দুঃখ
যেদিকে দুঃখ যায়
সেদিকে হাট বসে – দেবদারুর মাথায়
দ থেকে দুঃখের উৎপত্তি
মোমের আগায় জ্বলে থাকা টিমটিম আলো
নদী – দুঃখের আর এক নাম
সুখ – তারও ডাক নাম নদী।
যেদিকে দুঃখ যায়
সুখ তার পিছু পিছু হাটে।
ঢেউকল ছুঁড়ে দেয়ার পর সাগর উত্তাল হলে
আমাদের অনিশ্চিত গন্তব্যে যাত্রা শুরু হয়
ভাতপাতে বিষ নিয়ে যে দৃশ্যের জন্ম দিই
সেখানে হরিণশাবক মন নিয়ে অন্ধকারে
পরে থাকে তাড়া করা বাঘ
মূলত এইসব দৃশ্যের অবতারণা করতে গিয়ে
নিরাপদে বাড়ি ফেরা হয় না আমাদের
খুব সম্ভবত মৃত্যুর অভিনয় করতে গিয়ে
পুড়িয়ে ফেলি মুখস্থ গ্রন্থ
কি
মানুষের জয় হবে
মানুষ একদিন ঠিকই জিতে যাবে
তুমি সেদিন দেখে নিও
মানুষ মানুষের জন্য মিছিলে যাবে
তীব্র রোদ্দুরে ময়দানে হাঁটবে, যুদ্ধে যাবে
রাস্তায় নামবে মঙ্গল প্রার্থনা শেষে
সকালের বিশ্বাস বুকে নিয়ে গড়ে তুলবে
সম্পর্কের নতুন শিল্প।
মানুষ জিতে যাবে একদিন
তন্দুরে যেমন আগুন জ্বলে
পবিত্র পাপকে পুড়িয়ে মানুষও একদিন জেগে উঠবে
চোখের প্রার্থনা শেষে
লিজ একটু ছুুঁয়ে দিযে যা না
শুধু তুই ছুঁয়ে দিলে নদী হয়ে যাই
ভিজিয়ে দিলে এক সমুদ্র
আমার ঠিকানা ছাতিমগাছ
মুখোমুখি বসে থাকা শালিক।
হাওয়ার টঙ্কার এক শরীরী ভাষা
এইযে দেহতত্ব – বিনির্মাণ
রোজ রোজ তবু ছুঁয়ে দেয়
সহস্র হাত।
অন্ধকারে রাতের বেদনা বাড়ে
ভাঙ্গছে মোমঘর
ছিঁড়ছে বেদনার এপিটাফ
জীবনের প্রাসঙ্গিকতা কোথায়?
শুধু তুই ছুঁয়ে দিলে
পা
ঘর থেকে বের হলেই পা গুলো হয়ে ওঠে
বাস, ট্রেন, রিক্সা ক্ষেত্রবিশেষে আকাশ যান
প্রণামের যোগ্য পা গুলো ছুটছে বিরামহীন
ঘর থেকে মাঠ, মাঠ থেকে বাজার
রাজধানী শহর, গলি-ঘুপচি ঘর সবখানে
বিষাদ দৃষ্টি আর সমূহ বেদনা নিয়ে অভিশপ্ত গোটা আয়ুষ্কাল
পূর্ব – পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ মৃত্যুকে শিয়রে রেখে
পা গুলো
তারপর কেটে গেছে অনেকদিন। কিন্তু ব্যস্ততার হাত থেকে আমি এখনো রক্ষা পাইনি। কি বাসায়, কি অফিসে শুধুই ব্যস্ততা। এমন ব্যস্ত খুব কমই ছিলাম। অথচ এই আমাকে দেখে কে বলবে, অজপাড়া গাঁয়ের এই ছেলেটি, যার কিনা নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা ছিল এককালে সে
অপত্য
কিছু না বলে পাশ ফিরে চলে যাওয়া
এইযে শ্রান্তির উৎস – সেটাই বা কম কিসে
ভাতঘুমটা ভেঙ্গে গেলে জেগে উঠি পাখির মতো
দাড়ি থেকে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে কমা’য় এসে থামছি
ফুসফুস বিবর্জিত বাতাস – অসময়ে ডাকে
যার হয় নাভি বেদনা – তিনি সয়ে যান সব
মাত্রাতিরিক্ত শব্দশিশি – মুঠোবদ্ধ হাত
চোখের সামনে
উর্বশী চাঁদের হাট
পরম বিশ্বাসী বন্ধু আমার, হারিয়ে যাওয়ার আগে বিশ্বাস ভেঙ্গে দিয়ে যেও। উপেক্ষিত প্রণয়ের দিনে স্বাক্ষী থাকুক ভেজা মন, নষ্ট বুকখানি। তুমি তো চলেই গেছ, বিপন্ন ধারাপাতে জটিল হয়েছে যে জীবন সেতো আমার নয়। সন্তর্পণ আর্তনাদ করে উড়ে যায় যে পাখি তাঁর কাছে
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩১৫ বার দেখা
| ১২২ শব্দ
খুলে রাখো খোয়াড়ের দুয়ার
আমরা খবর পাই হাওয়ার কাছ থেকে
পুরাতন রীতি ভেঙ্গে কেউ কেউ জেগে ওঠে
বিষণ্ন সংসারের রূহ ধরে কেউ একজন দিচ্ছে টান
এইযে তৃণভূমিতে – আমাদের বাস – বিস্তৃত অঙ্গনে হেঁটে চলা
তার সবটুকু নয় আশার ছলনা
অস্ফুট স্বরে যারা দিচ্ছে ডাক সময়ের
সবাই জানে আমাদের যেদিকে গমন
মানুষের খোঁজে
শহরে ঢুকলেই আগে মানুষ দেখি
লম্বাটে – গোল রং বেরংয়ের মুখ
চোখ! হাজারও প্রশ্ন করে, চোখে চোখ রাখলে কথা হয়
এক একটা মানুষ যেনো নিজের কাছে রাজহাঁস
শহরে ঢুকলেই নাপিতের আয়নায় নিজেকে দেখে নিই
অভিজাত এলাকায় সুপার সেলুন বলে কথা!
নগর ক্যানভাস – ভাসে হাজার মানুষের ছবি
নতজানু মেঘের ছায়ায়
আজকের শব্দনীড় আড্ডা স্থগিত প্রসঙ্গে
খুব ইচ্ছে ছিল সবার সাথে দেখা হবে, কথা হবে। প্রিয় মানুষগুলোর সঙ্গে দেখা নেই অনেক দিন ধরে। বাদাম খাবো, আর আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে চলবে চা। আমরা এমনটাই ভাবছিলাম।
কিন্তু মানুষ যা ভাবে মাঝেমধ্যে তার উল্টাটা ঘটে। তাই অত্যন্ত দুঃখের
আড্ডা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৫৪৪ বার দেখা
| ১০৬ শব্দ
কালবেলা
সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত
কেউ একজন চিৎকার করছে
অধিকার!
অনাদায়ে মরতে রাজি
গলছে
পৃথিবীর দক্ষিণতম বিন্দু
আমন্ত্রণের কোন চিঠি পাইনি!
আপনাদেরকে স্বাগতম।
আমাদের নতুন শহর
ফুরিয়ে গেছে ধানশালিকের দিন।
নির্বাসন
নির্বাসনের এমন দিনে
মানুষের হাটে কেনাবেচা চলে মানুষের
একান্ত নির্জনে নিজস্ব করতল ভরবে বলে
আপন শস্য ক্ষেতে হাত পেতে বসে থাকে চাষী
নিত্যকালে আদর ভুলে নদীর বুকে পা তুলে দিয়েছিল যারা
তারা এখন বেভুলো বিপদগামী।
সব নারীসঙ্গ যাচ্ছে ছেড়ে বহুগামী নদী
অথচ অন্ধ ডুবুরি মতো করে একদিন কেউ বলেছিল
অপেক্ষায় থেকো
সোনার শিকলে