একটি দূর্বাঘাসের কবিতা
যেদিন হৃদয় থেকে একটি জ্যান্ত চাঁদ খসেছিলো
সেদিন-ই তো আমি কিছু বলিনি
আর আজ যে দাবি করছে
সে করেছে আমার সাথে বানিয়াতির চাষ,
হলফ করে বলতে পারি, সে ছিলো বড়জোর
শেকড় বিহীন একটা দূর্বাঘাস!
তবুও আমি
তাকে করেছিলাম নক্ষত্রসম দামি
চোরা সময়ের খাঁজ কেটে হাট বসিয়েছিলাম
রসায়ন,
আর এখন যখন খেলা ভেংগে
রাত বিয়ানোর গল্প
রাত বিয়ানোর পূর্বেই রোজ রোজ আমার
একটি কবিতা বিয়ানো চাই
ডিকশনারি ঘেটে-ঘুটে কিছু কঠিন শব্দের
দলা পাকানো চাই!
কবিতার শরীর কতোটা নরম হলো কী
শক্ত হলো
পরাধীন হলো কী স্বাধীন হলো
কতো পাঠক মরে বেঁচে গেলো
অথবা
কতো পাঠক বেঁচে মরে গেলো এসব আমার
ভাবনায় বিলকুল নাই!
আমার ভাষায় আমি বলি আর কিছু
জোছনা বমি
একটা অশরীরী ভালোবাসার কথা না বললেই নয়
আজ আমার ২য় বারের জোছনা বমি হবে
অথবা
হয়েছে!
রোড় টু ময়মনসিংহের ইঞ্চি ইঞ্চিতে ভূমিতে
সে জোছনার দাগ লেগে আছে!
অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন
আমি কেবল জীবন ঘনিষ্ঠ কবিতা লিখি, ভালোবাসার
কবিতা লিখি না
জীবনের সামিয়ানা গলে বেরিয়ে আসা আকস্মিক
জোছনা বমির কথা বলি না!
আসলে আমি
ভা লো বা সা
একদিন সে তেলাপোকার মতো হেঁটে যেতো
আমার একঘর থেকে আরেকঘর
অথচ আজ বালুচরের মতো সে আমার পর
সেদিনও কি সে ছিলো আমার তেমনি নগর?
কিছু হাড়গিলা সত্য আছে দূর্গন্ধযুক্ত আতর
আমিও এখন হেঁটে যাই পচা শামুকের ভেতর
পচা শামুকে আমার পা কাটার কথা
অথচ আমার কাটে হাত, কাটে
সে আসে ধীরে
সে এখন আসে বৈকাল হৃদ ধীরে ধীরে
খানিকটা উবু হয়ে –
মিটাতে চায় প্রথম জন্মের ঋণ,
আমি বলি, যে শোধিতে চায় পিতৃ-মাতৃ ঋণ
তার মতো কে আছে রে
এ জগতে অর্বাচীন?
যে বাতাস হাঁটে আমার ভাংগা খাটে
অথবা দৌড়ায় ব্রহ্মপুত্রের তীরে
তেলাপোকা, টিকটিকির মতো কিছু মানুষের ভিড়ে,
সেও মাঝে মাঝে সুরের
ইশ এবং বিষের গল্প
কিছু কিছু ছেঁড়া ভালোবাসার কথা বলি
কিছু কিছু মানুষের মুখে মধু অন্তরে বিষ
আমাকে বলে,
আমি তোমাকে কতো ভালোবাসি ইশ!!
অথচ আমি যতোটা জানি,
এমনি মানুষের মুখেই মধু, অন্তরে বিষ!!
তাদের মুখ এবং মন কোনোদিন এক না
তারা সব সময় দুই নৌকায় দিয়ে রাখে পা!
আমার “ভণ্ড” উপন্যাসের কিয়দংশ
নীল,
কেমন আছো জিজ্ঞেস করছি না। এই অবস্থায় তুমি ভালো থাকবে এমন কোনো কথা অথবা ভবিষ্যৎ বাণী পৃথিবীর কোনো পাঁজিতে লেখা নেই। লেখা হবে এমনটাও আমি আশাকরি না। তোমাকে কতো নামে যে ডেকেছি তার কোনো গাছ পাথর নেই। এই সমস্ত নাম থেকে
একটি সাধারণ রাতের অসাধারণ গল্প
সে রাতের কথা বলি
যে রাত একটি সার্থক কবিতার সমান,
সে বুকের ভালোবাসার কথা বলি
যে বুক নিজেই একটি পুরো আসমান!
আমি কোথাও খুঁজতে বাকি রাখিনি
সরোবর, বৃক্ষ, তৃণাদি
কোথাও তার কোনো উপমা নেই,
যে ধীবর সারাদিন জাল ফেলে দিনশেষে
একটি মাত্র মাছ পায়,
সেও বুঝি আমার সেই আমার
রাত বিয়ানোর গল্প
রাত বিয়ানোর পূর্বেই রোজ রোজ আমার
একটি কবিতা বিয়ানো চাই
ডিকশনারি ঘেটে-ঘুটে কিছু কঠিন শব্দের
দলা পাকানো চাই!
কবিতার শরীর কতোটা নরম হলো কী
শক্ত হলো
পরাধীন হলো কী স্বাধীন হলো
কতো পাঠক মরে বেঁচে গেলো
অথবা
কতো পাঠক বেঁচে মরে গেলো এসব আমার
ভাবনায় বিলকুল নাই!
আমার ভাষায় আমি বলি আর কিছু
তন্ত্র-মন্ত্র
তবুও ভাবি ট্যারাচোখ তুলে কিছু আলো আসবে
নিদানকালে সমস্ত আকাশ-পাতাল দু’হাতে তুলে
আমায় ভালোবাসবে!
ছিন্নশেকড় যে তৃণলতা ছন্নছাড়া বাতাসে ভাসে
যে পাগল সারাদিন একলা একলা মুচকি হাসে
তারেও তো
কেউ না কেউ কোনো না কোনোদিন ভালোবাসে!
আমি কিছু অপ্রকাশিত মূক পঙক্তির কথা বলছি
কবি হওয়ার মতো
এমনি কিছু অজাতশত্রু দুঃস্বপ্নের কথা বলছি!
তবুও
রাত গভীরে
এ কোনো কবিতা নয়
একটা প্রেমপত্র এককল্প বছরে লিখেছিলাম
অতঃপর ছিঁড়ে যেতে লেগেছে এক ন্যানো সেকেণ্ড
অথবা তারচেয়েও কিছুটা কম !!
সম্পর্কের গতিসূত্র আবিষ্কার করতে যাবো
আমি এতোটা আক্কেল অথবা বেকুব নই
শুধু এতোটুকু বলতে পারি, যে সম্পর্ক যদি, তবে, তথাপি
এসব আঁকড়ে বাঁচে, এ কোনো সম্পর্ক নয়!
এই যেমন পাখির সাথে
একটি ভোগ এবং দূর্ভোগের কবিতা
অতঃপর দেখি
অগভীর অরণ্যে সিংহের গর্জন শোনার মতো
রাত্রির নীরবতা ভেংগে একটি কবিতা সমুদ্র থেকে উঠে আসে
উঠে আসে আমার কাছে
তার চোখে ছানি পড়েছে
তবুও সে ইতিহাস খুউব খুউব ভালো বুঝে!!
সাপ আর নেউলের গল্পটি একটু আগেই আমার
পড়া শেষ হয়েছে
এখন সিংহ মামা সদল বলে হাঁটে
যে কবিতার কোনো লিঙ্গ নেই
ভাবছি রুপকের মোড়কে একটা কবিতা লিখবো
যে কবিতার কোনো লিঙ্গ নেই
না পুংলিঙ্গ
না স্ত্রীলিঙ্গ
এমন কী সর্বজন শ্রদ্ধেয় উভয়লিঙ্গ এবং ক্লীবলিঙ্গ ওরাও!
যে কথা বিশ্বাস করি, সেকথা লিখবো না
যে কথা বিশ্বাস করি না, সেকথা লিখবো!
একটি দূর্বাঘাসের কবিতা
যেদিন হৃদয় থেকে একটি জ্যান্ত চাঁদ খসেছিলো
সেদিন-ই তো আমি কিছু বলিনি
আর আজ যে দাবি করছে
সে করেছে আমার সাথে বানিয়াতির চাষ,
হলফ করে বলতে পারি, সে ছিলো বড়জোর
শেকড় বিহীন একটা দূর্বাঘাস!
তবুও আমি
তাকে করেছিলাম নক্ষত্রসম দামি
চোরা সময়ের খাঁজ কেটে হাট বসিয়েছিলাম
রসায়ন,
আর এখন যখন খেলা ভেংগে