জসীম উদ্দীন মুহম্মদ-এর ব্লগ
আমার জল আছে
আমার জল আছে আমার জল আছে
নিদেনপক্ষে ডুবে মরা যায় এতোটুকু জল আছে
তাও ভালো জল ছল বুঝে না
বুঝে না দাবারঘুটির পরিচয়
মানুষের মতো জল এতোটা দ্বিচারিণী নয়! সেই জলের ছায়ায় হাঙর বাঁচে
সেই জলের ছায়ায় নরখাদক কুমির আসে কাছে
ওরা ক্ষিধের তাড়নায় খায়
আর মানুষ ক্ষিধের তাড়না ছাড়াও খায়। মানুষের ক্ষিধে যতোটা পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৮২ বার দেখা | ৬৬ শব্দ
আমি কোনো প্রতিবাদ করছি না
আমি কোনো প্রতিবাদ করছি না
বোদ্ধা কবি আমি কোনো মুসলমানের বাচ্চার কথা বলছি না
আমি কোনো হিন্দুর বাচ্চার কথা বলছি না
আমি কোনো ইহুদীর বাচ্চার কথা বলছি না
আমি কোনো খ্রিশ্চানের বাচ্চার কথা বলছি না
আমি কোনো বৌদ্ধের বাচ্চার কথাও বলছি না
আমি কেবল মানুষের বাচ্চার কথা বলছি
কেবল মানুষের বাচ্চার কথা
তবে পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৯৩ বার দেখা | ২১৪ শব্দ
অন্তরা
অন্তরা প্রতিবাদহীন সময়ের অন্তরা গিলে খেলো চাঁদ
তবু আমি এখনও নাফনদীর দিকে তাকিয়ে থাকি
গলিতরা আমাকে উপহাস করে
আমিও কিছুক্ষণ চুলকাইঅত:পর মিটে যায় বিবাদ! ওরা এখন সবাইকে চিনে গেছে, চিনে গেছে
জীবন্ত মানুষ আর শবাধার
সবাই কেবল বেকার আলোর কথা ভাবে
আসলে চাঁদেরকণার সবটাই আঁধার! তবুও আমরা কেউ জাত খেলোয়াড়ের মতো অভিনয়টা ছাড়ি পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৫১ বার দেখা | ৫৭ শব্দ
অপদেবতা ... বোদ্ধা কবি
অপদেবতা
বোদ্ধা কবি রাতের সাথে কয়জনের কথা হয়?
বড়জোর অন্ধকারের সাথে সন্ধি হয়!
অতঃপর
ভোর হওয়ার আগেই বিতাড়িত নদী ফিরে আসে
আরেকটি ভোরের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয়! সেও সন্তর্পণে এগিয়ে যায়
মৃত নদী অথবা মৃত নারীর মতো
এই যুগে কে আর দেবদাস হতে চায়? একটি অলীক আশ্বাসে যদি ভেঙে যায় দেবতার ঘুম
তবে সে কেমন দেবতা?
উপসর্গের পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৩০ বার দেখা | ৬৫ শব্দ
চারুলতা
চারুলতা হাত ফসকে ছুটিতে গেছে যে জল
সেকি আর ফিরবে না?
বসন্তের নামে কতো ফুল ফুটে, আতুরাশ্রম ফেটে বেরিয়ে
আসে কতো জিন,
আমার কী হয়েছে বলতে পারো চারুলতা
আসমানি কি ভুলে গেছে কবিতার ঋণ? দেখো কিভাবে নেমে যায় জল পাহাড় ছেড়ে
আবার ফিরেও আসে জন্মান্তরে
তখন চোখ কথা বলে উঠে, কথা বলে উঠে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৭৯ বার দেখা | ৬৫ শব্দ
কুরবানি/০২
কুরবানি/০২ আমিও একজন অদ্ভুত টাইপের মানুষ। কিছুটা হিমালয় হিমালয় গন্ধ করে। তবে আমি হিমালয়ের মতো বরফের পাঞ্জাবি পড়ি না। লুঙ্গি পড়তে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। রাত-বিরাতে ঘুরে বেড়ানোও আমার পছন্দের তালিকায় নেই। বড় জোর জামতলা থেকে তিনকোণা পুকুরপাড়। তাও আবার বিষন্ন বিকেলবেলা। এখন বাইরে বের পড়ুন
জীবন | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৮২ বার দেখা | ৩২০ শব্দ
ফণা
ফণা যেদিন সোনেলার মতো সোনালি গল্প আমার হাত ছুঁয়েছে
সেদিন থেকে কবিতাও কোনো এক মন্বন্তরে ঠিকানা খুঁজে নিয়েছে
যে নিয়েছে মেঠো পথ আপন করে
সে কি আর কাদামাটি, জলে ডরে? তবুও এতোদিন পরে স্বস্তিকা এসেছে ফিরে
যে নিজেকে হারিয়ে খুঁজতেছিলো অযুত মানুষের ভিড়ে! যে মানুষ ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে, ঘুম ভাঙলেই সব পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৬৯ বার দেখা | ৭১ শব্দ
কুরবানি/০১
একদিন একটা সকাল ছিনতাই হয়েছিলো। আমি কিছু বলিনি। আশ্বিনের বাড়াবাড়িতে কিছুই বলা হয়নি। আকাশের আকাশচুম্বী দাপাদাপির কোনো সীমা পরিসীমা ছিলো না। বাতাসও নেংটি খুলে ইঁদুর দৌড়তে লাগলো। চেনা পথ ঘাট গুলো সব অচেনা। হাঁটুজল আর কাদামাটির সেকি সরস সুখের দিন। এমনি দিনে নীলুর বিয়ে। পড়ুন
জীবন | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৭২ বার দেখা | ২১৬ শব্দ
পৃথকীকরণ
পৃথকীকরণ বেশ কিছুদিন আগেই আমার বিষণ্ন বিকেলটা খোয়া গেছে
আর এখন উচ্ছেদ হতে যাচ্ছে সন্ধ্যার লালিমা
আমি জানি এরপর কী
এরপর জেগে থাকবে শুধু অন্ধকার রাতের কালিমা! এখন কী করবো আমি?
কিই বা করার আছে আমার?
তসবি হাতে দাদার ছবিটা আলমারি খুলে বের করে আনবো?
দাদীর কথা কিছুই মনে পড়ে না
তখনো স্মৃতির পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৪ বার দেখা | ১২৮ শব্দ
এসো রং করি ... বোদ্ধা কবি
এসো রং করি
বোদ্ধা কবি এসো রং করি
মন।
ছোটগল্পটা লিখি নতুন করে
নতুন ব্লেড দিয়ে ছেঁটে ফেলি পুরাতন।
এসো রং করি
মন। পুরাতন বোতলের ছিপি খুলে দিই
কবর হউক গন্ধ আঁকড়ে পড়ে থাকা দিন
এসো শৈশব ছুঁয়ে করি পণ
এসো রং করি
মন। এসো রং করি
মন।
নিহত হউক অন্যায় আবরণ
আর কতো আহত শামুকের মতো
খোলস বন্দি জীবন? এসো রং পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩১৮ বার দেখা | ৪৫ শব্দ
জলের পাখা
রাত পোহাতেই দেখি বেরে গেছে সময়ের দেনা
সন্ধ্যায় যেপথে হেঁটে গেছি এখন সেই অচেনা! যেভাবে বেড়ে গেছে মুখ এবং ঘাড়ের কালশিটে
যেভাবে চিকনগুনিয়ার ব্যথা সয়েছি গিঁটে গিঁটে! সেভাবে বেড়েই চলেছে তথাকথিত বন্যার জল
যেভাবে আর শুকোয় না মায়ের ভেজা আচঁল! তবুও আমি প্রশ্নবোধক তালগাছের কথা ভাবি
যে ঘরে মায়ের নোলক, কার পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৩৯ বার দেখা | ৮৩ শব্দ
শোক
শোক বৃষ্টিকে বলেছি আর ফেলো না চোখের জল
চিতাকে বলেছি বুকে আর কতো জ্বালবে অনল? পাথরকে বলেছি আর কতো বইবে শোক
ঝর্ণাকে বলেছি আর কতো কেঁদে ভাসাবে বুক? পাহাড়কে বলেছি আর কতো সইবে দুখের ভার
আকাশকে বলেছি আর কতো দেখবে অবিচার? বাতাসকে বলেছি বুকের পাহাড় বিতাড়িত করো
ঈশ্বরে বলেছি শোককে শক্তিতে রুপান্তর পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৩০ বার দেখা | ৪৫ শব্দ
পৃথকীকরণ
বেশ কিছুদিন আগেই আমার বিষণ্ন বিকেলটা খোয়া গেছে
আর এখন উচ্ছেদ হতে যাচ্ছে সন্ধ্যার লালিমা
আমি জানি এরপর কী
এরপর জেগে থাকবে শুধু অন্ধকার রাতের কালিমা! এখন কী করবো আমি?
কিই বা করার আছে আমার?
তসবি হাতে দাদার ছবিটা আলমারি খুলে বের করে আনবো?
দাদীর কথা কিছুই মনে পড়ে না
তখনো স্মৃতির পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২২ বার দেখা | ১২৮ শব্দ
রং নাম্বার
রং নাম্বার সুনন্দা, বলো তো এক জীবনে রং নাম্বারে আর কতো?
গতরাত থেকে সেই যে বিতৃষ্ণা আমাকে ঘিরে আছে
এতো যে বৃষ্টি হলো তাতেও ধুয়ে গেলো না! আচ্ছা তোমার সেই চামচিকাটার খবর কিছু জানো?
সেই যে বইয়ের পোকাটা
একাই গরম করে রাখতো পাবলিক লাইব্রেরীর পাঠচক্র
তোমার দিকে কিছুক্ষণ পর পর লজ্জাবতী পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৮৮ বার দেখা | ১৯০ শব্দ
পাঠকক্ষ
পাঠকক্ষ এই ঝকঝকে অনাবিল উঠোন আর কেউ মাড়ায় না
না সম্পাদক
না পাঠক
না মুদ্রক
আবর্জনার মতো পা্ঠকক্ষ পড়ে থাকে যতিচিহ্নহীন একা! এতোদিন যে আলোক বিচ্ছুরিত হতো পুস্তকের গা বেঁয়ে
গরমসল্লার মতোন সুগন্ধিযুক্ত
সেই আলোক এখন পড়ে থাকে একা
পক্ষাঘাত গ্রস্ত সুন্দরী রমনীর মতো! কিছু চোখ তার অর্ধনগ্ন বুকের দিকে তাকিয়ে মাতম করে
পানিরছিটে নিয়ে পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪২২ বার দেখা | ৮৩ শব্দ