ফকির ইলিয়াস-এর ব্লগ

কবিতা লিখি, থাকি নিউইয়র্কে।

সেফটিপিন
ছেঁড়া শাড়ির নিরাপত্তা সুরক্ষায় আরেকটি সেফটিপিন
গেঁথে দিতে চাইছেন আলপনা মিত্র,
হায়েনার রক্তাক্ত চোখ যেভাবে হরণ করতে চেয়েছিল
জলের আব্রু, তা দেখে ভয় পাচ্ছে নদীও। আর শাদাবকুল
ক্রমশ নীল হতে হতে বুকে পুষছে অনন্ত বেদনা। আমরা যারা এতকাল বেদনাকে ভালোবাসতাম, তারাও
ঘর থেকে বের হতে ভীষণ ভয় পাচ্ছি। এই কালোরাত পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮০ বার দেখা | ৮২ শব্দ
বসন্ত, রিডিংক্লাসের জানালায়
বসন্ত, রিডিংক্লাসের জানালায়
বললে, চলো- আরেকবার রিডিংক্লাসে ঢুকে পড়ি!
বললাম, সঙ্গে তো আনি’নি রিডিংগ্লাস!
বললে, তাহলে শ্রুতিপাঠ হোক
বললাম, তবে কী হিম হাওয়া ভেদ করে, এই শহরে
জেগে উঠলো বাসন্তী অশোক # নিউইয়র্ক / ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সোমবার পড়ুন
কবিতা, জীবন | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৭ বার দেখা | ২৯ শব্দ ১টি ছবি
শাস্ত্রীয় শর্তাবলী
আমি জানি শাস্ত্রীয় বৃষ্টিসমগ্র, কোনোদিনই ভেজাতে পারবে না আমাদের
পরিদেশ। কোনো ফুলের স্পর্শই এই মেঘমোগল-কে করতে পারবে না,
নতজানু। শুধুমাত্র যে বাষ্প আমাদের মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাবে, তারাই
পারবে দিয়ে যেতে কিছু উষ্ণতা। কিছু জমে থাকা পাথর, পারবে সরে যেতে। ছাড় দেবার জন্য কিংবা সরে যাবার পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯৭ বার দেখা | ১১৭ শব্দ
একটি গান
আমার মহল মাঝে আমার মহল মাঝে, কে বিরাজে সখি-
নাম তার জানি না।
আমি মুদে আঁখি, বুকে রাখি
কাছে টানতে পারি না ।। ১। অনেক ছবি আত্মভোলা
অনেক কথাই হয় না বলা, গো
জগতপতির ছলাকলা
আমার সাধন হলো না ।। ২। কোন নামে সে কোন ঠিকানায়
কাউকে হাসায়, কাউকে কাঁদায়, পড়ুন
সাহিত্য | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯৩ বার দেখা | ৭১ শব্দ
আরেকটি ভাঙনের আগে
দূরে থাকো। আয়ত্ব করো উৎকীর্ণ আঁধার। আর সমূল
সকালগুলোকে তুলো রাখো হাতের মুঠোয়। কেন নেই
সেই গান, কেন নেই বিন্যাসিত ক্রন্দনের বাতি; জেনে
নিতে খুলে দ্যাখো পরিশুদ্ধ মানববিধান! এখানে প্রস্থান
নেই। আছে ফেরার প্রত্যয়। তাই দূরে থাকো, ফিরবে বলে। দূরে থাকো। দ্যাখো মনের সংসদে বসে মৌমাছিরা কি
আনন্দে সাজায় সংসার।বিন্দু পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৪ বার দেখা | ৬৯ শব্দ
চাকুরি বিষয়ক তিন নম্বর বিজ্ঞপ্তি
আমারও একটা চাকরি দরকার। ফায়ার ব্রিগেডের মেম্বারশীপ।
অগ্নি নির্বাপক হয়ে নেভাতে পারবো কিছু আগুন-
এমন নিশ্চয়তা। দমকল বাহিনীর সদস্য হিসেবে ঠিক আগুনের
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিটাতে পারবো জল। জলের পরাগ। বৃষ্টির পরমাণু। আমারও একটা চাকরি দরকার। এ বিষয়ে দৈনিকের পাতায়
আমিও দিতে চাই আরেকটি বিজ্ঞপ্তি। কেউ না পড়ুক-
তারপরও জানাতে চাই, পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৯ বার দেখা | ৮৩ শব্দ
শীতের সন্ধ্যায়
হামগুড়ি দেয়া সূর্যটা প্রচণ্ড শীত গায়ে নিয়ে ডুবে গেলো।
এই নিউইয়র্ক শহর তার হাত ধরে রেখেছিল সারাদিন-
বরফ পড়ে নি। তবু হাড় কাঁপানো বাষ্পের মাঝে
আমাদের নিঃশ্বাসগুলো বার বার হচ্ছিল দ্বিখণ্ডিত। আমরা এর আগেও অনেকবার পড়েছি খণ্ডনকাব্য
এর আগেও, শীতের রাতে বিনিময় করেছি পাঁজর
তবু যেনো মনে হয়, এমন শীত পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৮ বার দেখা | ৫৪ শব্দ
পেনড্রাইভ
জমা হয়ে আছে সূচালো দু’খের ধার। বরফে বিদ্ধ হচ্ছে
শীতের সূর্যকণা। কোথাও পুড়ছে জীবন- কোথাও
থেমে যাচ্ছে চুল্লীর আগুন, তা দেখে হাসছে চাঁদ, কাঁপছে
নক্ষত্রের সংসার। চারপাশে ঝুলে থাকছে অনেকগুলো মহাকাল।
অনেকগুলো মৃত বসন্ত,
অনেকগুলো শাদা পাপড়ির কফিন
যারা বিদায়ী বর্ষাবরণে জলে নেমেছিল, কেবল
তারাই দেখছে এসব দৃশ্য। বাকী সবাই নজর রাখছে
তাসের পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৫ বার দেখা | ৬২ শব্দ
পলাশের চিতাচিহ্ন
প্রতিবেশে হায়েনা শকুন আর পরিবেশে মৃত ফসফরাস, দেহ
থেকে ঝরে যাওয়া শিশুর পাঁজর। আমি ছুঁয়ে দেখি, এই কফিনে
আমিও শুয়েছিলাম বিগত জনমে আর সিজোফ্রেনিয়া ঘেরা আকাশ
ছিল আমার সহচর। ভালোবাসা দেবে বলে কেউ আসেনি কাছে,
ডাকেনি ধরে নাম। বিধি বাম ছিল না জানি, তবু কেন এই মানব
নির্মিত বলয় পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১০০ বার দেখা | ১১০ শব্দ
তুষারপাতের ঘ্রাণ
তুষারপাতের ঘ্রাণ
তুষারের গন্ধ পেলেই আমি হয়ে উঠি, বারুদময়।
রোদ দেখবো না জেনেও আকুতি রাখি, সূর্যের চরণে
আহা! বিগত পৌষ! তুমিও আমার জন্য-
রেখে গেলে না কিছু উষ্ণ হিম, কাঁথার করুণা! আগামী চব্বিশ ঘন্টা এই নগরের সড়কে সড়কে
ঝরবে যে বরফ, কিংবা যে ঝড়োহাওয়া
উড়িয়ে নিয়ে যাবে পুরনো পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৮৪ বার দেখা | ৮১ শব্দ ১টি ছবি
ভূমিকম্পের আগে
ভূমিকম্পের আগে
তোমার কাঁপন দেখলেই বুঝতে পারি, কেউ
সমুদ্রে গভীর রাতে খেলেছে ঢেউখেলা। দিগন্তের
আড়মোড়া ভেঙে উঠছে পূবের সূর্য। কামকুয়াশায়
ভেজা পৌষের শেষ সন্ধ্যা- কয়েকটি রক্তজবা হাতে
অপেক্ষা করেছে আরেকটি কাঁপনের। পৃথিবী কেঁপে উঠলে ভয় পায় মানুষ। মানুষ কেঁপে
উঠলে গোলাপ ছড়িয়ে দেয় তার প্রথম পরাগ। পরাগায়ণের প্রথম নিশীতে- পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯১ বার দেখা | ৬৩ শব্দ ১টি ছবি
বিনম্র বিষের মায়া
বিনম্র বিষের মায়া
সাক্ষী দিতে গিয়ে দেখি আমার ছাউনি সরিয়ে নেয়া হয়েছে
বেশ আগে। দংশনের বিপক্ষে কথা বলার আগে, আমিই হয়েছি
দংশিত লখিন্দর। বিনম্র বিষের মায়া আঁকড়ে ধরেছে আমার
সর্বাঙ্গ।ভঙ্গ করে সকল অঙ্গীকার আমি দাঁড়িয়েছি জলের
কাটগড়ায়। বৃষ্টিতে ভিজে একটি আশ্বিন খুঁজে বার বার গিয়েছি
সমবেত শরতের কাছে। পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ১১৩ বার দেখা | ৬৮ শব্দ ১টি ছবি
পরজীবী পথের প্রান্তে
যে মেঘ মেরুদণ্ডহীন উড়ে যায়, তার
কোনো গন্তব্য থাকে না। কিংবা যেজন
রাত না চিনেই খোঁজে অন্ধকারের প্রকার-
তাকে নিয়েও ভাবে না কেউ! কিছু ছায়া মিশে যায় পরজীবী পথের প্রান্তে;
আর কিছু মানুষ রক্তরেখার ভোর
দেখেই করে উল্লাস! কেউ কেউ-
চূড়ায় আরোহন করবে বলে, পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯০ বার দেখা | ৯৬ শব্দ
সব দুঃখই পাখি হয়ে যায়
সব দুঃখই পাখি হয়ে যায়।সকল বেদনাই চৈতন্যের
জল হয়ে সমুদ্রে ভাসে। কোনো পরদেশী জাহাজের
পাটাতন তা ছুঁতে পারে, কখনও থেকে যায় অস্পর্শের অতল। ঝড়গুলো বিভক্ত হয়ে প্রদক্ষিণ করে উত্তর এবং
দক্ষিণ মেরু। যারা পূর্বে থাকে, তারা তাকায় পশ্চিমে।
সূর্য ডুবলো বলে, জোনাকিরা গায়ে জড়ায় রাতের সন্ন্যাস। দুঃখের পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৯৪ বার দেখা | ৭৫ শব্দ
ইহা কোনো লিখিত অক্ষর নয়
পাথরদানার নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্য থাকে না। এমন কী জলেরও, অনন্ত
জীবন পাবার থাকে না কোনো বাসনা। নদীর ঢেউ আর চোখের অশ্রুর
পার্থক্য দেখে যে চিত্রকর আঁকেন তার মূল্যবান চিত্রকর্ম, তিনি কি জানেন—
এই লিখিত অক্ষরগুলো একদিন রক্তলেখায় ব্যবহৃত হয়েছিল, এই শব্দের ফিনকি
সেরেছিল আমাদের ভালোবাসার সর্বশেষ উদ্ধার। যে পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৭৯ বার দেখা | ৯৩ শব্দ