘাটের ছবি দেখে
একেবারে স্তব্ধ পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৫ বার দেখা | ৯০ শব্দ
হঠযোগ
হাওয়ার কুন্ড থেকে উঠে এসে
ফের হাওয়াতেই গা-ভাসানো ক্রিয়া- সমবায়ে,
কঙ্কাল – কোটরে ফের জেগে ওঠার
চিহ্নকামী হঠযোগ ধূম – প্রত্যয়ে,
মূহুর্ত- চুর্ণাংশ- ক্ষনের ভিতরকণিকায়
ঘাইতোলা তিলভোর অঙ্কুরিত দানা,
মাটির বালিশ গালে চেপে
খটাখট আজনা বাজনা
শুকনো হাড়ে ভেল্কি জোড়ে ফের,
এ ফোঁড় – ও ফোঁড় চষা
কবরিত হাড়- হিম হাত
নড়ে, আর ইশারায় পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৭৮ বার দেখা | ৫৭ শব্দ
দন্ডসেবা
নাচতে নেমেছো যখন
ও ময়ুর, পেখম মুড়োনা—
জানি, এই নীলাকাশ মুজরো নাচ উস্কে দেবেনা,
শেকল পায়েতে বেঁধে
খুব কিছু নাচাও ঘটেনা — তবু, দন্ডসেবা দেখেছো তো চেয়ে?
জ্বলন্ত আগুন দিন
বুক পেট মাথা কসরতে
আঁক কেটে মানসিক শোধা?
তবে, ময়ূরী পেখমহীনা,
দন্ডমেপে দেবে ঠিক
মাপে মাপে দন্ডকাঠি ধরে শেষ দেখা পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২৫ বার দেখা | ৫৫ শব্দ
মোর মালঞ্চে বসন্ত ...
মোর মালঞ্চে বসন্ত ...
প্রোমোটারি দৌরাত্ম্যে
দখিনা দুয়ার ঝেঁপে
সোকপিট স্থান সংকোচ, অথচ অব্যয়ী সর্বনাশ
মাতমে মেতেছে আজ
পলাশের শিমুলের বেশে, ধুন্ধুমার জ্বালা বুকে
গনগনিয়ে পুড়তে থাকি
প্রতিদিন, প্রতিটি প্রহর —- অগত্যার উসকাঠিতে
হা- বসন্তের দিনে উপদিনে
অব্যর্থে আগুন দিই
বর্ণচোরা সংস্কারের আগল- বেড়াতে। পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৯৮ বার দেখা | ২৯ শব্দ ১টি ছবি
সসেমিরা
নিরস্ত্রীকরণ শব্দের চাতুর্য ধরতেই
বদলে গেছে যুদ্ধের প্রহর —– এখন যুদ্ধের জন্যে
হন্যে হওয়া অস্ত্র লাগেনা,
সসাগরা যুদ্ধক্ষেত্র জুড়ে
যুদ্ধমগ্ন শেষের দশকে
প্রতিকোন অস্ত্রলিপ্ত
শোক ও সন্তাপে। পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৮৬ বার দেখা | ২০ শব্দ
শিলমোহর
শিলমোহর ক্যাওটের জাল ফালি- কুচি হল, বোষ্টমের কি-বা এলো গেলো?
নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছেড়ে বরণ করেছে যে অপমানী বহুতর ঋণ
স্রেফ কথারই ফানুসে বিন্দাস উড়ে যায় দিন- প্রতিদিন
অতীব নিশ্চিন্তে তার চেঁছেপুঁছে ডোবে সব আলো। #
দুটো দিন বাছা কথা – ছবি – টবি শুনে দিব্য উড়ে যায় পড়ুন
কবিতা | ৫ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪১১ বার দেখা | ১১০ শব্দ
স্মৃতিময়
স্মৃতিময় কে কাকে স্মৃতিতে জমিয়ে
নষ্ট করে দুর্মূল্য প্রহর! সেদিন কবেই চলে গেছে
যখন কাঙালের মতো
হারাই- হারাই চোখে
পৃথিবী ঢুঁড়েছি হুটপাট! তবুও তাঁকে আমি ভুলতে যাবো কেন? দুকুল ভাসানো আমার সম্পদ- আবেগ
এই বয়েসেও যে বেঁচে বর্তে আছে,
ও-ই যে তার একমাত্র বিশল্যকরণী! নতুবা
কে-ই বা কাকে
স্মৃতিতে আগলে রেখে
ফুঁকে দেয় পুরোটা জীবন! পড়ুন
কবিতা | ১৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪২৬ বার দেখা | ৪১ শব্দ