জলকবুতরের গল্প
জলকবুতরের গল্প বলি তবে
জলের রেখায় আঁকা অদ্ভুত জীবন ছবি
মানুষের ভাগ্য বদল হয় কখন?
প্রশ্নটা তুলেছিল জনৈক যুবক যে কি না
ভাগ্যান্বেষণে ডুব দিয়েছিল জলে
জল – জীবন – জেলে
নদী – নারী – শাড়ি
বড় অদ্ভুত জীবনের সমীকরণ
পিপাসা কাতর মানুষ জানে
প্রিয়জনের হাতের পানি মগ = নতুন জীবন
চাঁদের
কৃষক
ঘামগন্ধ নিয়ে যিনি এইমাত্র সিজদায় গেলেন
তিনি জন্ম কারিগর – ধ্যানী কৃষক
মৃত্তিকার সাথে যার নিত্য বসবাস
তিনি সবার মুখে অন্ন তুলে দেন
আমাদের সবার প্রিয় হবার যোগ্যতা রাখলেও
বছরের পর বছর শুধু শস্যদানাই উৎপাদন করছেন
অথচ এইসব সন্তান নিয়ে তার বিন্দুমাত্র অহঙ্কার নেই।
পূণ্যস্নানের পর
এ বড় কষ্ট কথা, হরিৎ প্রান্তরে ডঙ্কা বেজে উঠলে
বেড়ে যায় আমাদের চোখের বিস্ময়
চক্রাঘাতে যার মৃত্যু হল সেই করলো মুক্তিলাভ
আঙুলের প্রান্ত দিয়ে দু’এক ফোঁটা রক্ত ঝরলে
আমরা অসহায় প্রার্থনা করি ঈশ্বরের নিকট।
নড়ে উঠলে হাওয়ার কল আমাদের আত্মতুষ্টি জাগে
যে নদীর কোন নাম নেই তার তীরে
নিদারুণ অন্ধকার
তারপর আলো কেটে গেলে এইসব অন্ধকারের সাথে বসবাস
অন্ধকার মানে রাগের লহরী
অন্ধকার মানে কবর জগৎ
অন্ধকার মানে ক্ষীণ আর্তনাদ
অন্ধকার মানে রোমাঞ্চে ভরপুর শরীর
সুখ! সুখের সাথে চলে জোড়াজুড়ি
শরীরের ভেতর ঢুকে যায় গুহা
শুধু পায়ের ছাপ থেকে যায়
ধূসর পৃথিবীতে কেউ কেউ একা থাকে
জলছাপ রেখে যায় নিদারুণ বেলায়।
এই শীতে আপেলের সৌন্দর্য
শীতের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হলে আমরা খুঁজতে বের হই আপেলের সৌন্দর্য। জ্বর কিংবা শীত হাওয়ার পর কেমন যেন ঈর্ষা জাগে। বাতাসী মেয়েরা কেমন দাঁড়িয়ে থাকে শীতের ওড়না ধরে। কিন্তু কে না জানে শীতের সমস্ত সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে নগ্নতার ভেতর। গার্হস্থ্য দিনে
হাভাত
পাকস্থলী বরাবর বেড়ে উঠছে ক্ষুধা
আর তুমি আঁকছো নিরন্ন মানুষের ছবি
আমাকেই দেখ না? প্রতিনিয়ত দগ্ধ হচ্ছি
উত্তর থেকে দক্ষিণে যাও, এশিয়া থেকে আফ্রিকা
দৈন্যদশা মানুষের চিৎকার, শিশুর পেটে বড় ক্ষুধা
সম্মিলিত অন্ধকারে সঙ্কুচিত জীবন রেখা
হাভাতে মুখগুলো দাঁড়িয়ে আছে দুয়ারে
ওহে আমেরিকা, ওহে ফ্রান্স ইউরোপ
তোমাদের এই অস্থির চাওয়াগুলো
এইসব হাভাতে মানুষের
পথ
একটি কালো চোখ আমাকে ডেকে নিয়ে সহস্র বছর পিছনে
শৈশব যেনো বিদেহী আত্মার মতো খামচে ধরেছে
যে দিকে যাত্রা করা যায় সে দিকেই মরুভূমি
এমন কতো হা হুতাশের দিন গেছে চলে
আমি পড়ে আছি অবেলায়
হাত দুটো ধরো সই
একসাথে পাড়ি দেই সহস্র মাইল পথ
আনাড়ি জীবন যার সেতো বুঝবে না
পিঁপড়াদের হায়াৎ দারাজ হোক
সবাই বোঝে না এমন ভাষা। আমরা যাকে স্বরণ করি তার নাম যদি মৃত্যু হয়
তবে আমাদের যাত্রা শুরু হোক আলোর দিকে।
বস্তুতঃ
আমরা
সহজে
কিছুই
ভুলি না।
আকাশের দৈর্ঘ্য আর প্রস্থ মাপতে চাওয়াটা নেহাত বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়
নটরাজের অভিনয় দেখতে দেখতে আমরা ক্লান্ত।
দৃশ্যপট
পাল্টে
গেলে
চোখের সামনে যা দেখি তার
শীত
শুধু শীত আসলেই এমন নিদ্রাহীন বসে থাকা
থমথমে কৃষ্ণপক্ষের রাত
অশরীরী আত্মারা ডাক দিয়ে যায় সময় গণনার
অথচ ঋতু বদলের এই সময়ে সবচেয়ে ভালো থাকার কথা ছিল তার
কথা ছিল এইবার শীতে একটা উষ্ণ কাঁথা পেলে
জড়িয়ে ধরবে সব দুঃখ গাঁথা।
একটা ঘুম!
এক মরণঘুমে পাড় হয়ে যাবে শীতশহর
জান্নাত – জাহান্নাম
তারপর
প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
দুয়ার খুলে দাঁড়িয়ে আছে মৃত্যু
ঘৃণার আগুনে পুড়ে যাচ্ছে মাংসকষা চাহিদা
রুচির হাটের কসম!
জরায়ু ছিঁড়ে যে বৃষ্টি নামে তার নাম দিয়েছি
সৃষ্টিশীল মা
তীব্র বেদনায় ঝরে গেছে কামনার ফুল
আমার দ্বিধাহীন ভালো লাগার রমণী
জীবনদাবি নিয়ে আজ যে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে
তাকে কি বলে বিদায় দেবে তুমি?
দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে
মাটির রূপ
অদ্ভুত এক পৃথিবীর নকশা আঁকছি
মানুষের বদলে এখানে ঘুমিয়ে পড়ে পুতুল
রাত্রিকালীন সরাইখানায় আড্ডা জমে বেশ
কে খেলো পাখিমাংস, সুস্বাদু হরিণ
কিছু অভিশাপ পড়ে থাকে মরা নদীর বুকে
টেরাকোটায় আটকে থাকে মানুষের বিশ্বাস
যাদের জন্ম হয়েছিল মনখারাপের উপত্যকায়
তারা এখন শুনিয়ে যায় ক্ষুধার্ত দুপুরের গান
রঙিন মোড়কে বেঁধে রেখেছি মাটির সংসার
প্রতি
টুকে রাখা সময়
সব টুকে রাখছি
এইযে রঙিন আয়নায় দেখা মুখ ও মুখোশ
ধূসর পরিচ্ছেদে আঁকা ছেঁড়া সময়
পাটের দড়িতে বাঁধা জীনতত্ত্ব
লাইভ প্রচার পাচ্ছে সব
আমাদের লাইভটাইম কমে গেলেও
কে যেনো গুণে রাখছে প্রতিটা মাথা
যোগের ব্যায়ামে ভুল হয়ে গেলে
এক শূন্যে ভাসে পৃথিবীর ছায়া
টুকে রাখছি
সময় সপ্তাহ বছর
ফিরে আসছে আমার পিতামহের আমল।