জসীম উদ্দীন মুহম্মদ-এর ব্লগ
তালগাছ
তালগাছ
কী অমন হেতুপদ, নিজেকে ভাবছ অতোটা উঁচু
তুমি বৃষ্টিস্নাত তালগাছ হও অথবা লতানো কিশলয়
ভেবো দেখো একদিন তুমিও অংকুর ছিলে ইশ
ছিলে চালহীন-চুলোহীন, মুণ্ডহীন লাওয়ারিশ! অতঃপর উর্বর হয় কোন এক বন্ধ্যা রমণীর যোনী
স্বরবৃত্ত ছন্দে ঢাক ঢোল পিটিয়ে বসে একদিন হাটবার
সেই অস্থি, চর্মহীন পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১৩৩ বার দেখা | ৯৬ শব্দ ১টি ছবি
না বর্ষা
অন্ধকারের পায়ে ঘুংঘুর দেখে ভেংচি কাটে শালিকের
জোড়া ঠোঁট, বিশ্লেষণ নেড়ে ছেড়ে দেখা যায়
শরীরের কোথাও নেই কোনো চোট;
তবুও একদিন আড়মোড়া ভাঙে সজল সকাল এরপর থেকে সখির বর্ষার কথা আর মনে পড়ে না!
তবু্ও দৈনিক হিসাবে পাড়ায় গড়ায় কিছু পাথর সুখ
সখিনা জানে তার রুপ পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৬ বার দেখা | ৮২ শব্দ
সড়ক
দুঃখগুলো দুঃখজনকভাবে সব স্পর্শের বাইরে
তবুও ইতিকথার পর আরও কিছু কথা থাকে
এখনও কানামাছি, বউচির নাম করে ডাহুক ডাকে! কেবল সময়ের অসম ফারাকটা কেউ বুঝে না
ভালোবাসার নদীটা আজও ঝড়ো বৃষ্টির মতো কাঁদে
ভেতরে-বাইরে একই রকম ভাঙাচোরা সড়ক
কোথাও কোনো সুবাতাসের সন্দেশ নেই
গন্ধর্ব পৃথিবীর সবখানে লেগে আছে একই মড়ক! অথচ পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১২৮ বার দেখা | ৬৪ শব্দ
দ্বিতীয় পৃথিবী
মানুষ ভাবে এক, হয় দুই, তিন, চার পাঁচ, ছয়, সাত
কেউ আর অপেক্ষা করে না আটকোরা প্রভাত
কেবল ভোলা পাগলা একাই
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে চেঁচায় জয় দ্বিতীয় পৃথিবীর জয়! একদা কনিষ্ঠা আঙ্গুলি থেকে জন্ম হয়েছে যে রাত
সে এখন দিব্যি তর্জনী, মধ্যমা থেকে শাহাদাৎ! গাড়োয়ান জানে না, কোথায় তার সাধের পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮২৫ বার দেখা | ৮০ শব্দ
প্রিয় কবিতাগুলো আজ আর প্রিয় নেই
প্রিয় কবিতাগুলো আজ আর প্রিয় নেই
অমাবস্যার ঘুটঘুটে অন্ধকার রাতের মতোন
কদিন পর পর সেও শহরে নাইওর যায়;
সেই শহর যেখানে কোনোদিন চাঁদ উঠে
না, সূর্য উঠে না!! সেই কোন্‌ প্রাগৈতিহাসিক কালে জন্ম নেয়া
সকাল চলতে থাকে, চলতেই থাকে, সন্ধ্যা হয় না;
অজ্ঞাতবাসে চলে যায় নীরবরাত্রির ট্রেন
যাত্রীরা কেউ দিন পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৫৩ বার দেখা | ৬৩ শব্দ
দেয়াল
কবিতাটাও হয়েও হলো না গোঁফ খেঁজুরে সময়
তবুও রাত্রির নিস্তব্ধতার কথা খুউব মনে পড়ে
মনে পড়ে মধ্যরাত্রির সপ্তর্ষি মণ্ডল, আদম সুরত ওদের
এখনও ওরা সবাই ঘুমিয়ে আছে সুরতহাল রিপোর্ট
সুমনা জানো, আজকাল গজবে আর গুজবে কেন
এতো চোট?
তবুও আশা আর নিরাশার মাঝামাঝি কেউ আছে
সেঁজুতির দাপ্তরিক কর্ম শেষে রোগীর মতোন পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২৮ বার দেখা | ৭৩ শব্দ
তেজারতি
চায়ের স্টলে যতটা গন্ধ ওড়ে আদা, তেজপাতা,
লং, কালোজিরা
ততটা মুদী দোকানে নেই, অনেকটাই নিরাকপরা!
তবুও কাঁচা আনন্দে ঘুম আসে না
সবাই শিখে গেছে হিসাব বাইনারি
কিছু কিছু ভদ্দরলোক সুপুরুষ এখন কেবলই নারী!
আমিও তেমনি কেউ নাগরদোলা
চাহিদারেখা জাগ দিয়েছি আত্মভোলা!
তবুও আমূল বদলে গেছে মরাকটাল-তেজকটাল
তবুও
তেজারতির নামে নামিক হিসাবের ভাঙে পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৮১ বার দেখা | ৪৫ শব্দ
ঢেঁকুর
জানি নীরবেই ঢেঁকুর তুলতে হয়
আমিও নীরবেই ঢেঁকুর তুলতে চেয়েছিলাম
সখি, এখন দেখি তথাস্ত
আমার ঢেঁকুরের শব্দ সবারই মুখস্ত!
তবু্ও ভ্রুক্ষেপহীন হোক গণশুনানির দিন
ইশতেহারে লেখা আদ্যক্ষর “ভ”
পিতা আজও নীরবেই কেঁদে কেঁদে কেঁদে
বলেন, “ম”!
ঢেঁকুর দিয়ে কবিতাটা শুরু করেছিলাম
কে জানে কী দিয়ে হবে শেষ
লোকে বলে, শেষ ভালো যার পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৩ বার দেখা | ৪৭ শব্দ
এক একে এক
একের নামতা বারবার পড়লাম
রাশি রাশি ধনের সমাহার
যে আজন্ম বুভুক্ষু সেও পেতে পারে
এক থেকে অনন্য আহার।
আসলে সৃষ্টি আর প্রলয় একসুতে
গাঁথা দুটি মুক্তোর মালা
প্রমোদতরীতে যেজন প্রণয় খুঁজে
সে অর্থে সবাই প্রমোদবালা।
যেজন বুঝতে শিখেছে উচ্ছিষ্ট জীবন
তার কাছে রুপ-রস-গন্ধ অতল
দেখো একের নামতায় ছড়িয়ে আছে
কী প্রেমময় এই ধরাতল!! পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৬০ বার দেখা | ৪৩ শব্দ
ন কবিতা
নিশাচর এই আমি আরও একবার ঘুমিয়েছিলাম
যেভাবে মরুভূমির বালুকণারা ঘুমিয়ে থাকে
যেভাবে আকাশে ওড়তে ওড়তে পাখিরা ঘুমিয়ে থাকে
আমিও ঠিক সেভাবেই আরও একবার ঘুয়েছিলাম!
তখনও এই গ্রহে চলছিলো পৌষের চাষ
না রাত আর না দিন বারোমাস
তবুও গণকবরে ঝিমিয়ে থাকে চিত্তের ঋণ
অথচ এই আমি
যেমন অর্বাচীন ছিলাম, এখনও তেমনি পড়ুন
কবিতা | ৬ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪২ বার দেখা | ৬৫ শব্দ
খসড়া জলের দাগ
কবিতারা আর কবে গণমুখী হবে?
যেভাবে রাস্তার ধারে ভাঁপ-ওঠা পিঠারা গণমুখী হয়
যেভাবে সাত-সকালে কাঁচাবাজার গণমুখী হয়
ঠিক ঠিক সেভাবে।
সময়ের মৃত শরীর ঘেঁষে বিস্তীর্ণ মশা-মাছি ওড়ে
কাব্যের কালো অক্ষরগুলো কাব্য থেকে বেশ দূরে
তবুও কপালকুণ্ডলারা খিলখিল হাসে
মোটাদাগে খসড়া জলের দাগ ভালোবাসে
এভাবেই একদিন মরাগাঙে চির ধরে
তবুও ওরা পড়ুন
কবিতা | ৮ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৪ বার দেখা | ৪৮ শব্দ
বিশ্বস্ত ছাতা
অনেকদিন ব্রহ্মপুত্রের কাব্যশ্রী দেখি না
যেমন দেখি না আজন্মের পৈতৃক ভিটা
পেছন বাড়ির ক্ষেতের ধানের চিটা
ধূলো পড়তে পড়তে স্মৃতিরাও কালশিটা!
জীবনের ব্যস্ত সড়কে কেবল অথৈ যানজট
বঊ, ছেলে, মেয়ে সবাইকেই “হ্যা”বলতে হয়
কখনো বলতে পারি না এবার “নট”!
তবুও একটু একটু করে আমার দেনা বাড়ে
ভয়ে হাত দিই না হিসাবের পড়ুন
কবিতা | ৪ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২০৮ বার দেখা | ৫৮ শব্দ
বিষণ্নতার ঠোঁট পুড়ে
রোদ গলে গলে বিষণ্নতার ঠোঁট পুড়ে
নগ্ন বাতাসে ওড়ে চলতি হিসাবের করোনার কাল
তবুও হৈচৈ এ মেতে থাকে বৃদ্ধবণিতা আবাল!
ওজন দরে বিক্রি হয় বোধ
কুয়াশায় মুখ ঢেকে ভণ্ডও হয় সুবোধ
ছেঁড়াপালে লাগে হাওয়া
দিন কতেক আগে সখিনা ছেড়ে দিয়েছে খাওয়া!
তবুও উত্থান শেয়ার বাজার
ইতোমধ্যে লেনদেন চুকিয়ে গেছে হাজার হাজার
আঙুলে পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৯ বার দেখা | ৫৪ শব্দ
পলাতকা
সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। পলাতকা
এখনও শোধ দাওনি জন্মান্তরের দেনা, এখনও–!
দেখো, আমি আজো পথের মাঝেই খুঁজে বেড়াই পথের ঠিকানা!
অথচ এই শিনশিনে কপট শীত উপেক্ষা করেও তুমি পালিয়ে গেছ,
হে যাযাবর পলাতকা!
পালিয়ে গেছ ভাঙা বেড়ার ফাঁক গলিয়ে, ডিঙিয়ে সিঁদকাটা পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪১ বার দেখা | ১৪২ শব্দ
অবাক সূর্যোদয়
অবাক সূর্যোদয়
মৈনাক পর্বতের পাদদেশ থেকে নেমে আসা
কিম্ভূতকিমাকার অন্ধকারে বড়সড় হতে থাকে
রাত্রির দীঘল অজৈব ছায়া, কামুক জলে
স্নান সারে রাজহংস-রাজহংসী; ঘাতক জলও
তখন পৌষের পিঠা
সময়ও তেমনি কখনও তিতা, কখনও মিঠা!
নৈঃশব্দ্যের উর্বর ডানায় পাস্তুরিত হয় নতুন
ভোর, কোকিলের কুহুতানে বাজে বেহালার সুর
পরাজিত হয়েছে সকল আকাল, পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৫৫ বার দেখা | ৬৫ শব্দ ১টি ছবি