তখন তার এলোচুল বাতাসকে করছে শাসন
এমন মেঘলা দিনে ভিজতে ইচ্ছে করে ভীষণ
সুবাসে তার মাতাল চারপাশ যখনতখন
এমন নেশায় কতবার হয়েছে ইচ্ছে মরণ
চাতকের মতো চেয়ে থাকি, হয় যদি বর্ষণ
বাড়ছে তৃষ্ণা যত দেখি ঢেউয়ের আন্দোলন।
ধূসর এ আঙিনা তার পরশ পেয়েছে যখন
এই
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৬৮ বার দেখা
| ৯৪ শব্দ ১টি ছবি
যত দেখি বাড়ে তৃষ্ণা
নদীর তো নেই কোন সীমানা
ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভাসবো বলে
ঝাঁপ দিয়েছি গহিন জলে।
বসন্তে সেজেছে কার আঙিনা
ফুলের গন্ধে আর ঘুম আসে না
জোস্নার সাথে রাত জাগবো বলে
পথহারা হয়েছি তার কবলে।
জলপরী যখন মেঘকন্যা
উড়ে যেতে তার নেই তো মানা
বৃষ্টিতে একদিন ভিজবো বলে
আটকে
কবিতা|
৪ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১১১ বার দেখা
| ৫৬ শব্দ ১টি ছবি
জানি না কে সে
চুপিচুপি আসে পাশে
টের পাই ফুসফুসে
সুবাস ছড়ায় বাতাসে।
বলে না কোন কথা
পুষে রাখে মৌনতা
তবু এই নীরবতা
মনে হয় গভীরতা।
জানি নিভৃতচারী
করে তবু মনচুরি
জানি না নিশাচরী
কেন এই লুকোচুরি?
তৃষ্ণা মিটবে কিসে
একবার যদি হাসে
ঝরনার জলে ভেসে
নদী হবে অনায়াসে।
জানি না কে সে
এভাবে কেন
কবিতা|
৬ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
১০৫ বার দেখা
| ৪৪ শব্দ ১টি ছবি
জলের শব্দ শোনা যায়; যতবার বৈঠা ওঠানামা করে। হেলেদুলে যাচ্ছে নৌকা ঢেউ ভেঙে ভেঙে। এসব ছন্দের মানে ক’জন জানে! এই যে জলের ফোঁটা, আর ওই তো সোনালি রোদ। তৃষ্ণা কি একেই বলে! নাকি শুধু খেলা। চঞ্চলা মেঘের সেই সাজ। হতে চায় সে বৃষ্টিতে
নদীর দিকে তাকালে টের পাওয়া যায় সব নিমিষে। তবু ভনিতা করছে নদী নিখুঁতভাবে। এবেলা ছিলো তৃষ্ণা। ওবেলা প্রচন্ড ক্ষুধা। তারপর মুক্ত হতে চাওয়া পাখির মতো। খড়কুটো মুখে এ ডালে- ও ডালে ওড়াউড়ি। কোন নীড় থাকে না অক্ষত। এতো ঝড়বৃষ্টি! বসন্ত এখনো নাকি রয়েছে
ব্যাঙের ডাক শুনতে হলে যেতে হবে পঁচা ডোবায়। ফেলে যেতে হবে চকচকে শহর-বন্দর পেছনে। ভয় হয়! ব্যাঙদের ডাক বড় সাংঘাতিক আষাঢ়-শ্রাবণে। বৃষ্টি আসবেই তাদের সে কোরাসে। প্রবল বর্ষণে জমে যাবে জল। স্যাঁতসেঁতে হবে পরিপাটি ঘর। বৃষ্টিতে ভিজলে হতে পারে জ্বর। ভয় হয়! মনে
‘বাস্তবতা বড় কঠিন’ আর পাঁচজনের সাথে চলতে গেলে
যে ধীরে চলে সে তাল মেলাতে পারে না; পেছনে থেকে যায়
তার ছায়া ক্রমশ গন্তব্য থেকে বহুদূর যে দ্রুত চলে সে হোঁচট খায়
তার চোখ ধূসর, একই স্বপ্ন দেখেছিল পাঁচজন।
শীতে শুকিয়ে যায় নদী; ভয় হয় পাতা ঝরা বৃক্ষ