ফকির ইলিয়াস-এর ব্লগ

কবিতা লিখি, থাকি নিউইয়র্কে।

কার্তিকমহল
কার্তিকমহল [] খুব ভালো না থাকলেও চলে
যে আগুন পাঁজর পুড়ায়, যদি থাকি তার দখলে আর যদি নদী এসে বাধ্য হয়-সাজায় কোলাহল
তবু এই বনকন্যা প্রজাপতি জানি ছুঁবে কার্তিকমহল হেমমন্তের পথ থেকে ছায়া খুঁজে যে পথিক যায়
অজানায়, ছড়িয়ে দেয় একা একা নিজেকে অমোঘ মায়ায় তুমি তো আমাকেও রাখো সে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩২৯ বার দেখা | ৫৭ শব্দ
মনোনয়ন অথবা পরীক্ষা বিষয়ক
মনোনয়ন অথবা পরীক্ষা বিষয়ক [] কেউ আমাকে কখনও কোনো বিষয়ে মনোনয়ন দিয়েছে কী না-
তা আমার মনে পড়ে না। কেউ একজন একদিন বলেছিলো,
‘যে পরীক্ষায় তুমি কৃতিত্ব দেখিয়েছো-
সেটা আমেরিকার সিটিজেনশীপ পরীক্ষা’ কথাটা আমার মনে ধরেছিল খুব। সত্যিই তো !
তবে কি রবীন্দ্রনাথের পর আমিই অষ্টম বার ঢুকেছিলাম
প্রবেশিকা হলে! পাশ পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৬৯ বার দেখা | ৮৫ শব্দ
তিনটি কবিতা []
তিনটি কবিতা [] জলহাড়, হাড়ের ভ্রমণ স্থির দাঁড়িয়ে জলশব্দের ধ্যান দেখি
আমি সাধক নই,
নেই আমার সাধন-ভজন ও
তবু মায়াবি চান্দের ছায়া আমাকে বলে যায়
সাগরও পুড়ে, পুড়ে নগর
অক্ষত থাকে জলহাড়, হাড়ের ভ্রমণ। সেই হাড়ে জমে যে ক্ষরণ
প্রেমিক-প্রেমিকা তার হিম ছুঁয়ে ছুঁয়ে
সেরে নেয় প্রতীক্ষার সব জলবরণ। মেমোরি ও মনকানা জানার আগ্রহ সাগরে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২০ বার দেখা | ১৫২ শব্দ
দুটি কবিতা
॥ হে অতীত, হে মেঘের ভবিষ্যত ॥ হে অতীত, হে মেঘের ভবিষ্যত
তুমি উড়ে যাবে বলো না—
ধীর ছায়ার মতো সাথে থাকো এবং
রাখো এই লোকালয়ে পদছাপ, কররেখা ,তর্জনী
তালুতে জমে থাকা জলের মতো
টলটলে বারুদ,বিস্ফোরণ
রাখো সবকিছু সাথে। আমি আলো জ্বালাবো বলে যেদিন
পথে নেমেছিলাম
সেদিন থেকেই তোমাকে বলছি—
আমার চোখ পাহারা দেয়া পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২২০ বার দেখা | ৯৭ শব্দ
সুনীল, আপনি কাপুরুষ ছিলেন
সুনীল, আপনি কাপুরুষ ছিলেন ‘যদি নির্বাসন দাও’- বলে আপনি কার জন্য
বিষ পান করতে চেয়েছিলেন,
তা আমার জানা নেই। তবে এটুকু জানি-
আপনার বুকের গহীনে বাস করতো যে নির্বাসিত পাখি,
তার ডানা থেকে এক একটি পালক ঝরতো
আমার বুকে। কয়েকটি পরাগরেণু আমার জন্য
জমিয়ে রাখতো কিছু পাথর। আর আমি,
সেই পাথরচূর্ণ সমুদ্রে নিক্ষেপ পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩০৪ বার দেখা | ১০৩ শব্দ
অনাদি নদীর গান
অনাদি নদীর গান আমাকে উল্টোপথে যেতে দেখে যে সূর্য মুখ ফিরিয়ে
নিয়েছিল, সেও আজ খুব সদয় হয়ে এসেছে কাছে।
আর জানতে চেয়েছে, আমার নির্বাসিত জীবন কেমন
ছিল। কেমন ছিলাম আমি আসক্ত রাতের ছাউনীতে
হাত পেতে। কতোটা জলের জন্য আমি আকুল নদীর
কাছে খুঁজেছিলাম ছায়া। আমি কোনো উত্তর দিই নি। বলেছি, পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৪১ বার দেখা | ৮৭ শব্দ
জীবনের জলসিথান
জীবনের জলসিথান কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে কাটিয়েছি ভরদুপুর। কেউ দেখতে আসেনি-কেউ
বুলিয়ে দেয়নি মাথায় হাত। যে রোদ আমার পশমে লেপ্টে থেকে যোগাতো
আমিষ, সে-ও পালন করেছে বিরহ পার্বণ। আর আমি সর্বহারা সমুদ্রের
কাছে হাত পেতে চেয়েছি একটু আশ্রয়। ছায়ার কিনারে, জীবনের জলসিথান। মাথার নীচ থেকে আশ্রয় সরে গেলে, কিংবা পায়ের পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৩৬ বার দেখা | ১২৫ শব্দ
সিজোফ্রেনিয়া ♦♦
সিজোফ্রেনিয়া ♦♦ হাত রেখে দিয়েছি, ডিপ ফ্রিজে। বরফের মতো
আপন কিছুই নেই জেনে, ভুলে যেতে চাইছি
বিগত বিষণ্ণতা। ভোর আমার দরজার প্রহরী
ছিল বহুকাল- লিখছি এমন ঘটনার উপসংহারপর্ব। দেখছি, মৃত মানুষগুলো হয়ে উঠছে আমার বন্ধু
আর জীবিতেরা চোখে কালো কাপড় বেঁধে
কেবল গাইছে আদিম হিংস্রতার গান।
আগুন পুড়ছে ঝরণা বুকে নিয়ে। পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬২৭ বার দেখা | ৭২ শব্দ
দ্রোহ নেই, শুধুই পাথর ♦
দ্রোহ নেই, শুধুই পাথর ♦ নিক্ষেপ করার জন্য যে জল আমার হাতে
তুলে দিয়েছিলে, তা হয়ে গিয়েছিল শিলা।
দ্রোহের ধানে ধানে সাজাতে চেয়েছিলে যে হেমন্ত,
তা হয়ে গিয়েছিল ধূসর কার্তিকের সূর্য। আমি সেই সূর্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে একটি পলাতক
দোয়েলের চোখের দিকে তাকিয়েছিলাম। আমার
অনটন, আমাকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল
সকল উৎসব থেকে। একদিন নদীর পড়ুন
কবিতা | ৩ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২৪৯ বার দেখা | ৬৫ শব্দ
মেঘলা মাঘের মুখ
মেঘলা মাঘের মুখ শুধু পদছাপ রেখে যাবার জন্য এসেছিলাম,
সেকথা আমি বলিনা। উত্তীর্ণ আকাশ ছুঁয়ে
অবনত হয় যে বর্ষার স্রোত, আমি তার সতীর্থ
হয়ে ভাসিয়েছি চাঁদের ডিঙা। কিছুটা জল
আর প্রেমের প্রবল প্রতাপে হতে চেয়েছি
পরাক্রমশালী। রক্তিম রোদে বার বার দেখতে
চেয়েছি মেঘলা মাঘের মুখ। যারা আমার কবিতাগুলো পড়বে বলে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৬৪৫ বার দেখা | ১৬৮ শব্দ
হলুদ পাতার ধ্বনি
হলুদ পাতার ধ্বনি
অক্টোবরের আলো বুকে দাঁড়িয়ে থাকে রোববারের দুপুর। মেঘাচ্ছন্ন মন
এর আগেও তোমাকে ভেবেছিল- আর বলেছিল, আবার কি দেখা হবে-ঋতু!
জানি অনেক পদছাপই আর খুঁজে দেখা হয় না। অনেক রোদ কেবলই
ঝরে পড়ে গাঁয়ের ওপারে। একটা প্রজাপতি গোটা বিকেলের গায়ে
তার আহ্লাদের ছবি ছড়াতে ছড়াতে আরামে পড়ুন
কবিতা | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৬৬ বার দেখা | ৯৪ শব্দ ১টি ছবি
চে গুয়েভারার হাত
চে গুয়েভারার হাত [] বিনাশী আগুন দেখো কবি। দেখো বিরাগসমগ্রের দুটি হাত।
স্ট্যানগান পড়ে আছে দূরে। গুলির আওয়াজ শুনে কাঁপতো
যে জঙ্গল তার পাখিরাও আজ সাহসী কেমন! পোড়ামেঘ
বুকে নিয়ে আকাশও কী প্রত্যয়ে মেলেছে চোখ। কত নির্মোহ
ভালোবাসায় জেগে আছে অধিকারের আলো। বিনম্র গোলাপ দেখো কবি। দেখো হলুদ চাঁদের পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৩৯৮ বার দেখা | ৬১ শব্দ
প্রাচ্যের নক্ষত্রকন্যার জন্য
তাঁকে প্রাচ্যের নক্ষত্র বলা হচ্ছে। তাঁকে বলা হচ্ছে বিশ্বের সম্ভাবনাময় একটি দেশের নেতা। মানুষকে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি।হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আর্ত মানবতায়। জাতিসংঘে এসে বলে গিয়েছেন, ষোলো কোটি বাঙালী ভাত খেতে পারলে, দশ লাখ রোহিঙ্গাকে শরণার্থীর সম্মান দিতে পারবে বাংলাদেশ। পড়ুন
সমকালীন | ২ টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৫৮৫ বার দেখা | ১৪২৬ শব্দ ১টি ছবি
চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধের আগে
চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধের আগে [] পৃথিবীর পা থেকে এখনও খসে পড়েনি ফুলঘুঙুরের ছায়া
যারা অভিমানী রাতের সাথে কাটিয়েছিলাম যৌথবাসর,
তারা কেউই ভুলে যাইনি চন্দনের ঘ্রাণকাহিনি। তবু কেউ
যুদ্ধের দামামা বাজাবে বলে, শাণাচ্ছে সঙ্গিন। রোবটের
প্রলম্বিত পাঁজরের পাশাপাশি সাজিয়ে দীন মানুষের পাঁজর
পর্যবেক্ষণ করছে পারমাণবিক সন্ধ্যার হাসি। কবিতার কোনো প্রতিপক্ষ নেই জেনেও, একদল পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ৪৪২ বার দেখা | ৮৪ শব্দ
বিপুল গোপনে
বিপুল গোপনে সবকিছু প্রকাশিত হতে নেই যেভাবে গোপন থাকে বড় কবিদের জীবন
যেভাবে অরণ্যে লুকিয়ে থাকে পাখি
কিংবা যেভাবে ঝড়, লুকিয়ে রাখে তার বুকের আগুন
আশ্বিনের বজ্রমেরুতে- ঢেলে দিতে দিতে আবার দাঁড়ায়
মৌসুমের ফলে ও ফসলে, প্রেমের গল্প শোনাতে
বনের বিপুল গোপনে লুকিয়ে থাকে যে ফুল,
আমরা কি পড়ুন
কবিতা | ১টি মন্তব্য | মন্তব্য বন্ধ রাখা আছে | ২১২ বার দেখা | ৬৬ শব্দ