অন্ধকারের পায়ে ঘুংঘুর দেখে ভেংচি কাটে শালিকের
জোড়া ঠোঁট, বিশ্লেষণ নেড়ে ছেড়ে দেখা যায়
শরীরের কোথাও নেই কোনো চোট;
তবুও একদিন আড়মোড়া ভাঙে সজল সকাল
এরপর থেকে সখির বর্ষার কথা আর মনে পড়ে না!
তবু্ও দৈনিক হিসাবে পাড়ায় গড়ায় কিছু পাথর সুখ
সখিনা জানে তার রুপ
দুঃখগুলো দুঃখজনকভাবে সব স্পর্শের বাইরে
তবুও ইতিকথার পর আরও কিছু কথা থাকে
এখনও কানামাছি, বউচির নাম করে ডাহুক ডাকে!
কেবল সময়ের অসম ফারাকটা কেউ বুঝে না
ভালোবাসার নদীটা আজও ঝড়ো বৃষ্টির মতো কাঁদে
ভেতরে-বাইরে একই রকম ভাঙাচোরা সড়ক
কোথাও কোনো সুবাতাসের সন্দেশ নেই
গন্ধর্ব পৃথিবীর সবখানে লেগে আছে একই মড়ক!
অথচ
মানুষ ভাবে এক, হয় দুই, তিন, চার পাঁচ, ছয়, সাত
কেউ আর অপেক্ষা করে না আটকোরা প্রভাত
কেবল ভোলা পাগলা একাই
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে চেঁচায় জয় দ্বিতীয় পৃথিবীর জয়!
একদা কনিষ্ঠা আঙ্গুলি থেকে জন্ম হয়েছে যে রাত
সে এখন দিব্যি তর্জনী, মধ্যমা থেকে শাহাদাৎ!
গাড়োয়ান জানে না, কোথায় তার সাধের
প্রিয় কবিতাগুলো আজ আর প্রিয় নেই
অমাবস্যার ঘুটঘুটে অন্ধকার রাতের মতোন
কদিন পর পর সেও শহরে নাইওর যায়;
সেই শহর যেখানে কোনোদিন চাঁদ উঠে
না, সূর্য উঠে না!!
সেই কোন্ প্রাগৈতিহাসিক কালে জন্ম নেয়া
সকাল চলতে থাকে, চলতেই থাকে, সন্ধ্যা হয় না;
অজ্ঞাতবাসে চলে যায় নীরবরাত্রির ট্রেন
যাত্রীরা কেউ দিন
কবিতাটাও হয়েও হলো না গোঁফ খেঁজুরে সময়
তবুও রাত্রির নিস্তব্ধতার কথা খুউব মনে পড়ে
মনে পড়ে মধ্যরাত্রির সপ্তর্ষি মণ্ডল, আদম সুরত ওদের
এখনও ওরা সবাই ঘুমিয়ে আছে সুরতহাল রিপোর্ট
সুমনা জানো, আজকাল গজবে আর গুজবে কেন
এতো চোট?
তবুও আশা আর নিরাশার মাঝামাঝি কেউ আছে
সেঁজুতির দাপ্তরিক কর্ম শেষে রোগীর মতোন
জানি নীরবেই ঢেঁকুর তুলতে হয়
আমিও নীরবেই ঢেঁকুর তুলতে চেয়েছিলাম
সখি, এখন দেখি তথাস্ত
আমার ঢেঁকুরের শব্দ সবারই মুখস্ত!
তবু্ও ভ্রুক্ষেপহীন হোক গণশুনানির দিন
ইশতেহারে লেখা আদ্যক্ষর “ভ”
পিতা আজও নীরবেই কেঁদে কেঁদে কেঁদে
বলেন, “ম”!
ঢেঁকুর দিয়ে কবিতাটা শুরু করেছিলাম
কে জানে কী দিয়ে হবে শেষ
লোকে বলে, শেষ ভালো যার
একের নামতা বারবার পড়লাম
রাশি রাশি ধনের সমাহার
যে আজন্ম বুভুক্ষু সেও পেতে পারে
এক থেকে অনন্য আহার।
আসলে সৃষ্টি আর প্রলয় একসুতে
গাঁথা দুটি মুক্তোর মালা
প্রমোদতরীতে যেজন প্রণয় খুঁজে
সে অর্থে সবাই প্রমোদবালা।
যেজন বুঝতে শিখেছে উচ্ছিষ্ট জীবন
তার কাছে রুপ-রস-গন্ধ অতল
দেখো একের নামতায় ছড়িয়ে আছে
কী প্রেমময় এই ধরাতল!!
নিশাচর এই আমি আরও একবার ঘুমিয়েছিলাম
যেভাবে মরুভূমির বালুকণারা ঘুমিয়ে থাকে
যেভাবে আকাশে ওড়তে ওড়তে পাখিরা ঘুমিয়ে থাকে
আমিও ঠিক সেভাবেই আরও একবার ঘুয়েছিলাম!
তখনও এই গ্রহে চলছিলো পৌষের চাষ
না রাত আর না দিন বারোমাস
তবুও গণকবরে ঝিমিয়ে থাকে চিত্তের ঋণ
অথচ এই আমি
যেমন অর্বাচীন ছিলাম, এখনও তেমনি
অনেকদিন ব্রহ্মপুত্রের কাব্যশ্রী দেখি না
যেমন দেখি না আজন্মের পৈতৃক ভিটা
পেছন বাড়ির ক্ষেতের ধানের চিটা
ধূলো পড়তে পড়তে স্মৃতিরাও কালশিটা!
জীবনের ব্যস্ত সড়কে কেবল অথৈ যানজট
বঊ, ছেলে, মেয়ে সবাইকেই “হ্যা”বলতে হয়
কখনো বলতে পারি না এবার “নট”!
তবুও একটু একটু করে আমার দেনা বাড়ে
ভয়ে হাত দিই না হিসাবের