আমার দুই চোখে একটাই কবোষ্ণ নদী আছে
ঝরনার মতোন চপল, শব্দের মতো চঞ্চল;
দীঘির শান্ত জল তাকে খুউব খুউব হিংসে করে
যখন কলকল শব্দের ঢেউ তোলে জলপুরুষ,
রাংতার কাজল হয় দোভাষী প্রেম! তখনও
আমি চেয়ে দেখি দু’পাড়ের খামাখা ভাঙন
আমি চেয়ে দেখি মাথার উপর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত
জানো, অনেক অনেক অনেকদিন পর দেখি
মনের ভেতর হঠাৎ দুরন্ত উল্কা ঝড়
চলন্ত সেতুটি দৈবাৎ ভেঙে গেলো
কে জানে না ভাঙা সম্পর্ক মানেই কবর!
সবাই জানে কতোদিন পর একটা জনশুমারি হলো
কেবল গণনা হল না কে মানুষ আর কে অমানুষ
গল্প, ছড়া, কবিতাওরাও আসলে কিছু নয়
কেবলই বেদনার বেদীতে
এমন রাত, যেখানে প্রতিটা স্বপ্নই অধরা থেকে যায়
মাকড়শার জালবন্দি পিলপিল জীবন কেবল কানাঘুষা
করে, দুঃস্বপ্নের ঘেরাটোপ থেকে কোনোভাবেই বেরুতে
পারি না, পুতুল নাচের মুদ্রাও ভুলে যাই; ভুলে যাই
কাগজে-কলমে চিত্রিত আটপৌরে রাতের তৃতীয় প্রহর!
তবুও আশায় বুক বাঁধে কিছু অবরুদ্ধ উল্লাস, কোনো
রকমে বেঁচে থাকা স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়,
কিছুতেই
আগে মাঝে মাঝে একটানায় পড়তাম
এখন দু’টানা, তিনটানায় পড়ি
বাগবিধিতে শাখের করাতের কথা যেমন আছে
তেমনি আছে দু’মুখো সাপ;
অথচ আজকে ঘন্টা ছাড়াই যেভাবে ছুটি হচ্ছে
এ সব আসলে পুঁজিবাদের জ্যান্ত অভিশাপ!
অবশ্য সবকিছুকে অভিশাপ বলে উড়িয়ে
দেওয়ার মতো মহাজ্ঞানীও আমি নই;
আমি চাই ছাত্র, শিক্ষক সবার হাতে কেবল
থাকুকখাতা, কলম, বই আর
আধো আধো ভাঙা জলধোয়া রাস্তায় অনেকটা প্রহর
কেটে গেলো আজ, কোথাও কোনো অসঙ্গতি নেই!
সত্তরের দশকের একটা জারুল গাছ সেও দেখলাম
সেও বেশ আছে, একজন তালপুকুর তার কাছে পাওনা
চাইতে এসে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে,
তালপুকুর জানে ভদ্রতা বলেও তো একটা কথা আছে;
সেদিকে জারুলের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই, সে বেশ আছে!
এতো
যা কিছু নশ্বর তাতেই আমি বারবার নিজেকে খুঁজি
উদয়াস্ত, তাতেই আমি — তাতেই আমার সমস্ত জীবন চক্র;
অথচ–কতো সহজেই দিন রাতকে পরিত্যাগ
করে যায় এই যেমন
কতো সহজেই রাত দিনকে পরিত্যাগ করে যায়!
তবুও আমি কেবল পারি না আমাকে ছেড়ে যেতে
আমি কেবল পারি না বৃত্তের বাইরে পা ফেলতে
আমি
হিসাবের কড়িকাঠ সামান্য একটু বেসামাল হলেই
যখন জলে আগুন জ্বলে; তখন ক্ষুধার্ত নেকড়ের মতো
কিছুকিছু শব্দও টিপ্পনীর মতোন করে কথা বলে!
আলহামদুলিল্লাহ আমি ছাতিম গাছের তলায় যেদিন
প্রথম পুরোদস্তুর একটা রাজপথ ঘুমাতে দেখেছিলাম
পাতাঝরার শব্দে শেষবার যেদিন শুনেছিলাম কবি
থেকে রাজপুত্র হয়ে উঠার সারস গল্প; আমার জানা
মতে, সেদিনের পর আর
আজ আর কোনো দীনতা যেমন নেই তেমনি কোনো
দৈন্যও নেই; অবশ্য এও একপ্রকার মানসিক ব্যাধি
শব্দের মারপ্যাঁচে নিজেকে এড়িয়ে যাওয়া, পরাজয়ের
বৃত্তে আটকে থেকেও বিজয়ী হওয়ার ভান করা!
দিনদিন সবকিছুর ঋণ যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রের জল; আরও বাড়ছে
যে সব মানুষের হাত, পা, বুক, পেট থেকেও
এমন রাত, যেখানে প্রতিটা স্বপ্নই অধরা থেকে যায়
মাকড়শার জালবন্দি পিলপিল জীবন কেবল কানাঘুষা
করে, দুঃস্বপ্নের ঘেরাটোপ থেকে কোনোভাবেই বেরুতে
পারি না, পুতুল নাচের মুদ্রাও ভুলে যাই; ভুলে যাই
কাগজে-কলমে চিত্রিত আটপৌরে রাতের তৃতীয় প্রহর!
তবুও আশায় বুক বাঁধে কিছু অবরুদ্ধ উল্লাস, কোনো
রকমে বেঁচে থাকা স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়,
কিছুতেই
উজাড় বাড়ি আসলে উজাড় নয়। একটা সময় গভীর জংগলে ছাওয়া ছিল। এই বাড়ির নাম শোনামাত্রই এখনও মানুষের গা ছমছম করে। যদিও আগের মতোন ঝোপ-ঝাড় এখন আর নেই। তবে এখনো যে পরিমাণ গাছগাছালি আছে, তাও একেবারে কম
অণুগল্প|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৮৫ বার দেখা
| ৫৯৪ শব্দ ১টি ছবি
আজ দেখি শ্রাবণের হাতে কৈলাস থেকে উঠে আসা
বোধিবৃক্ষের বাঁশি, সাগর বেষ্টিত রাজকন্যার দুই হাতে
ভালোবাসার মায়া কাজল!
সে এক অনন্য নজির কাব্য অঙ্গনে ছড়িয়ে দিয়েছে!
সে আমার সাথে সারাদিন একটিও কথা বললো না
অথচ কথার যেনো কোনো শেষ নেই!
হাতের ইশারায়, চোখের ভাষায় দ্বীপ রাষ্ট্রটির সমস্ত
সাদা পায়রা জল যেনো