প্ররোচনা
তবুও বেলা যে যায়
তুলসি পাতায় ধোয়া হাত
ওদিকে অপেক্ষায় প্রাচীন মানব
মৌণমিছিলে নিষিদ্ধ মোমবাতি হাতে
মুদ্রার বিপরীতে রাখা বিশ্বাস
মেধা-মননে নিচ্ছি পাঠ
ফলনের ভিতর গোপনীয়তা যদি থাকে
রাত্রির আড়ালে লিখে দেবো সব
শাস্ত্র কিংবা সূত্র- তন্ত্রীয় জ্বালে জ্বলছে
এসো শঙ্খ বাজাই জোরেশোরে
সুষুপ্তিতে যারা মগ্ন তাদের জাগিয়ে
ঘুঘু দর্শনে বেড়িয়ে পড়ি রাতবিরাতে।
জলধর্ম
নিজস্ব ধারাপাত জুড়ে জলের খেলা
প্লাবনে ভেসে যাচ্ছে অক্ষর
চোখের কাজল
দহন – দূর্বাঘাস
কারা যেন বলেছিল
যে সাঁতার কাটতে জানে না
তার নেই চুমুর অধিকার
মাদুলি দুলছে – নাভি বরাবর
যেন সুযোগ সন্ধানী বৃষ্টি
রাষ্ট্রীয় শোক শেষে নেমে আসে দৃষ্টি
কে সইতে পারে- ছাতার তলার নিম্নচাপ
হঠাৎ মেঘ
মফস্বলে ধর্ম খুইয়ে হচ্ছে সব শহুরে।
ঘরে ফিরতে গিয়ে মনে হলো
আমার তো ঘর-বাড়ি কিছুই নেই
তবুও ‘নির্জনতা’ এই শব্দটিকে আমার বড় ভয় করে
ঘরটাকে মনে হয় একটা বন
আড়ালে মুখ ঢেকে হাসে রমণী
এই হাসিকে ধরে রাখতেই আমরা ঘর করি
সংসার সাজাই, বাচ্চা নিই
দুঃখ আসে দুঃখ যায় প্রজাপতির মতো উড়ে
অপার মুগ্ধতা নিয়ে আমরা ঘরে
ঋতুস্নান
মূলত নুন আনতে গিয়েই সবকিছু ফুরিয়ে যায়
হলুদ মরিচ পড়ে থাকে জমিনেই
চেয়ে দেখ ভাতপাতে মাখানো বিষ
দুধসাদা পৃথিবীতে কোথাও সরলরেখা নেই
মিহিদানার মতো মানুষের ভালোবাসাগুলো
এক একটা পরিচিত কীট।
তন্দ্রাতেই যতো ভয় জাদুকরের
আস্তাবল থেকে যে ঘোড়া ছুটে গেছে ঋতুস্নানে
তার খুর থেকে উঠে আসে বিচ্ছেদের দ্যোতনা
পারস্পরিক ভুলে মরে যাচ্ছে ঋতুবতী
সে এক অদ্ভুত বিকেল
যেন বিষণ্ন বেলায়
ক্ষয়ে যাওয়া পাহাড়ের ক্ষত
কিছু বিস্মৃত ইতিহাস
ঝরে যাওয়া ফুলের পাঁপড়ি
দূরত্ব বাড়ছে মানুষের
প্রবৃত্তির এতো এতো রং
খুদ খুঁটে খাওয়া পাখি জীবন
জমাট বেঁধেছে রক্ত
মানুষের অসীম ব্যস্ততা এখন
মাথা ঠুকে মরছে সবাই
পুবে – পশ্চিমে
জীবনকে ঘিরে অদ্ভুত প্রশ্ন
বাতাসের গুটি ও গুঞ্জন
এখানে – সেখানে
পাখিদের ফিসফাস কথা
যেন ঠিকানা
ক্যানভাসার = দর্শক
অনেক খেল দেখিয়েছ তুমি একাই
ক্যানভাসারের মতো একাই দাপিয়ে বেড়িয়েছো পুরো হাট
ফলাফল
তুমি হাটবাজার = জিরো
ক্যানভাসার খেলা = একাই একশো
আর বাকি যারা আছে তারা বোবা – দর্শক
শুধু হাততালি দেয়াই তাদের সার।
সময়-১
পুরনো কাগজ মুড়ে একটা বল বানানোর পর
বলটিকে লালঘোড়ার পায়ের সঙ্গে বেঁধে দিলাম
বল গড়িয়ে যাচ্ছে – ঘোড়া দৌড়াচ্ছে
ঘোড়া দৌড়াচ্ছে – বল গড়িয়ে যাচ্ছে
আমিই শুধু চোখ বন্ধ করে বসে আছি।
সময়-২
সেই যে হামাগুড়ি দেয়ার পর থেকেই চলা শুরু
তখন থেকেই আঁকছি জীবন ছবি
দেয়ালে – রাস্তায় – বৃক্ষ –