ঋতুর রঙের কাছে ঋণ চেয়ে হাত পাতি। কিছু ভোর চাই।
কিছু ভালোবাসা বিনিময় করবো বলে নদীর স্রোতে ডুবাই
চোখ। ফিরে আসে নিজের প্রতিবিম্ব আর পরখ করে দেখা
কালের রজক। জানি আমিও এভাবেই মুক্ত আকাশের লেখা
ধার করে সাজিয়েছি কাব্য। বাজনার অজস্র নহরে রেখে হাত
অনুভব করেছি গ্রীষ্ম কিংবা বৈশাখের
এ শহর আমার নয়। আমার জন্ম নিবন্ধন সনদ
সংরক্ষিত নয় এখানের আর্কাইভে, তবু কিছু হংস
হিংসের ডানা দেখিয়ে ডুব দিতে চাইলো আমার পুকুরে,
কিছু ঈগল- তাদের ভাষাচক্ষু দেখিয়ে ছিড়তে চাইলো
আমার শব্দকেতন।
এসব নষ্টমহড়া দেখেছি আগেও। দূর দিয়ে উড়ে যাওয়া মেঘ
আমাকে বলেছে- আমরাও আছি কবি,
তুমিও থাকো।
ক্রমশ পৃথক করো চাঁদ
বলয় নিয়ে বাড়ন্ত আকাশের ও একটা গৌরব থাকে। দিন
কিংবা রাতের শরীরে নির্মাণ করে যাবার প্রহর এবং প্রত্যয়
ধারন করে শিল্পীর চোখ তাকায় জ্বলন্ত ইচ্ছেগুলোর দিকে।
কে পোড়ায় এই প্রতিশ্রুতির নন্দন কানন ! কার পদছায়া
জমা থাকে মনের শোকেসে ! কোন নিখিলের প্রথম অভিজাত
অভিষেকে বার বার প্রবাহিত হয়
হ্যাঁ, তিনি ছিলেন আমাদের সময়ের অগ্রপথিক। কোথায় ছিলেন না তিনি! শিল্পে, সাহিত্য, সংস্কৃতিতে। সমাজে, মননে, মনীষায়। তিনি জানিয়ে যেতেন, আমরা দাঁড়াতে চাই। দাঁড়াতে চাই কবিতায়। দাঁড়াতে চাই, একটি অগ্রসরমান প্রজন্মের হাত ধরে। কাজী অরিফের অনেক পরিচয় ছিল। তিনি একজন
সমকালীন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৪৫৯ বার দেখা
| ১০৫৯ শব্দ ১টি ছবি
আমার প্রতিবেশী ছিল আলখেল্লা পরা একটুকরো রাত,ডানপাশে
কয়েকটা মাকড়শা বুনছিল তাদের স্বপ্নজাল।আর শুকনো পাতার
মর্মরে বাজছিল অনাগত দিনের দ্যোতনা, কিছু সমবেত পিঁপড়া
খুঁড়ছিল মাটি। মাঝে মাঝে এভাবে খুঁড়ে যেতে হয় – তা আমার
আগেই জানা ছিল। কালো বন্দুকটার গায়ে হেলান দিয়ে আমি
যে মমতার স্থির চিত্র আঁকতাম , সেও
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৩০ বার দেখা
| ১০০ শব্দ
কটা আকাশ আছে পৃথিবীতে, কটা সমুদ্র
এক হয়ে গেলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে জলের
সীমানা – এমন সব প্রশ্নের মুখোমুখি ধীর
দাঁড়িয়ে কেবলই দেখে যাই সৌম্য সংকেত।
লিখিত মনবিধান নাড়াচাড়া করে বুঝে ফেলি
শষ্যদানায় সঞ্চিত শক্তিরা সব উন্মুখ হয়ে
আছে, দেখবে বলে অন্য কোনো মাটির ভিত।
যেভাবে জেগে থাকা রাত স্পর্শ করে
যারা এর আগে দখল করতে চেয়েছিল আমাদের
জল ও শ্যামল, তারা আবার নখর দেখায়।
চারপাশে সর্প-প্রজাতির ফণা দেখে এখন আর
ভীত হয় না প্রজন্মের সন্তান। বরং তারাই
তৈরি নেয় কৃত্রিম ব্ল্যাকআউটের ম্যানহোল।
একসাথে আঁধার নেমে আসে বাংলার ব্লগাকাশে।
এমন আঁধার পঁচিশে মার্চের রাতেও নেমেছিল,
কেঁদেছিল বাংলার ফুল, ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে
পাখিরা ত্যাগ
সবাই জেগে থাকতে পারে না। কেউ কেউ আয়ু পাহারা
দেয়। কেউ কেউ হাতঘড়ির কাটার মতো,ঘুরে পৃথিবীর
উত্তর প্রান্তে – যেখানে কেবলই ঢেউ, কেবলই ধূসর।
যারা ঘুমায়, তারা ভালো থাকে অবশেষে। না দেখার
সাম্রাজ্যে সেতু বানাতে বানাতে, অন্যকে পার করার
তাড়না অনুভব করে না। অথবা ধার ধারে না হিসেবের।
জীবনের
আর কোনও দিন বৃষ্টি এসে আমাদের ডাকবে না তাদের কাফেলায়।
বলবে না- চলো সমুদ্র দেখে আসি। দেখে আসি পাখিদের সংসার,আর
লাঙল কাঁধে যে পিতামহ প্রত্যুষে ছুটে চলতেন মাটির টানে-তার পদছাপ।
আর কোনও দিন আমাদের ডাক দেবে না কোনও প্রতিবেশী আগুন।
বলবে না- উষ্ণতা নেবে, উষ্ণতা ! সওদাপাতি
কবিতা|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
২৫৫ বার দেখা
| ১০০ শব্দ
আমাকে যে আপেলবাগানে নিয়ে যেতে চাইছো,
সেখানে অনেকগুলো কালো ভোমর থাকে।
আমাকে নিয়ে যেতে চাইছো যে আখক্ষেতে, সেখানে
এক মধ্যরাতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল চন্দ্রের শবদেহ
আর কয়েকটি পিঁপড়ে, সেই শবদেহ টেনে নিয়ে
ফেলে দিতে চেয়েছিল নদীতে।
পেরেকপাত্রে এতোদিন একা পড়েছিল আমার যে
মৃত আত্মা, তুমি তাকে দিতে চেয়েছিলে যে প্রেম-
আমি
বাংলাদেশে এখন রাজনৈতিক স্বার্থের খেলাটা প্রকট আকার ধারণ করেছে। বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার যে রেওয়াজটি ছিল- তা অনেকেই ভুলে যেতে বসেছেন। অনেকেই ভুলে যেতে বসেছেন, এই দেশে ১৯৫২, ’৬৯, ’৭০, ’৭১ সাধিত হয়েছিল। অনেকেই ভুলে যেতে বসেছেন, বাঙালি জাতির উজ্জ্বল গৌরবের কথা। এর কারণ কী? কারণ
কবি শহীদ কাদরী নিউইয়র্কে একটি সাহিত্য আড্ডার হোস্ট ছিলেন। এর নাম ছিলো ‘একটি কবিতা সন্ধ্যা’। শহীদ কাদরী চাইতেন, নতুন কবিতা লেখা হোক। আমি খুবই অনুপ্রেরণা পেতাম তার কাছ থেকে। ‘আমাকে দেখতে এসেছিল যে শঙ্খচিল’ কবিতাটি সেই কবিতা আড্ডাকে ঘিরেই লেখা। মনে পড়ছে, আমি যখন
জীবন|
১টি মন্তব্য
| মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে
|
৩০৬ বার দেখা
| ১৯৬ শব্দ