আমার ভণ্ড উপন্যাসের কিছু অংশ
তুমি বারবার সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টিকর্তা করছো। তোমার কবি-সাহিত্যিক হওয়ার স্বপ্ন কোনোদিন পুরণ হবে না।
কেনো?
তুমি জানো না কবি-সাহিত্যিক হতে হলে নাস্তিক হতে হয়। লোকেরা তোমাকে আস্তিক বলে গালি দিবে।
দিক।
তোমার বই কেউ পড়বে না।
না পড়ুক।
তোমাকে আনকালচারড বলবে।
বলুক।
তোমার কাছে কেউ মেয়ে বিয়ে দিবে না।
না
গাল লাল হউক
সবকিছু আরও আরও সুচরিতা হউক
অথবা আরও বেশি বেশি অশুচি হউক
কোনো মানুষকে বলার দুঃসাহস করছি না
ম্রিয়মাণ হেমন্ত আর শীতকে বলছি!
যেভাবে আমার সর্বস্ব লুটে ফেরারি হয়েছে
তস্কর বসন্ত, ওরাও তেমনি হউক!
আমি কোনো বিনিময় মুল্য ধার্য করছি নে
কেবল যেদিন থেকে ইতিহাস জন্ম হয়েছিলো
আমাকে দেখার প্রথম দিন
সেদিনের
যেদিন আমার প্রথম কবিতাটি সম্পাদক
কর্তৃক ধর্ষিত হয়েছিলো,
সেদিন আমি কিছু বলিনি।
এখনও মাঝেমাঝে ধর্ষিতা হয় না এমন নয়,
এখনও কি আমি কাউকে কিছু বলেছি, বলিনি!
আমি কেনো কিছু বলবো?
ভ্রমর যখন ফুলকে ধর্ষণ করে ফুল কি কিছু বলে?
রাত যখন রাতকে ধর্ষণ করে সে কি কিছু বলে?
দিন যখন দিনকে ধর্ষণ
ধর্ষিতা
বোদ্ধা কবি
নদী কথা বলে না
বালুচর কথা বলে মৃতের মতো
কোথাও কোথাও নদীর বুকে ধানের শিষ কথা বলে
কথা বলে জীবিত মানুষের মতো!
কখনও কখনও বড়ো প্রেম কথা বলে না
জীবিত অথবা মৃত
আমার নিষ্ফলা কবিতার মতো
তবুও অভিধান ঘাঁটাঘাঁটি করি হারানো শব্দের মতো
নদী কথা বলে না
নারীও কথা বলে না
সাগরিকা নামের
আশা
এখন রেলস্টেশনে বসে আছি
আকাশের তারার মতো এখানেও কিছু সোডিয়াম লাইট মিটমিট করছে
মিটমিট করছে ট্রেনের যাত্রীদের যাওয়া-আসা
তবুও তাদের ফুরায় না ভালোবাসা!
গন্তব্যে পৌছার এই যে নেশা
বিকল ইঞ্জিনও পরাজিত করতে পারে না তাদের দিশা
বারবার মরে যায়, তবুও বেঁচে যায় আশা!!
তবুও যে কোনোদিন পুরাতন হয় না
তারই প্রকৃত নাম
কিছু বাজেয়াপ্ত সময়ের কথা
বোদ্ধা কবি
কবিতায় কিছু বাজেয়াপ্ত সময়ের কথা বলি।
নীল, শিখা, সুবর্ণা, আঁচল ওরা কেউ সময়ের কাছে
পরাজিত হয়নি
ওরা সবাই এখন আমার স্মৃতির মমি
তবুও এই আমি এখনো সেই আগের আমি
কবিতার কাছে বর্গা নিতে চাই মাত্র তিন ইঞ্চি জমি!
ওতেই আমার সব হবে চাষবাস
খাঁচার পাখি তারও কি
যার মন নেই; তার আবার কি মনে হবে? তবুও মাঝে মাঝে অনুভবের শিকল দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। পাড়ভাঙা নদীর মতো সেও টাচলাইন ছুঁয়ে দিতে চায়। কবিতার মতো কাউকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে চায়। চরম পুলক সুখানুভূতি অনুভব করতে চায়। কিন্তু চীনের মহাপ্রাচীরের মতো বাঁধার পাহাড় ডিঙোতে পারে
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩৮৭ বার দেখা
| ৪৬১ শব্দ
হয়তো মহাবিশ্বের সীমানা আছে, কিন্তু মূর্খামির কোনো সীমানা নেই। এই কথাটি আমার না। কে বলেছে তাও এই মুহুর্তে মনে করতে পারছি না। তবে যে-ই বলুক না কেনো, কথাটা কিন্তু মন্দ না। আরো একটি বিষয় আছে, আমি খালি চোখে ঝাঁপসা দেখি না, চশমা পড়লেই ঝাঁপসা
জীবন|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪২২ বার দেখা
| ৬৭৯ শব্দ
বা স ন্তী
পোয়াতি মেঘের লাবণ্য পেতে কতো কেঁদেছে
বাসন্তীর ধুঁ ধুঁ বালুচর
কতো কবি এসেছে, কতো লেখকও এসেছে
কেউ বাঁধতে চায়নি ঘর!
সদর দরোজায় খিল এঁটে, সেই বাসন্তী এখন
সবাইকে করেছে পর!!
ছায়া
তোমাকে —– —————- —
ভুলে থাকবো বলেই সমস্ত আকাশ একদিন
খড়কুটোর মতো মাথায় তুলে নিয়েছিলাম
কতোটা থাকতে পেরেছি বলো?
এখন সকালের আগেই আমার সন্ধ্যা হয়,
সন্ধ্যার আগেই রাত্রিও আসে, কানাঘুষা করে
অন্ধকার —–
আমি মাটির পুতুলের মতো পুতুল নির্বিকার!
মাঝেমাঝে আমার হ্যালুসিনেশন হয়
নীলাদ্রির ছায়ায় শিখা দাঁড়িয়ে থাকে
আবার শিখার ছায়ায় নীলাদ্রি মূর্তিমান হয়
ওরা
বেদনা নিও না নদী
বেদনা নিও না নদী—-
আবার কোনোদিন যদি ঘাতকজল আসে
আবার কোনোদিন যদি পাঁতিহাসের ডানা হাসে
আবার কোনোদিন যদি জলের গায়ে ভেসে ঊঠে
এমনি হাজারে হাজার বীভৎস লাশের ছবি
সেদিন আমি আবারও কবি হবো– নপুংসক কবি!!
আবারও বলি—-
বেদনা নিও না নদী
শিশুর যেমন কোনো বেদনা থাকতে নেই
নারীর যেমন কোনো
নির্বাসিত
বোদ্ধা কবি
আমি আবারও কবি হবো নির্বাসিত সীমান্ত জল
মানুষের নয়, পশু-পাখির রক্তেই যে করে টলমল!
একা একাই সাঁতার কেটে উত্তীর্ণ হবো মৃত্যুদ্বীপ
ওখানে পুঁতে আসবো একটি বীর্যহীন কবিতার দীপ!
ওখানে শব্দের মতো কিছু একটা পড়ে আছে আর্তনাদ
ওখানে বড়ো কম মূল্যে কেনা যায়, হন্তারক মাইনের নিনাদ!
ওখানে পিশাচ বাতাসের ওজন
অত:পর আমার সমস্ত দরবেশি মাটি হলো। হিমালয় নাম চুলোয় গেলো। ওরা কেউ থামলো না। না আশ্বিনা ঝড়। না বর পক্ষের আগমন। আর না কনে পক্ষের জোয়ার জল। তুমুল বৃষ্টি আর দমকা হাওয়া যেনো লাঠালাঠির উষ্ণতা আরো বহুরুপী মাত্রায় বাড়িয়ে দিয়েছে। বাতাসের সাঁ সাঁ শব্দ
গল্প|
২ টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৪২ বার দেখা
| ৩৫৮ শব্দ