মামুনুর রশিদ-এর ব্লগ
এলোকেশী
এলোকেশী
তখন তার এলোচুল বাতাসকে করছে শাসন
এমন মেঘলা দিনে ভিজতে ইচ্ছে করে ভীষণ
সুবাসে তার মাতাল চারপাশ যখনতখন
এমন নেশায় কতবার হয়েছে ইচ্ছে মরণ
চাতকের মতো চেয়ে থাকি, হয় যদি বর্ষণ
বাড়ছে তৃষ্ণা যত দেখি ঢেউয়ের আন্দোলন। ধূসর এ আঙিনা তার পরশ পেয়েছে যখন
এই পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৮ বার দেখা | ৯৪ শব্দ ১টি ছবি
গোলাপি চাঁদ
গোলাপি চাঁদ
ডাকছে গোলাপি চাঁদ
এই নির্ঘুম আধোরাত
জানি না তো অনুবাদ
ভাঙছে জোয়ারে বাঁধ। এই হাওয়া মৃদুমন্দ
আঁকাবাঁকা জলতরঙ্গ
মনে হয় অতীন্দ্রিয়
শোনায় কত যে গল্প। সরিয়ে মেঘের পালক
উঁকি দেয় দুরন্ত চোখ
জানি না কোন শ্লোক
তাকিয়ে থাকি অপলক। বাতাসে ফুলের গন্ধ
আবার এসেছে বসন্ত
ভাসছে জলে প্রতিবিম্ব
ছুঁতে গেলে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৩ বার দেখা | ৩৭ শব্দ ১টি ছবি
এই অনল
এই অনল
যত দেখি বাড়ে তৃষ্ণা
নদীর তো নেই কোন সীমানা
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভাসবো বলে
ঝাঁপ দিয়েছি গহিন জলে। বসন্তে সেজেছে কার আঙিনা
ফুলের গন্ধে আর ঘুম আসে না
জোস্নার সাথে রাত জাগবো বলে
পথহারা হয়েছি তার কবলে। জলপরী যখন মেঘকন্যা
উড়ে যেতে তার নেই তো মানা
বৃষ্টিতে একদিন ভিজবো বলে
আটকে পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১১ বার দেখা | ৫৬ শব্দ ১টি ছবি
নিভৃতচারী
নিভৃতচারী
জানি না কে সে
চুপিচুপি আসে পাশে
টের পাই ফুসফুসে
সুবাস ছড়ায় বাতাসে। বলে না কোন কথা
পুষে রাখে মৌনতা
তবু এই নীরবতা
মনে হয় গভীরতা। জানি নিভৃতচারী
করে তবু মনচুরি
জানি না নিশাচরী
কেন এই লুকোচুরি? তৃষ্ণা মিটবে কিসে
একবার যদি হাসে
ঝরনার জলে ভেসে
নদী হবে অনায়াসে। জানি না কে সে
এভাবে কেন পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০৫ বার দেখা | ৪৪ শব্দ ১টি ছবি
জলের নিনাদ
জলের শব্দ শোনা যায়; যতবার বৈঠা ওঠানামা করে। হেলেদুলে যাচ্ছে নৌকা ঢেউ ভেঙে ভেঙে। এসব ছন্দের মানে ক’জন জানে! এই যে জলের ফোঁটা, আর ওই তো সোনালি রোদ। তৃষ্ণা কি একেই বলে! নাকি শুধু খেলা। চঞ্চলা মেঘের সেই সাজ। হতে চায় সে বৃষ্টিতে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৯ বার দেখা | ৮৯ শব্দ
প্রেমটেম
নদীর দিকে তাকালে টের পাওয়া যায় সব নিমিষে। তবু ভনিতা করছে নদী নিখুঁতভাবে। এবেলা ছিলো তৃষ্ণা। ওবেলা প্রচন্ড ক্ষুধা। তারপর মুক্ত হতে চাওয়া পাখির মতো। খড়কুটো মুখে এ ডালে- ও ডালে ওড়াউড়ি। কোন নীড় থাকে না অক্ষত। এতো ঝড়বৃষ্টি! বসন্ত এখনো নাকি রয়েছে পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০৬ বার দেখা | ৮৪ শব্দ
বৃষ্টির দিন
বৃষ্টির দিন মন কেমন করে। ঘুমঘুম পায়। যদি ঘুম ভাঙে এমন দিনে, বৃষ্টির শব্দ শিহরণ জাগায়। মনে হয় মায়াবী সুরে কেউ পিয়ানো বাজায়! উঁকি দিলে আধখোলা জানলায়, দেখা যায় পদ্ম টলমল। অদূরে ঘাসের জমি ভিজে জবজব। কাঁপছে বন্দী গোলাপ বারান্দায় টবে। শামুক হাঁটতে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৫ বার দেখা | ৭৮ শব্দ
নির্জীবতা
দরজার নিচ দিয়ে ঢুকছে হাওয়া। এবার শীতকাল দীর্ঘ হচ্ছে মনে হয়। হোক। তাতে কার কি! পাতাঝরা দিনে ভালো হয় পাতার উৎসব। যদি থাকে মুঠোভরতি সাদা হাওয়া। পুড়িয়ে দেয়া যাবে নিশ্চিন্তে এ শব। যেভাবে উড়িয়ে নিচ্ছে স্বপ্নগাঁথা। আবার ছুড়ে ফেলছে অদ্ভুত বাস্তব। তবু কুয়াশা পড়ুন
কবিতা | ৫ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০০ বার দেখা | ৭৩ শব্দ
আষাঢ়
ব্যাঙের ডাক শুনতে হলে যেতে হবে পঁচা ডোবায়। ফেলে যেতে হবে চকচকে শহর-বন্দর পেছনে। ভয় হয়! ব্যাঙদের ডাক বড় সাংঘাতিক আষাঢ়-শ্রাবণে। বৃষ্টি আসবেই তাদের সে কোরাসে। প্রবল বর্ষণে জমে যাবে জল। স্যাঁতসেঁতে হবে পরিপাটি ঘর। বৃষ্টিতে ভিজলে হতে পারে জ্বর। ভয় হয়! মনে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৯ বার দেখা | ৭৪ শব্দ
অস্তিত্ব
‘বাস্তবতা বড় কঠিন’ আর পাঁচজনের সাথে চলতে গেলে
যে ধীরে চলে সে তাল মেলাতে পারে না; পেছনে থেকে যায়
তার ছায়া ক্রমশ গন্তব্য থেকে বহুদূর যে দ্রুত চলে সে হোঁচট খায়
তার চোখ ধূসর, একই স্বপ্ন দেখেছিল পাঁচজন।
শীতে শুকিয়ে যায় নদী; ভয় হয় পাতা ঝরা বৃক্ষ পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯৬ বার দেখা | ১২৭ শব্দ