জসীম উদ্দীন মুহম্মদ-এর ব্লগ
মায়ের কাছে ছেলের খোলা চিঠি
মায়ের কাছে ছেলের খোলা চিঠি
মাগো,
সালাম নিও। খুব জানতে করে তুমি কেমন আছ? কতদিন গেছে, কত রাত যাচ্ছে একের পর এক সূর্য পূব আকাশে উঠছে আর পশ্চিম আকাশে অস্ত যাচ্ছে। এ বিশ্বচরাচরের সবকিছু কোনো না কোনোভাবে চলছে চলে যাচ্ছে। কোনোকিছুই থেমে থাকছে না, পড়ুন
জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৯৩ বার দেখা | ৩৭১ শব্দ ১টি ছবি
দ্রাবিড় জীবন
এখন দিন কেমন বদলে গেছে, পোকা-মাকড়ের
ঘর বিলাস; একটা চিকেন গ্রিল ধরে সারাদিন সাড়া
গেছে, মধ্যবর্তী বধ্যভুমি তবুও ফিরে পেয়েছে
কিছু উন্মাদ বৃষ্টি, হয়ত সেও বড়ো কম কথা নয়;
কিছুক্ষণের জন্য হলেও ফিরে পেয়েছিলো দ্রাবিড়
জীবন; মনে মনে আজন্ম নিঃস্ব এই আমিও এখন
নির্বিকার চেয়ে দেখি পোড়ামাটির ক্যালিওগ্রাফি! এমনি করেই বেশ পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১২৮ বার দেখা | ৭৬ শব্দ
অনাগত বসন্তের হাট
একদিন পথ যেখানেই পেতে দেবে নোঙর
সেখানেই আমার ঠিকানা, অতঃপর সেখান
থেকেই আবার শুরু হবে নতুন স্বপ্ন বোনা;
জালি লাউয়ের মাচা বেয়ে একদিন অংকুর
হবে ময়না, টিয়া; বসবে ফুল ও ফসলের
বাসর; রচিত হবে মেদহীন নতুন সভ্যতার
ছায়াপথ, পাখির কাকলিতে মুখরিত হবে
উজান গাঁয়ের মেঠোপথ, সবুজের রোদে
মাখামাখি হবে কবিতার মাঠ, পথ-ঘাট পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৬৪ বার দেখা | ৮৭ শব্দ
একজন ঋণগ্রস্ত কবির কথা
একজন আজন্ম ঋণগ্রস্ত অসহায় কবির কথা বলি
তাঁর ছেঁড়া পকেটের ভাংগা পকেট ঘড়িটার কথা বলি
যে কবি জন্মের কাছে চিরঋণী তাঁর কথা বলি
যে কবি সুবেহ সাদিকের কাছে ঋণী, তাঁব কথা বলি! যে কবি মেঠোপথে নতোমুখে বিকারহীন হাঁটেন
পিপঁড়ের মতোন নিরবে- নিঃশব্দে হাঁটতেই থাকেন
হাঁটতে হাঁটতে মাটির সোঁদাগন্ধ গায়ে মাখেন
আমি পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৬০ বার দেখা | ১১৬ শব্দ
নির্বাসিত কবির নির্বাচিত কবিতা
যখন মেঘের কান টেনে বৃষ্টি নামিয়ে আনে মঙ্গার
পোড়া কপাল, তখন উত্তরে বাতাস কেউকেটা হয়
আরশ্রাবণের জল মিছেমিছি চলে যায় বানপ্রস্থ,
কবি তখন কলম মুখে রাংসার বুকের দিকে তাকিয়ে
সে বুকে আজ আর কোনো আব্রু নেইকেবল
মুখরা রমণীর মতোন ঝাঁঝালো নিঃশ্বাস আছে! অথচ একদিন পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৯৫ বার দেখা | ১৫০ শব্দ
এপার-ওপার
আজকাল ভাবনাদের সিংহভাগই প্রতিবন্ধী
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে আসে, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলেও যায়!
অথর্ব জলের মতো আমি কেবল তাকিয়ে থাকি
দেখি একবার আসা আর একবার যাওয়া
অথচ একদিন ভেবেছিলাম সবকিছু ভেঙেচুরে
হবেই হবে হতেই হবে হাতের দশ আঙুল পাওয়া! খেলা তো কম হয়নি, বেলাও পেকেছে অঢেল
হিসাবের খাতাটা খুলে দেখি এখনও পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৫৬ বার দেখা | ৯৬ শব্দ
ঈদ আনন্দ
যদিও করোনাকাল, তবুও থামবেনা কোনোকিছু
রোজকার মতোন সূর্য হাসবে, চাঁদও নেবে পিছু
কালের ছায়ায় ছাওয়া মেপল পাতারাও হবে খুশি
গুটিগুটি পায়ে আমরাও যাবো ঈদগাহে বলবো
ত্যাগ, তিতিক্ষা আর সাম্য খুব খুব ভালোবাসি! দ্রাবিড় জীবন আজও ভুলিনি, পরাজিত হবেই
এই করোনাকাল, মুক্ত জীবনে আবারও ফিরব
সাথী হবেই জারি, সারি, ভাটিয়াল!
বিলিয়ে দেবো ঈদ পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৯৪ বার দেখা | ৫৪ শব্দ
বাজারে তেল নাই
কবিতার কথা মনে হলেই বুকের ভেতর ধুঁক করে উঠে
বলা নেই, কওয়া নেই এমনি নিরুদ্দেশ হয় কেউ
তবুও জেগে থাকি জেগে থাকে অসম রাত্রির ঢেউ! সে আসবে বলেই কিনা জানি না পাস্তুরিত হয় অন্ধকার
সমস্ত রাজপথ জুড়ে শামুক হাঁটে
সমস্ত কানাগলিতে হাঁটে কচ্ছপ
কেবল বুঝতে পারি পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৪৬ বার দেখা | ১০১ শব্দ
আরশি মনির ঈদ
আরশি মনির ঈদ
আজ খুশিতে ফিঙে নাচে
নাচে রে বুলবুল
আরশি মনি ঈদে যাবে
চড়বে যে দুলদুল। একটি মাসের সাওম শেষে
করবে খুশির ঈদ
এই খুশিতে দু’চোখ থেকে
হারিয়ে গেলো নিদ। বাবুই দোয়েল ওরাও খুশি
করবে কোলাকুলি
আজকে যে আর নেই ভেদ
মুটে, মজুর, কুলি। আজকে সবাই গাইব গান
সাম্য, সাম্য বলি
কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে
সরল পথে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৫২ বার দেখা | ৪১ শব্দ ১টি ছবি
পালানোর কোনো পথ নাই
ভালোবাসার নামে আজকাল কোনো কিছুই আর নাজায়েজ নেই এই
যেমন তেমন কবিতা, গল্প, নাটক কিংবা নাটিকা
বিশ্বাস পাস্তুরিত হওয়ার আগেই মাটি পুড়ে যায়
পুড়ে যায় আকাশগঙ্গা
নক্ষত্ররাত চন্দ্রবিন্দুবৎ পাহাড়িকায় এসে কেঁদে
কুটে আগুন হয়
এরপর আর পালানোর কোনো পথ খুঁজে পায় না! পৃথিবীর সমস্ত দেনা নিমিষেই মাটি হয় অঙ্কুরোদগম
আহাজারি গুলো পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৩৮ বার দেখা | ১৩২ শব্দ
ইচ্ছেবমি
অতঃপর আমি আর কবিতার মায়াজালে বন্দি না
ভালোবাসার কবিতা, প্রেমের কবিতা, অভিমান
অথবা বিরহের নামতাকোনোটারই না! তবুও ওরা লোমশ বুকের ভেতর তোলপাড় করে
খটাখট শব্দের আচানক ঢেউ তুলে
পাহাড়ি ঝর্ণার মতোন নিয়ত কান্নার সুর তুলে
তবুও আমি আমার কবিতার কথা গিয়েছি ভুলে! অতঃপর
আমি আবার প্রাইমারি পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৪১ বার দেখা | ৮৪ শব্দ
তবু্ও জাগুক ধরা
আট মাস পর চলো একটা অচল কবিতা লিখি
বেড়িবাঁধ ভাঙা আগুন জলে যেভাবে
ডুবে মরেছে কৃষকের বৈশাখ যেভাবে ডুবতে
ডুবতে খেই হারিয়েছে লকলকে পুঁইশাক
চলো সেভাবেই কেটে দিই অশুভ কবিতার ঝাঁক! তবুও কেটে যাক এই মরার খরা
কালবৈশাখী হলে হোক তবুও জাগুক ধরা! শুদ্ধ শব্দে নিপাত যাক পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪১ বার দেখা | ৫৮ শব্দ
কালবোশেখী
কালবোশেখী
আমরা খুশি বোশেখ মাস
বাংলায় নববর্ষ
ছেলে-বুড়ো, খোকাখুকি
সবার একই হর্ষ। গ্রামে গ্রামে জমছে মেলা
বাউল গাইছে গান
একতারা আর দোতারাতে
প্রাণ যে পায় তান। বোশেখ এলে কালবোশেখী
ক্ষিপ্র বেগে আসে
গাছের ডালে পাখির বাসা
জীবন বুঝি নাশে। তাইতো ওরা কুঁকড়ে থাকে
মনে বড়ই ডর
ওদের মতোন ভয়ে পড়ুন
ছড়া ও পদ্য | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৬৬ বার দেখা | ৪২ শব্দ ১টি ছবি
গল্পের রুপালি রুপান্তর
হাঁটতে হাঁটতে যখন উড়তে থাকি তখন ভাবি
এ আর এমন কী? মশা ওড়ে, মাছি ওড়ে
পাখি ওড়ে, তেলাপোকা ওড়ে ওড়ে আরও
এমনি কতো কিছু ভুলে-বেভুলে যে নেয় কিংবা
যারা নেয় তিব্বতের রুপালি গল্পের পিছু !! আসলে জীবন কেবল দু’আঁটি পাটের বোঝা
সরল অংক কেবল নামেই, নয় পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২১৬ বার দেখা | ১২০ শব্দ
জলে জলাঞ্জলি
জলে জলাঞ্জলি
০১
বিকেলটা জলে দেব ঠিক করেই বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। কিন্তু এমনিভাবে জলাঞ্জলি হবে কোনোদিন ভাবিনি। ভাবতে পারিনি। আজকাল মাঝেমাঝেই ব্রহ্মপুত্র দেখতে যাই। যদিও সে এখন আর দেখার মতোন কেউ নেই। হাতি ছোট হতে হতে চামচিকা হলে যেমন কদাকার দেখায়; পড়ুন
গল্প | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৩৫ বার দেখা | ১৮৯২ শব্দ ১টি ছবি