বৃষ্টিগুলো নিজেদের সাথেই গড়ে তুলছে গভীর সম্পর্ক
কোনও উত্তর পাবে না জেনেও নিজেদের কাছেই নিজে
প্রশ্ন রাখছে নদী।
কেমন আছে নদ—
কেমন আছে ঢেউয়ের ননদ—
তারা কি এখনও অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে আষাঢ়ের রাতে ! জোনাকীরা নিজেদের জন্যই জমিয়ে রাখছে
ছলসম্পর্কের মেঘ।
কোনো দিনও ঝরবে না জেনেও এই
গ্রামের কিশোরীরা বুকে সঞ্চয় করছে
সামুদ্রিক শিল্পপাথর।

ধরো—আজ বৃষ্টি হবে না
সবপাখি ঘরে আসবে ফিরি
কেউই পথ ভুলে নদীতীরে যাবে না আর—
দুপুরের সাথে প্রকাশিত সূর্যরাষ্ট্র করবে না লুকোচুরি। কেউ দেখবে না কারও মুখ বলে,
প্রতিজ্ঞা করেছিল যারা,
ফিরে আসবে তারাও এই জলভেলা মাখা তুমুল বর্ষায়
লেনাদেনা সেরে মাঝিও নৌকোর গলুইয়ে বসে
গাইবে মহাজনী গান—
শান্ত ঢেউ যেমন মাঝে মাঝে

পথের দুপুরগুলো জানে—কোনো হিংসেই অমর নয়। কোনো—
প্রতিপালিত দুঃখ-দেনা, মানুষের শক্তির বিরুদ্ধে করতে পারে না
বিদ্রোহ। অতএব, মানুষই ক্রমশ বপন করে যায় আকাশের
বিস্তারে ভালোবাসার মেঘ। বৈধ বেহালার বাহুতে বাহু রেখে
কাছে আসে প্রেমিক, চুমু খায়—নাচে। প্রেমিকা তার ঠিকানা হিসেবে বেছে নেয় সেই নর্তকনগর।
যারা ঘোরগল্প পাঠে অভ্যস্ত—কেবল তারাই পড়ে

কোনও সোঁদাশব্দ নেই। পিপীলিকার পা থেকে শুধুই
ঝরছে রক্ত। রেটিনা’র সর্বশেষ স্তর থেকে যে আলো
সরে গেছে,
সেটুকুই খুঁজছে একজোড়া প্রেমিক-প্রেমিকা। গুপ্তহত্যা সেরে কয়েকটুকরো প্রাচীন মেঘ
বন্দী হচ্ছে নিজের খাঁচায়। আর একটি বাঘ-শেয়ালের বেশে বেরিয়ে
যাচ্ছে ওই শিকল-সীমানা থেকে।

বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকেই লিখব ভাবছিলাম। এটা আমাদের রাষ্ট্রীয়, সামাজিক প্রেক্ষাপটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ীতে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ আমাকে এই বিষয়টি নিয়ে লিখতে উসকে দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে এই বাহিনীর একটি গৌরবপূর্ণ

ইচ্ছে ছিল ব্রিটেনে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর একটি খণ্ডচিত্র দিয়ে এই লেখাটি লিখব। এই সময়ই একটি বিষাদ সংবাদ। লন্ডনে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে ২২ মার্চ ২০১৭ বুধবার দুপুরে। লন্ডনে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবনের কাছে একটি গাড়ি পথচারীদের ওপর তুলে দিয়েছিল এই সন্ত্রাসী। এরপর

শ্রেষ্ঠ স্বর্গ কিংবা নরকের তালিকা
বিলি করছে তোমাদের ছায়ামিডিয়া,
যারা আজীবন আকাশকে ছাদ ভেবে
গেয়েছে বিচ্ছেদের শ্যামাসংগীত –
তারা ইহজনমে,
কেবলই চেয়েছিল এইটুকুন স্বাধীন প্রশ্বাস। পৃথিবীর স্বর্গ প্রতিদিনই ওদের দেখিয়েছে
প্রতারণার দীর্ঘ হাত।

একজন মানুষকে আত্মশক্তি নিয়ে দাঁড়াতে হলে তার স্বাধীনতা থাকতে হয়। সেই স্বাধীনতা হতে হয় ন্যায়ের, সেই স্বাধীনতা হতে হয় সামাজিক কল্যাণের। অতিসম্প্রতি দুটি সংবাদ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আলোচিত হচ্ছে। কর্মস্থলে স্কার্ফ নিষিদ্ধের পক্ষে রায় দিয়েছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আদালত। নিয়োগকর্তারা চাইলে

আপনি যে বয়সে চলে গিয়েছিলেন, আমি সেই বয়স
পার করছি পিতা। পাড়ি দিচ্ছি, আপনার রেখে যাওয়া
মেঘ,স্রোত, মোহনা। নির্বাচিত নক্ষত্র থেকে কিছু আলো
এই মাটিতে ছিটিয়ে দিয়ে বলছি-
আজকের সবগুলো চাঁদ, উৎসর্গিত হোক মুজিবের নামে দেখছি, বত্রিশ নম্বরের সামনে ফোটে থাকা প্রতিটি
গোলাপ, দর্শনার্থীদের কীভাবে দেখাচ্ছে নিজস্ব যাদুবিদ্যা
কীভাবে, মায়ের

আমি কোনও আবিষ্কারক নই। পথের সন্ধান
নিয়ে কোনও অরণ্যের শোভা দেখবার কৃতিত্বও
নেই আমার। তবু প্রেমিকা হবে বলে আমার হাত
ঝাপটে ধরেছিল যে সিরামিক সন্ধ্যা—
আমি আজও তাকে মনে রেখেছি। বিমূর্ত ভালোবাসা নিয়ে আমার ছায়া হয়েছিল
যে ত্রিমাত্রিক আকাশ, তাকে জানিয়ে রেখেছি
ভ্রমণের বিকাশপর্ব। দক্ষতা দেখাতে না পারলেও,
আঁকায় নাম লিখিয়েছি

কয়েকটি বিলাপ গেঁথে গেঁথে মেঘও রেখে যায় তার ভূমিষ্ট ছায়াডোর
পৃথক কোনো স্বার্থ নেই নিমগ্ন মাটিরও,
মেঘ ও মাটি পরস্পরের দেখা পেলে নিমিষেই মিতা হয়ে যায়
সবগুলো মিথ অস্বীকার করে তারা পরে নেয় একই পোশাক।
ভোরের পরিষেবা গ্রহণ করে সেরে উঠে সমগ্র ক্রান্তিকাল থেকে।
নদীরা নিরক্ষর নয়। তাই তারাও

লিখিত তালিকা নেই, যা আছে মুখে মুখে পড়া। গড়া আর
ভাঙার বিবরণ। এখন, এই মুহূর্তে আমার সামনে দাঁড়িয়ে
যে তন্বী তরুণী পড়ছে ”দ্যা রীডার” বই। সই নয় সে ও
আমার। তার অন্য হাতে ঝুলে আছে একটা পোষ্টার। ”বর্ডার”
শিরোনামে কিছু সাদাকালো আঁচড়। জড় কিংবা জীব সবাই
চায় থেকে যেতে

দেশের দুজন কৃতী মানুষ তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরকে খুন করেছিল একটি যানবাহন। তা নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছিল। সেই মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের মনে আছে- ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় চুয়াডাঙ্গা পরিবহনের বাসের

পদ্মাসেতু হচ্ছে, কাজ এগিয়ে চলেছে। হ্যাঁ, সবকিছু ঠিক থাকলে এই প্রকল্প সময় মতোই শেষ হবে। কানাডার আদালতে প্রমাণিত হয়েছে, এ নিয়ে বাংলাদেশ কোনো দুর্নীতি করেনি। টরন্টোর এক আদালত বিষয়টি খোলাসা করেছে। কানাডার মন্ট্রিলভিত্তিক প্রকৌশল প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের সাবেক তিন কর্মকর্তাকে

একদিন বেষ্টসেলার হয়ে আগুনও দেখাবে তার সহস্র নিমরাজি শক্তি। পরিচয়হীন
পাখিরা পাশে দাঁড়িয়ে দেখবে, কোনো প্রাণীই জানতে চাইছে না তাদের কুশল।
যারা ভালোবাসার জন্য এতদিন পথে নামতে রাজী ছিল, তারাও গৃহসন্ধানে
ভুলে যাবে পুরনো প্রতিশ্রুতি। এই গ্রামের বিস্তীর্ণ সবুজে কোনো যুদ্ধচিহ্নই আর
খুঁজে পাওয়া যাবে না। অথচ কথা