মহাশয় আমার ছদ্মনাম। আমি ভারতীয়। ছদ্মনাম নেওয়ার পেছনে কারণ দ্বিধাহীনভাবে যা ইচ্ছা লিখতে পারার সুবিধা। অনেক সময় আসল পরিচয়ে স্বাধীনভাবে লেখা যায় না।
আমি জীবনানন্দ দাসের মতো মনে করি না কেউ কেউ কবি। আমি মনে করি সবাই কবি। প্রতিটা মানুষ প্রেমে-বিরহে, সুখে-দুখে, বিপদে-দুশ্চিন্তায় যখন আবেগী হয় তখন হৃদয়ে কবিতা নেমে আসে। তখন চাইলেই যে কেউ কবিতা লিখে ফেলতে পারে। শিক্ষার বা জ্ঞানের কারণে অনেকের কবিতায় আকর্ষণীয় শব্দ বা বাক্য থাকে না। তবে সেই সময় তারা যা লিখে তা অবশ্যই কবিতা।
কথা কও প্রজাপতি, কখনো কি তুমি
দেখেছো মোর প্রিয়তমার সুন্দর মুখখানি।
কখনো কি উড়ে গিয়ে, বসেছ তাঁর খোঁপায়
দেখেছো কি চুলের বাহার, আছে কেমন মাথায়।
দেখছো কি তাঁর চোখে হাজার কবিতার কাব্য
চোখ দিয়ে আবৃত্তি করার, কার আছে সাধ্য !
কখনো কি ছুঁয়েছিলে তাঁর হাতের
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৫৪ বার দেখা
| ১০৪ শব্দ ১টি ছবি
(১)
কারো কোন দোষ নেই
নেই কোন ভুল,
অসময়ে কাছে আসার
দিতে হচ্ছে মাশুল।
(২)
পাখিরা নিজেদের নীড়ে ফিরে যায়
নদীগুলো মিলিত হয় মোহনায়,
আমি একযুগ ধরে অপেক্ষা করছি
তোমার সাথে মিলিত হওয়ার নেশায়।
(৩)
এক সমুদ্র ভালোবাসা নিয়ে
অপেক্ষায় ক্লান্ত মন,
সুখের দেখা মিলবে সেদিন
তুমি আসবে যখন!
(৪)
হাত নিশপিশ করে চাঁদ ছুঁতে
সে তো অনেক
আমি তোমাকে ঠিক সেভাবে চাই
যেভাবে একটা শিশু চায় খেলনা।
আমি তোমাকে সেভাবে ভালোবাসি
যেভাবে মানুষ ভালোবাসে জীবনকে।
আমি তোমাকে সেভাবে ছুঁতে চাই
যেভাবে সবাই ছুঁতে চায় চাঁদকে।
আমি তোমাকে সেভাবে কাছে চাই
যেভাবে কাছে চায় মরুভূমি বৃষ্টিকে।
তোমাতে সেভাবে মিশে যেতে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩৯৮ বার দেখা
| ৫৯ শব্দ ১টি ছবি
একদিন কফি শপে দেখা করো
যে কথা কখনও বলা হয়নি তোমায়
যে কথা দু ঠোঁটের মাঝে চাপা পড়ে আছে
সব দু চোখ দিয়ে বলবো। তুমিও চোখ দিয়ে শুনবে।
যে ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা দুনিয়া
তার চেয়েও বেশি সুগন্ধি মেখে
কেন তুমি দরজায় দাও আওয়াজ?
কেন তুমি তোমার রূপ লাবণ্যের বাহার দিয়ে
ঘায়েল করো
যার কারণে লেখালিখির হাতে খড়ি
লাগাম ছাড়া আমার ভালোবাসার ঘুড়ি
যাকে পাওয়ার জন্য নিজের সাথে লড়ি
সে যেন আকাশ থেকে নেমে আসা পরী
তার খুব দরকার।
যার কারণে আকাশ হয়েছে রক্তিম নীল
যার শরীর জুড়ে খুঁজে বেড়াতে চাই তিল
যার সাথে আমার মনের অনেক মিল
যার জন্য
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৯৩৮ বার দেখা
| ৯০ শব্দ ১টি ছবি
আমার ভালোবাসা গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে-
তৈরি হোক নদী। যেমন ঝর্ণা থেকে নদী হয়।
সেই নদী হবে ভালোবাসার নদী।
তোমার বাড়ির উঠোনের সামনে দিয়ে বয়ে চলবে।
সারাদিনের কাজের ফাঁকে যতবারই তোমার চোখ
জানলা গলিয়ে দূরে দিগন্তে যাবে
ভালোবাসার নদী কাছে টানবে তোমায়।
রোজ বিকেলে পায়চারি করতে যাবে
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৭১ বার দেখা
| ৯৪ শব্দ ১টি ছবি
কিছু স্বপ্ন মনের ভেতর গুমোট বেঁধে আছে –
শহর থেকে একটু দূরের সেই নদীটার পারে দাঁড়িয়ে
তোমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকবো।
নৌকা দিয়ে নদীর ওই পারে যাওয়ার সময়
যখন নৌকার দুলুনিতে তুমি ভয় পাবে, তখন-
তোমার হাতটা ধরে বলবো ‘ভালোবাসি তোমাকে।’
বাড়ির উঠোনে
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১৩৩৭ বার দেখা
| ১৩৫ শব্দ ১টি ছবি
আমার স্বপ্নে রোজ একটা মেয়ে আসে
মধ্য রাতে স্বপ্নে এসে ঘুম ভাঙিয়ে দেয়
তারপর বাকি রাত শুধু তার কথা ভেবেই কাটে।
লাল শাড়ি পরা মেয়ে, বউয়ের সাজে দাঁড়িয়ে থাকে
খুব পরিচিত মনে হয়, কিন্তু চিনতে পারি না
তার চোখে অদ্ভুত চাহনি।
কাজল, লিপিস্টিক, টিপ, গহনা
সব কিছু দিয়ে সুন্দর করে সেজেছে।
আমাকে
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হলে নাকি কবিতার জন্ম হয়
আমি সারারাত তোমায় ভেবে বালিশ ধরে কাঁদি
গাল বেয়ে ভালোবাসা গড়িয়ে পড়ে
বুক চেপে ধরে অজানা কোন ভয়ে
তবুও কবিতারা আসে না
নীড় ছেড়ে পাখিরা পরিযায়ী হয়ে উড়ে। নীল দিগন্তে
ছুটে চলে অজানা দেশে, অজানা পথে, বহুদূরে
বছর খানেক পর ফিরে আসে সবাই
পুরোনো
প্রচণ্ড গরমের বিরক্তিকর দুপুরে
প্রাণ যখন হাঁসফাঁস করে
তখন হঠাৎ স্নিগ্ধ বাতাসের আগমন হলে
মনে হয় তুমিই এলে।
খরায় যখন মাটি ফেটে চৌচির
ফসল মারা যাচ্ছে জলের অভাবে
তখন হঠাৎ ঝুম ঝুম বৃষ্টি হলে
মনে হয় তুমিই এলে।
ঘুটঘুটে অন্ধকার রাতে
চাঁদ যখন মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকে
হঠাৎ পৃথিবীর পানে
কবিতা|
৩ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১০২০ বার দেখা
| ৭০ শব্দ ১টি ছবি
মহাশয়:
তুই যে আমার ভালোবাসা
আমার স্বপ্ন আশা,
তুই যে আমার পূর্ণিমার চাঁদ
শীতের প্রিয় কুয়াশা।
তুই যে আমার হাতের ঘড়ি
সব সময়ের সঙ্গী
তুই যে আমার শার্টের বোতাম
জড়িয়ে আছিস অঙ্গাঙ্গী।
ম্যাডাম:
তুই যে আমার মেঘ বৃষ্টি
দুঃখ করিস দূর,
তুই যে আমার রাতের ঘুম
আমার গানের সুর।
তুই যে আমার নাকছাবি
আমার কানের
কবিতা|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৫৬ বার দেখা
| ১২৯ শব্দ ১টি ছবি
আমার কাঁধে জাঁকিয়ে বসা অভিমানগুলো
তোমার বুকের কষ্টের হিসেব জানে না,
কালক্যুলেটর আবেগ না বুঝলেও
হিসেব বোঝে আমি হিসেব বুঝি না।
বিকেল বেলায় ফিরতি পশুর দলও
রঙিন আলো মেখে ঘরে ফিরে
শুধু তুমি আমি অজানা কোন কারণে
বসন্তের ফুলের সুবাসে মাতি না।
রাত নামবার পর
কষ্টগুলো মাথা চাড়া দেয়
সুখের
কবিতা|
৮ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১৩৬ বার দেখা
| ১০১ শব্দ ১টি ছবি
কী করে চাঁদ ডুবে সুর্য উঠে যায়
তোমায় ভেবে ঘুমাতে না পেরে সকাল হয়ে যায়
কাঁপতে থাকে ঠোট ছলোছলা দু নয়ন
আবেগে ভেসে যায় ভালোবাসার পিপাসিত মন
তা কেউ না জানলেও, আমি জানি।
সময়ের সাথে বদলে যেতে থাকে সুর্যের তাপ
দুপুরের উত্তপ্ত রৌদ হয় বিকেলের মিষ্টি রৌদ্দুর
কী করে ভাবলেশহীন চোখ